বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে হীম শীতল সকালেই মেডেন্টা হাসপাতাল : শওনীল হোসাইন

  প্রকাশ : ২০২০-০১-১৯ ১৮:৩৭:৩৪  

প্রথম পর্বের পর…
পরিস্হিতি২৪ডটকম : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ সকাল ৯ টায় নির্ধারিত প্রোগ্রাম অনুযায়ী রওয়ানা দিলাম মেডেন্টা (Medanta) হাসপাতালের উদ্দ্বেশ্যে। সকাল ৯টা হলেও মনে হয় এখন সূর্যোদয় হয় নাই। চারদিকে কুয়াশা।তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।ছেলে ও জামাতার চেকআপ করাতে হবে তাই শীতের কড়াল গ্রাসকে উপেক্ষা। শীতের তিব্রতা এত বেশী যে কানটুপি হাতমৌজা পরেও কোন লাভ হয়েছে বলে মনে হচ্ছেনা। গাড়ীতে উঠলাম হিটার চালনার পর কিছুটা স্বস্তি। ড্রাইভার মিশরা বিহারের অধিবাসী, ২০ বছর ধরে ট্যুরিষ্ট ঘুরিয়ে বেড়াচ্ছেন, বেশ ভাল ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলা বলেন।


বাংলাদেশী ট্যুরিষ্টদের সাথে উনার বেশ ভাল সময় কাটে বলে জানালেন। বাংলাদেশীরা খুব আন্তরিক হয় ইত্যাদি ইত্যাদি …… কথা বলতে বলতে গাড়ী চালাচ্ছেন আর ডানে বামের স্থাপনার পরিচিতি বলছিলেন।তাঁর মুখে বাংলাদেশীদের প্রশংসা শুনে ভালই লাগল।
হাসপাতের গেটে নামার পর মনে হল সাইবেরিয়ায় এসে পৌঁছলাম। শীতের তিব্রতা যেন আর বেশী মনে হচ্ছে।
হাসপাতালের ভিতরে ডুকে ইন্টারন্যাশনাল হেল্প ডেস্কে গেলাম সেখানে বাংলাদেশ হেল্প ডেস্ক আছে। পশ্চিম বাংলার বাংলা ভাষাভাষি মানুষ সবাই।আমাদের রেজিষ্ট্রেশন ভোডা ফোনের সীমকার্ড সংগ্রহ সব কিছুতে সাহায্য করলেন এবং আমাদের সাথে বিভাস নামক একজন সংগী হলেন ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে যাওয়া ও অন্যান্য সহায়তা করার জন্য। বিভাস দাদার সহায়তায় আমরা আমাদের চাহিত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করলাম অনেকটা অপেক্ষা ছাড়াই । বিভাস দাদার সাথে কথা বলতে বলতে তিনি জানালেন ওনারা যারা এখানে কাজ করছেন তারা সবাই বাংলাদেশের মানুষ, তাদের বাড়ী গোপালগন্জ আর একজন আছেন বিপ্লব তিনিও গোপালগন্জের মানুষ বাকী তিনজন বাগেরহাটের । তিনি ৭ বছর ধরে আছেন আর তাঁর পরিবার থাকে পশ্চিমবঙ্গের আসানশোলে। ডাক্তার সাহেবরা কিছু টেষ্ট করাতে বললেন আমরা সেই সব কার্যক্রম শেষ করে বিকাল ৫ টা নাগাদ ৪০ কিলোমিটার দূরে হোটেল রেডিয়েন্স, কোরালবাগ, নিউ দিল্লী এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। কারণ রিপোর্ট কিছু ১ দিন পর আর কিছু ৭২ ঘন্টা পর মিলবে। যারা শুধু চিকীৎসা করাতে আসবেন তারা হাসপাতালের বিপরীতে আবাসিক এলাকায় ৭০০ থেকে ১২০০ রুপির মধ্যে এ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করে থাকতে পারবেন। আগে যোগাযোগ করলে হাসপাতালের গাড়ীতে এয়ারপোর্ট থেকে পিক এন্ড ড্রপ এর ব্যাবস্থাও আছে।
হোটেলে পৌঁছে একটু ফ্রেশ হয়ে কোরালবাগের স্ট্রিট মার্কেট দেখতে বের হলাম। রাস্তার পাশে হকাররা নানা রকমের জিনিসের পশরা সাজিয়ে বসেছে ভ্যান গাড়ীতে খাবারের দোকানও আছে, আছে পানি পুড়ি, বেল পুড়ী, আলুচাট ….. হরেকরকমের খাবার। আছে উডল্যান্ড, ইউ এস পলো, এইচ এন্ড এম, ডব্লিও, কেলবিন ক্লে, মিনিসো, নাইকি, রিবোক, ক্রোকোডাইল, পিটার ইংল্যান্ড, কেএফসি, ম্যাকডোল্যান্ডস সহ প্রায় সব রকমের ব্রান্ড শপ। মার্কেটিং করতে যারা ভালবাসেন তাদের জন্য খুব ভাল জায়গা বলে মনে হয়েছে আমার কোরাল বাগের এই স্থানটি। শীতকে মোকাবেলার জন্য জ্যাকেট, কানটুপি আর মাপলার কিনে ঘুরাঘুরি শেষে আমরা পানি পুড়ী, বেল পুড়ী, আলু চাট ও ওমলেট( বাংলা পিজা) এর স্বাধ নিয়ে হোটেলে ফিরলাম।
চলবে….
লেখক : শওনীল হোসাইন



ফেইসবুকে আমরা