বাংলাদেশ, , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

প্রাচীন চট্টগ্রামের ঐতিহ্য ও ইতিহাস : লায়ন ডাঃ বরুণ কুমার আচার্য বলাই

  প্রকাশ : ২০১৯-০৫-১১ ১৪:৪০:৫৫  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : প্রাচীন চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের গৌরব উজ্জল ইতিহাস সমগ্র পৃথিবীব্যাপী পরিচিত। এই ইতিহাসের কারণে আমরা চট্টগ্রামবাসী গর্বিত। প্রাচীন ও মধ্যযুগের ইতিহাসে এই চট্টগ্রামের ভূমিকা ও কবি সাহিত্যিকদের অবদান স্মরণীয় ও বরণীয়। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা আন্দোলনে ও এই চট্টগ্রামের মানুষের অবদান স্মরণযোগ্য। এই ইতিহাস ও ঐতিহ্য বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারলে জাতি সমৃদ্ধ হবে। ইতিপূর্বে আমাদের চট্টগ্রামের উপর যারা ইতিহাস গবেষনা ও রচনা করেছেন তাঁরা সবাই যারযার তথ্য উপাথ্যের উপর লিখেছেন হাজার বছরের চট্টগ্রাম। কিন্তু ২০০৮ সালে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস মেধাবী ছাত্র মোঃ শাহীনুজ্জামান (শাহীন) তাঁর গবেষনায় প্রমান করছেন এ চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রাগৈতিহাসিক যুগেও মানব বসতি ছিল। তিনি চট্টগ্রামে নব্য প্রস্তর যুগের প্রত্ন নির্দশন আবিষ্কার করেন।। ‘‘২০১২ সালের ১৯ এপ্রিলে চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের আর্ন্তজার্তিক সেমিনারে বিজ্ঞআলোচক গন বলেন, প্রাগৈতিহাসিক যুগের প্রত্ননিদর্শন ও ঐ যুগের সুত্রের মাধ্যমে ইতিহাস রচিত হলে চট্টগ্রামই বাঙালী জাতিগৌষ্ঠির বীজ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত হবে। কেননা ইতিহাস গবেষনা ও ২০০৮ সালের ঢাকা জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসন্ধানী প্রন্ততত্ত্ব গবেষক শাহীনুর জ্জামান দীর্ঘ দিন গবেষনা অনুসন্ধান চালিয়ে পাওয়া দুইটি প্রাগৈতিহাসিক যুগের নির্দশনে প্রমানিত হয়েছে যে, চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রাগৈতিহাসিক যুগেও মানব বসবাস ছিল। নৃ বিজ্ঞানী ও প্রত্নতত্ত্ববিদেরা এমনিতেই অনুমান করতেন বৃহত্তর চট্টগ্রামের এলাকায় আজ হতে ৩/৪ হাজার বছর আগে ও মানব বসতি ছিল, ১৯ এপ্রিল ২০১২, দৈনিক আজাদী”, ভারতীয় সভ্যতার অমূল্য সার মহাভারতের বিভিন্ন স্লোকে চট্টগ্রামের আদিনাথ, চন্দ্রনাথ, কাঞ্চন নাথের কথা উল্লেখ পাওয়া যায়। সেই সুত্রে যদি মহাভারত সাড়ে ছয় হাজার বছর আগে রচিত হয়, আর উল্লেখিত তিনটি স্থান যথাযত চট্টগ্রামের হয়, তাহলে চট্টগ্রামের বয়স সাড়ে ছয় হাজার বছর ও হতে পারে। প্রাচীন এ চট্টগ্রামের বয়সের ভারে যত দিন অতিবাহিত হচ্ছে ততই সমৃদ্ধির সাথে এগিয়ে চলছে আধুনিক বিশ্বের সাথে। সেই প্রাচীন সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত এ চট্টগ্রামের ৩৭ টি নাম পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম বা চিটাগাং এসে দাঁড়িয়েছে। প্রাচীন সে নামগুলো ১) আদর্শদেশ, ২) সুহ্মদেশ, ৩) কীং বা কালেন, (৪) রম্যভূমি, (৫) চিতাগাঁও, চিৎগাঁও* ৬) চট্টল, ৭) চৈত্যগ্রাম, ৮) সপ্তগ্রাম ৯) চট্টলা, ১০) চট্টগ্রাম, ১১) চক্রশালা, ১২) চন্দ্রনাথ, ১৩) চরতল, ১৪) চিতাগঞ্জ, ১৫) চাটীগাঁ, ১৬) শ্রীচট্টল ১৭) সাতগাঁও, ১৮) সীতাগঙ্গা, (সীতাগাঙ্গ) ১৯) সতের কাউন, ২০) পুষ্পপুর, ২১) রামেশ, ২২) কর্ণবুল, ২৩) সহরেসবুজ, ২৪) পার্ব্বতী, ২৫) খোর্দ্দ-আবাদ, ২৬) চড়ৎঃড় মৎধহফড় (বৃহৎ বন্দর), ২৭) ফতেয়াবাদ, ২৮) আনক, ২৯) রোশাং, ৩০) ইসলামাবাদ, ৩১) মগরাজ্য, ৩২) ঈযরঃঃধহমড়হ. ৩৩) কিরাত, ৩৪) যতরকুল, ৩৫) চক্রশা, ৩৬) শ্রীযুক্ত কেলিশহর ৩৭) পেন্টাপোলিস।
চট্টগ্রামের ইতিহাস সুপ্রাচীন এ কথা বারেবারে বলা হয়। তবে প্রাগৈতিহাসিক যুগের নিদর্শন খুব বেশি পাওয়া যায় নি। নব্যপ্রস্তর যুগের একটি অস্মীভূত কাঠের অস্ত্র সীতাকুণ্ড অঞ্চলে পাওয়া গেছে। সীতাকুণ্ডের পার্বত্য অঞ্চলে সর্বাধিক পরিমাণে প্রস্তর খণ্ড পাওয়া যায়। এ থেকে পণ্ডিতেরা ও ইতিহাস গবেষকরা মনে করেন যে, এই অঞ্চলেই নব্যপ্রস্তর যুগের সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছিল। সম্ভবত, এরা অস্ট্রো-এশিয়াটিক জনগোষ্ঠীর শাখা ছিল। কালক্রমে মঙ্গোল জাতিদের দ্বারা অস্ট্রিক জাতি বিতাড়িত হয় এবং সমগ্র উত্তর ভারত এই জাতির দ্বারা অধ্যুষিত হয়ে পড়ে। খ্রিস্টজন্মের কিছুকাল আগে থেকেই উপমহাদেশের পশ্চিমাঞ্চল থেকে একটি প্রভাবশালী সংস্কৃতি ক্রমশ পূর্বদিকে বিস্তারলাভ করতে করতে একেবারে প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম উপকূল পর্যন্ত বি¯তৃত হয়। এটি ‘আর্যীকরণ’ নামে অভিহিত। হিন্দু ও বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রসারের সাথে সাথে আর্যীকরণের ঢেউ চট্টগ্রামের তটরেখাও স্পর্শ করে। এর ফলে মোঙ্গোল গোষ্ঠীভুক্ত উপজাতীয়রা হিন্দু-বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতির দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়। প্রাচীন গ্রিক ও মিশরীয় ভৌগোলিকদের বর্ণনায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানের কিছু কিছু উল্লেখ পাওয়া যায়। খ্রিস্টীয় প্রথম শতকের গ্রিক ভৌগোলিক প্লিনির লিখিত ‘পেরিপ্লাসে’ ক্রিস’ বলে যে স্থানটির বর্ণনা আছে খ্যাতনামা ঐতিহাসিক ড. নলিনীকান্ত ভট্টশালীর মতে তা সন্দ্বীপে সঙ্গে অভিন্ন। ল্যাসেনের মতে পেন্টাপোলিস চট্টগ্রামেরই ক্যাসিক্যাল নাম।
প্রাচীন মৌর্য সাম্রাজ্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত বি¯তৃত ছিল কিনা এ বিষয়ে নিঃসংশয় হওয়া যায় না। তবে মৌর্য যুগের ব্রাী লিপিতে খোদিত একটি পাথর মূর্তির পাদলিপি পূর্ব নোয়াখালীর শিলুয়াতে পাওয়া গেছে। সম্রাট অশোক সুবর্ণভূমির (আধুনিক পেগু) সঙ্গে যে যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন চট্টগ্রাম তার প্রায় মধ্যস্থলেই পড়ে।
তিব্বতীয় বৌদ্ধ ঐতিহাসিক লামা তারানাথের গ্রন্থে এবং আরাকানের সিথাং মন্দিরের শিলালিপিতে চন্দ্র উপাধিধারী এক দীর্ঘকাল স্থায়ী রাজবংশের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই রাজবংশের রাজারা বেশ মতাশালী ছিলেন। তারানাথের মতে চন্দ্রবংশীয়দের রাজধানী চট্টগ্রামই ছিল।
চন্দ্রবংশীয়দের পরে পালবংশ বাংলায় প্রভুত্ব বিস্তার করে। এ সময়ে আরবদের সঙ্গে চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক যোগাযোগ ঘটে। আরব ভৌগোলিকদের বিবরণে ‘সমন্দর’ বলে যে বন্দরটির উল্লেখ আছে পণ্ডিতেরা তার সাথে চট্টগ্রাম অভিন্ন বলে মত প্রকাশ করেছেন। সমন্দর বন্দরটি পালবংশীয় দিগি¦জয়ী রাজা ধর্মপালের অধীনে ছিল। এ থেকে মনে হয়, ধর্মপালের রাজ্যের বি¯তৃতি চট্টগ্রাম পর্যন্ত ঘটেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে পাল বংশীয় রাজারা দণি পূর্ববঙ্গে নিজেদের কর্তৃত্ব হারিয়ে ফেলেছিল।
পালবংশের পতনের পর ময়নামতী-লালমাই অঞ্চলে কতকগুলি স্বাধীন বা অর্ধস্বাধীন রাজবংশের সন্ধান পাওয়া যায়। এই সমস্ত রাজবংশের মতাশালী রাজারা হয়ত দেিণ চট্টগ্রাম পর্যন্ত তাঁদের রাজ্যসীমা বর্ধিত করে থাকতে পারেন। প্রাচীন হরিকেল রাজ্যের কয়েকটি শিলালিপি চট্টগ্রাম জেলার উত্তরাংশে আবি®কৃত হওয়ায় পণ্ডিতেরা মনে করেন যে, চট্টগ্রাম জেলার উত্তরাংশ প্রাচীন হরিকেল রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইতিপূর্বে সমতট রাজ্যের বি¯তৃতি উত্তর চট্টগ্রাম পর্যন্ত ছিল বলে পন্ডীত ও ইতিহাস গবেষকদের ধারণা। যেকোন গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস নির্নয়ের েেত্র সেই অঞ্চলের প্রতœ সম্পদের উপর নির্ভর ইতিহাস রচিত হয়। সে েেত্র চট্টগ্রামের পুরাকীর্তির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় মোগল ঐতিহাসিক শিহাব উদ-দিন তালিশের বিবরণে বর্ণনা প্রসঙ্গে তিনি চট্টগ্রামের দুর্গ এবং দুর্গের আঙিনায় পীর বদরের আস্তানার কথা উল্লেখ করেন (বদর পীর/ বদর-ই আলম চট্টগ্রাম)। তালিশের সূত্রে আরও জানা যায় যে, ১৩৪০ খ্রিস্টাব্দে সোনারগাঁর সুলতান ফখর-উদ-দিন মুবারক শাহ চট্টগ্রাম জয় করে চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত একটি বাঁধ নির্মাণ করেছিলেন। এই সুলতানের রাজত্বকালে চট্টগ্রামে নির্মিত মসজিদ এবং সমাধি-সৌধ সম্পর্কেও তালিশে উল্লেখ আছে। তিনি এখানে কিছু পুরাকীর্তির খোঁজ পান। মধ্যযুগের পুঁথি সাহিত্যের শহর চট্টগ্রামের বর্ণনায় পুরাকীর্তির উল্লেখ ল করা যায়। আনুমানিক ১৬০০-১৬০৭ খ্রিস্টাব্দে রচিত দৌলত উজির বাহরাম খানের লায়লী-মজনু কাব্যে এই বিবরণ রয়েছে। তা থেকে জানা যায় যে, এ-সময়ের মনোরম চট্টগ্রাম নগরে অনেক সাধু-সজ্জনের নিবাস ছিল। উঁচু-উঁচু পর্বতে দুর্গের সীমানার মধ্যে ‘বদর আলম’-এর সমাধি সৌধের উপস্থিতির বিষয়টিও কবির নজর এড়ায় নি। এই শতাব্দীরই মাঝামাঝি সময়ের (১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে) তালিশের বিবরণে এ-সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানাযায়। বাহরাম খানের সমসাময়িক বৌদ্ধ ঐতিহাসিক লামা তারানাথ (জন্ম ১৫৭৩ খ্রিস্টাব্দ) চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের এক ভিন্ন প্রোপটের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। ত্রিপুরার দেিণ এবং আরাকান রাজ্যের উত্তরে এই মধ্যবর্তী অঞ্চলের এক-অংশের নাম ছিল বাঙালা, এবং অপর অংশের নাম ছিল রম্ম (সংস্কৃতে রম্য), ছবির পটের মতো একটি দেশ। আধুনিক চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল বাঙালা রাজ্য। নালন্দার অবয় শুরুহলে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ সভ্যতার মুখ্য কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এ-সময় চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে এই শহরের বিশাল পণ্ডিত বিহারের খ্যাতি (পণ্ডিত বিহারের অস্থিত্ত্ব পাওয়া যায় পটিয়ার হাইদগাঁও, পশ্চিম পটিয়ার বড়উঠান ও দেয়াং পাহাড়ে)। বৌদ্ধ পণ্ডিত তিলযোগী এবং বানরতেœর জন্মভূমিও ছিল চট্টগ্রাম। বৃহত্তর চট্টগ্রামের কক্সবাজার জেলার রামুর রামকোটে আবি®কৃত বৌদ্ধ সংস্কৃতির বিশাল প্রতœেেত্রর উল্লেখও করা যেতে পারে।
তালিশের পরে প্রায় দু’শো বছর সাহিত্যে বা লিখিত বিবরণে চট্টগ্রামের পুরাকীর্তির আর কোনো হদিস পাওয়া যায় না। অনেক দিন পর অবসরপ্রাপ্ত স্থানীয় কিছু লোকের পেনশন সম্পর্কিত দাবি-দাওয়া পরীা করে তাদের বকেয়া পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে গঠিত একটি কমিটির সভাপতি নিযুক্ত হয়ে ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৯ ডিসেম্বর কলকাতা থেকে চট্টগ্রামে আসেন সেনাবাহিনীর জনৈক ক্যাপ্টেন পগসন। ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে ক্যাপ্টেন পগসন্স ন্যারেটিভ ডিউরিংএ ট্যুর টু চাটিগাঁও প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে বেশ কিছু মুসলিম পুরাকীর্তির বিবরণসহ প্রথম বারের মতো পাওয়া যায় কয়েকটি শিলালিপির পাঠ। পগসন পরিদর্শিত পুরানিদর্শনগুলি হলো: ১. পীর বদরের সমাধি, ২. নবাব আমির-উল-উমরার পাথরে তৈরি মসজিদ, ৩. ইয়াসিন খাঁর মসজিদ, ৪. সুলতান বায়েজিদ বোস্তামির দরগাহ। এ- ছাড়াও তিনটি শিলালিপিবিহীন মসজিদের নাম উল্লেখ করেন তিনি। এগুলো হলো: ১. ওয়ালি বেগ খান, ২. মির ইয়াহিয়া এবং ৩. মোল্লা সাঁই মসজিদ। পগসন তৎকালিন চট্টগ্রাম শহরের চার মাইল উত্তরে জাফরাবাদে স্যার উইলিয়াম জোন্সের বাড়ির ধ্বংসাবশেষ পরীা করে বাড়িটির ভূমি-নক্শা ও লেখচিত্র তৈরি করেন। এ-ছাড়াও তিনি শহরে ইউরোপীয়দের কবরখানা এবং সীতাকুণ্ড পরিদর্শনের বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন।
পগসনের ন্যারেটিভ মুদ্রিত হওয়ার তিরিশ বছর পরে ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে ইতিহাসবিদ হামিদ-উল্লাহ খানের আহাদিস-উল- খাওয়ানিন বা তারিখে চাটগাম প্রকাশিত হয়। চট্টগ্রামের প্রাচীন বসতি, দালান কোঠা ও দিঘি- পুকুরগুলোর সংপ্তি পরিচিতি তারিখে চাটগামে লিপিবদ্ধ হয়েছে।
১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন বাংলা সরকারের গণপূর্ত বিভাগ লিস্ট অব এইন্সন্্ মনুমেন্টস্ ইন দ্য চিটাগাং ডিভিশন প্রকাশ করে। এই তালিকায় নয়টি মসজিদ ও দু’টি মন্দির নথিভুক্ত হয়। একই সময়ে (১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে) গণপূর্ত দপ্তর থেকে আরো একটি তালিকা প্রকাশিত হয়, এ লিস্ট অব অবজেক্টস্ অব অ্যান্টিক্যুয়ারিয়ান ইন্টারেস্ট ইন দ্য লোয়ার প্রভিনসেজ অব বেঙ্গল। এ-তালিকায়ও চট্টগ্রামের আটটি মসজিদ, একটি সমাধি-সৌধ ও তিনটি মন্দিরের নাম উল্লেখ রয়েছে। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পতœতত্ত্ব ও যাদুঘর পরিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত প্রটেকটেড মন্যুমেন্ট অ্যান্ড মাউন্ডস্ ইন বাংলাদেশ শীর্ষক তালিকায় বাঁশখালী থানার ইলসা (বখশি হামিদ মসজিদ) গ্রামে অবস্থিত একটি মোগল মসজিদ এবং হাটহাজারী থানার ফতেহ্পুর গ্রামের একটি সুলতানি শিলালিপিকে সংরতি পুরাকীর্তি বলে নথিভুক্ত করা হয়েছে। অথচ ইতিপূর্বে উল্লেখিত এবং ব্রিটিশ আমলে প্রকাশিতালিকা থেকেই চট্টগ্রামে চারটি সুলতানি মসজিদ, চারটি মোগল মসজিদ একটি মোগল স্মৃতিসৌধ এবং তিনটি হিন্দু মন্দিরের কথা বারে বারে উঠে এসেছে। সরকারি তালিকার দু’টি সুলতানি মসজিদের শিলালিপি এবং একটি মসজিদকে সংরনের উদোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ইতিহাস ও ঐহিত্যর সাথে রাষ্ট্রীয় সরকারের বিমাতাসুলব আচরণের কারণে হাজার হাজার বছরের স্মৃতিজড়িত ১০টি মসজিদ, ৫টি বৌদ্ধ ধর্মীয় প্যগোড়া, ৮টি হিন্দু ধর্মীয় প্রাচীনতম মন্দির, ৩টি প্রাচীন সেতু, ১১টি ঐতিহাসিক জমিদারের স্মৃতিজড়িত রাজ বাড়ী, ১টি প্রাচীন ব্যাংকের নিদর্শন তেরজুরী সংরনের অভাবে ধ্বংস হতে চলেছে। দুঃখের বিষয়, মোগল অধিকারের পর থেকে সাহিত্যে, ইতিহাসে এবং ভ্রমণবৃত্তান্তে নানাভাবে চট্টগ্রামের কোনো কোনো স্থাপত্যিক পুরাকীর্তির উল্লেখ বা বিবরণ পাওয়া গেলেও এ-সব নিদর্শন পাকিস্তান বা বাংলাদেশ আমলে পুরাকীর্তি সংরণের কাজে নিয়োজিত সরকারি বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়নি। কর্তৃপীয় অবহেলায় সবচেয়ে তিগ্রস্থ হয়েছে মুসলিম স্থাপত্যকীর্তিগুলো। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সংরতি না হওয়ায় সুলতানি এবং মোগল আমলের শিলালিপিযুক্ত মসজিদগুলোও ব্যাপক সম্প্রসারণ এবং অবৈধ সংস্কারের কবলে পড়ে বারে বারে তিগ্রস্থ হয়েছে চট্টগ্রামের ইতিহাস।
সেই প্রাচীন চট্টগ্রামের ইতিহাস কে বাঁচিয়ে রাখতে বারে বারে প্রধান মন্ত্রী ও সংস্কৃতি মন্ত্রীর বরাবরে চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের প থেকে স্মারক লিপি প্রদান করা হয় ২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালের জাতিয় জাদুঘর দিবস উপল।ে এছাড়াও প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন পূর্বক ৫ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে সোহেল মো. ফখরুদ-দীনের একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়, এতে বলা হয়, “চট্টগ্রামকে আর কতকাল অবহেলার চোখে দেখতে হবে। হাজার-হাজার বছরের ঐতিহ্য মণ্ডিত চট্টগ্রাম পদে পদে বঞ্চনার ডাক। আমাদের গৌরবময় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো ধ্বংস হতে চলেছে, সংরণ-সংস্কারের সরকারি কোন উদ্যোগ নেই। চট্টগ্রামের প্রাচীন প্রতœ নিদর্শনগুলো জরুরীভাবে সংরণ করা খুবই দরকার। দেশের ৬৪টি জেলার ঐতিহাসিক প্রতœসম্পদ সরকারিভাবে সংরণের উদ্যোগের ব্যবস্থা হলে ও চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজার এ-৫টি জেলাতে মাত্র ১টি মসজিদকে সংরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেটিও বর্তমানে প্রতœ আইন অমান্য করে মসজিদের দরজা ও ফোরে আধুনিক টাইলস লাগানো হলেও সরকারি ঐ সংস্থা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সরকারি সংরণ কৃত ঐ মসজিদ হলো বাঁশখালী উপজেলার ইলশা গ্রামের বকশী হামিদ মসজিদ। আমাদের ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রামের প্রাচীন প্রতœনিদর্শনগুলো সংরণ, নিয়মমোতাবেক সংস্কার ও জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচার প্রকাশ করতে পারলে চট্টগ্রামের গৌরব ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে। যথা উপযুক্ত পদপে গ্রহণ করলে বহির্বিশ্বের পর্যটকের আগমন ঘটবে ফলে দেশের অর্থনীতি উন্নয়ন ও সম্ভব। উন্নত বিশ্বের প্রায় দেশে সে জাতি ও দেশের ঐতিহ্য রা ও সংরণ করে আসছে। আমাদের চট্টগ্রাম বারে-বারে আজ অবহেলিত? নাকি সরকারের ঐ বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের গাফেলতি। আমি ব্যক্তিগতভাবে নিচে উল্লেখিত প্রতœসম্পদ সমূহ পরিদর্শন করে তার আলোকচিত্র ধারণ করেছি। বর্তমান অবস্থায় সংরণ ও সংস্কার করা না হলে খুব অল্প সময়ে তা ধ্বংস হয়ে যাবে। ইতিহাসের পাতা থেকে হারিয়ে যাবে আমাদের গৌরবের অনেক প্রাচীন নিদর্শন। নিচে কিছু চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ প্রতœ নিদর্শনের নাম ও ঠিকানা সরকারি প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দেওয়া হল। ১) পরাতরী মন্দির, বৌদ্ধ শাসন আমলে নির্মিত, হাইদগাঁও পটিয়া, চট্টগ্রাম। ২) জৈনরাজার রাজবাড়ি, বরমা, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম। ৩) আধুখাঁর বাড়ি ও মসজিদ, দোহাজারী, চাগাচর, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম। ৪) তেরজুরী, প্রাচীন টাকার ব্যাংক ও আলী আকবর মসজিদ, আলমদরপাড়া, পটিয়া, চট্টগ্রাম। ৫) কুরাকাটানী মসজিদ বা লাকশা মসজিদ, পশ্চিম পটিয়া, চট্টগ্রাম। ৬) হাবিলাসদ্বীপ প্রাচীন শত বর্ষীয় হিন্দু জোড় মন্দির, পটিয়া, চট্টগ্রাম। ৭) অর্দার বাড়ি, (ঐহিহাসিক জমিদার বাড়ি) তৈওরী হাট, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম। ৮) আধুখাঁর প্রাচীন মসজিদ, জঙ্গল পাহাড়, চুনতি, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম। ৯) বোমাংহাট জামে মসজিদ, বোমাং বাজার হাট, বাজালিয়া, চট্টগ্রাম। ১০) বিখ্যাত জমিদার যুগেশ বাবু রায় বাহাদুরের ঐতিহ্যমণ্ডিত রাজবাড়ি, আনোয়ারা চট্টগ্রাম। ১১) প্রসন্ন বাবুর রাজবাড়ির তোরণ, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম। ১২) ঐতিহাসিক প্রাচীন মন্দির (নরসিমা মন্দির), ইতিহাসবিদ ড. সুনীতি কানুনগোর মতে এটি ভারত মহাদেশের সবচাইতে প্রাচীন মন্দির ইতিহাসবিদগণ কেউ কেউ এটি বৌদ্ধ ধর্মীয় অতি প্রাচীন মন্দির বলে অভিমত প্রকাশ করেন, পরৈকোড়া, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম। ১৩) ঐতিহাসিক মনুমিয়া মসজিদ বাংলার লোক সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল মলকা বানু-মনু মিয়ার স্মৃতি জড়িত মসজিদ, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম। ১৪) বিখ্যাত চাঁদ সওদাগরের দীঘি, হিন্দু ধর্মীয় আদি মনসার পুঁথিতে উল্লেখিত সেই দীঘি, দেয়াং পাহাড়, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম। ১৫) মোহছেন পীরের পাথর ও শীলালীপি, (মোহছেন আউলিয়া), মোহছেন পীর চট্টগ্রামের মুসলমান আগমনের ৩য় ব্যক্তি, তাঁরই পাথর ভাসা সেই পাথর ও শীলালীপি আজও অবহেলিত পাঠোদ্ধার বিহীন অবস্থায় তাঁর মাজারে আছে, আনোয়ারা, রুস্তম হাট, চট্টগ্রাম। ১৬) ছোরত বিবির মসজিদ ও দীঘি, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম। ১৭) বিখ্যাত ধর বাড়ি, রাউজান চট্টগ্রাম। ১৮) ইলিয়াছ খাঁর মসজিদ ও রাজবাড়ি, পশ্চিম পটিয়া, কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম। ১৯) বুড়া গোসাই, বৌদ্ধধর্মীয় প্রাচীন মন্দির, ছনহরা, পটিয়া, চট্টগ্রাম। ২০) খান মসজিদ ও কদম রাসুল (সা) ঐতি ঐতিহাসিক প্রাচীন মসজিদ ও নবী করিম (সা.)র পায়ে চিহ্ন’র ছাপ এখানে এনে স্থাপন করা হয়, বাগিচার হাট, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম। ২১) বদরপীরের প্রাচীন তোরণ, বদর পীরের সমাধি, বকশির হাট, চট্টগ্রাম। ২২) কাতাল পীরের প্রাচীন দরগাহ, এটি চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রাচীন স্থাপনা, বলা হয় বদর পীর, কাতাল পীর ও মোহছেন পীর এ তিন জনেই চট্টগ্রামের মুসলমান আগমনের প্রথম মিশনারী, কাতালগঞ্জ, চট্টগ্রাম। ২৩) নবাব ওয়ালিবেগ খাঁ মসজিদ, চকবাজার, চট্টগ্রাম। ২৪) হামিদুল্লাহ খাঁ মসজিদ, চকবাজার, চট্টগ্রাম। ২৫) বশির উল্লাহ খা মসজিদ, কাতালগঞ্জ, চট্টগ্রাম। ২৬) আরকান সোসাইটি প্রাচীন মসজিদ, বহদ্দারহাট, চট্টগ্রাম। ২৭) প্রাচীন বুড়া মন্দির, মাস্টা দা সূর্যসেন পল্লী, রাউজান, চট্টগ্রাম। ২৮) পেলা গাজী মসজিদ ও দিঘী, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম। ২৯) কাজী মসজিদ, ফটিকছড়ি, ৩০) হাসমত মিয়ার জল্লাত বাড়, ফাঁসিখানা, মসজিদ ও দিঘী, ভূজপুর, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম। ৩১) সোলতানি আমলের ফকিরা মসজিদ (গায়েবী মসজিদ) হাটহাজারী সদর, হাটহাজারী। ৩২) সাহা বাড়ি, সংগীত পরিচালক সত্য সাহাদের পূর্ব পুরুষদের প্রাচীন জমিদার বাড়ি, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম। ৩৩) বিখ্যাত জমিদার নন্দী বাবুর বাড়ি, মন্দির ও দীঘি, নন্দীর হাট, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম। ৩৪) শাহাজাহান আউলিয়ার দরগাহ ও তোরণ, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম। ৩৫) নয়দুয়ারা মসজিদ, মিরসরাই, চট্টগ্রাম। ৩৬) সুলতানী আমলের হাম্মাদিয়া মসজিদ, মজ্জিদ্দা, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম। ৩৭) হাজার বছরের প্রাচীন বুড়া মন্দির, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম। ৩৮) কদম মোবারক মসজিদ ও কদম রসুল, মোমিন রোড়, চট্টগ্রাম। ৩৯) আন্দরকিল্লাহ্ শাহী জামে মসজিদ, চট্টগ্রাম। ৪০) হিন্দু ধর্মীয় সভ্যতার অতি প্রাচীন নিদর্শন সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ মন্দির, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, ফটিকছড়ির কাঞ্চন নাথ মন্দির ও বোয়ালখালীর হিন্দু ধর্মীয় প্রথম দুর্গা পূজা স্মরণে কড়ল ডেংগা মেধশ মনির আশ্রমকে স্ব-স্ব অবস্থায় সংরণ ও হিন্দুদের জাতীয় তীর্থ ঘোষণা করা হোক। ৪১) হযরত বায়েজিদ বোস্তামির মাজার, পাহাড়, মসজিদ ও পুকুর, বায়েজিদ চট্টগ্রামসহ চট্টগ্রামের অনেক পূণ্যভূমি এখন সংরণ করা হয়নি। হয়নি এখনও বিট্রিশযুদ্ধের জালালাবাদ সেই বিখ্যাত স্মৃতি সংরণ” ৫ নভেম্বর ২০০৯, দৈনিক আজাদী।
স্থাপত্যিক পুরাকীর্তির প্রসঙ্গেই এসে পড়ে শিলালিপির কথা। মুসলিম স্থাপত্যের অলঙ্করণে লিপিকলার ব্যবহার স্বকীয় বৈশিস্ট্যে গরীয়ান্। এ-েেত্র সাধারণভাবে দু’ধরনের লেখার সন্ধান পাই। এক, ধর্মগ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি; দুই, ইতিহাসের তথ্য-উপাদান সমৃদ্ধ শিলালেখা। ইতিহাসের তথ্য-উপাদান সমৃদ্ধ পাঁচটি সুলতানি, চারটি মোগল এবং একখানি মোগল- পরবর্তী শিলালিপি চট্টগ্রামে আবি®কৃত হয়। চট্টগ্রামের প্রথম স্থানান্তরযোগ্য পুরাকীর্তির সন্ধান দেন মিঃ জন শোর ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে। সেটি ছিল একটি গুহা থেকে পাওয়া রূপার ফলকে মগ-ভাষায় উৎকীর্ণ লিপি। ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে সীতাকুণ্ড পাহাড়ের অশ্বীভূত কাঠের কয়েকখানা কৃপাণ আবি®কৃত হলে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা প্রাগৈতিহাসিক কালে গিয়ে পৌঁছে। অনুশীলনের ফলে দেখা যেতে পারে যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম, প্রাচীন ত্রিপুরা এবং গারো পাহাড় ও তার ‘সন্নিহিত সুবি¯তৃত মধুপুর অরণ্যের ভূতত্ত্বীয় ইতিবৃত্ত সম্ভবত রচনা করেছে এক সুপ্রাচীন যুগের পটভূমি। টারসিয়ারি পর্বের বেলেপাথর এবং কাদাপাথর দিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম ও ত্রিপুরা পাহাড়গুলো সৃষ্টি করেছে প্রাগৈতিহাসিক মানব জীবনের অনুকূল একটি নিজস্ব পরিবেশ। চট্টগ্রাম থেকে কোনো মন্দির-লিপি আবি®কৃত না হলেও এখানে পাওয়া গেছে চারটি তাম্রশাসন।
চট্টগাম থেকে আবি®কৃত হিন্দু ভাস্কর্যের বিবরণ খুব বেশি পাওয়া যায় না। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে পটিয়ার ছনহরা গ্রামের জমিদার রাজচন্দ্র দত্তের বাড়ি থেকে পাওয়া যায় একটি দশভুজা ধাতু মূর্তি। এই ভাস্কর্যটি খুব প্রাচীন বলে মনে হয়। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে মিরসরাই থানার জোরারগঞ্জে পাওয়া যায় পিতলের তৈরি তিনটি ছোট ভাস্কর্য। এই সংগ্রহে সদাশিব, গণেশ এবং একটি দেবী মূর্তি ছিল। এই এলাকা থেকে ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ সংগ্রহ করে একটি বেলে পাথরের ভাস্কর্য। এ-ছাড়াও এনায়েত বাজার বৌদ্ধ বিহারের স্টোরে কষ্টিপাথরে খোদিত কিছু হিন্দু ভাস্কর্য সংরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়। চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার এক গণ্ডগ্রাম ঝিয়রী- প্রতœতাত্ত্বিক আবিষ্কারের ইতিহাসে সারা উপমহাদেশে উজ্জ্বল হয়ে আছে এই নাম। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের ফেব্র“য়ারি মাসে ঘটনা। ঝিয়রী গ্রামের জনৈক শহরআলী বলীর ঘর তৈরির সময়ে মাটির নিচ থেকে বের হয় ৬১টি বুদ্ধ মুর্তি, মন্দিরের দু’টি ুদ্র অনুকৃতি এবং মুর্তির ৩ খণ্ড ভাঙ্গা টুকরো। ঝিয়রীতে আবি®কৃত ধাতব ভাস্কর্যগুলো ছিল ৭ম-১১শ শতাব্দীতে এই অঞ্চলে জনপ্রিয় মহাযানী বৌদ্ধ ধর্মের নিদর্শন। এখনো কোনো কোনো সময় দেয়াং এলাকাসহ এ জেলার বিভিন্ন স্থানে বৌদ্ধ সংস্কৃতির নানা প্রতœ-উপাদান কেউ কেউ হঠাৎ খুঁজে পাচ্ছেন এখনো। কিন্তু ঝিয়রীর ভাস্কর্যগুলো স্থানীয় বৌদ্ধ-শিল্পকলার চমকপ্রদ নিদর্শন হিসাবে আঞলিক উৎকর্ষের এবং পরবর্তীকালে দণি-পূর্ব এশিয়ায় শিল্পকলার প্রসারে যোগসূত্রে স্যা রূপে অনন্য। এ-সব ভাস্কর্যের কোনো কোনোটিতে নালন্দা রীতির আবার কোনো কোনোটিতে বর্মী প্রভাব লণীয়।
ঝিয়রীর এই প্রতœতাত্ত্বিক আবিষ্কার উপমহাদেশীয় প্রাচীন শিল্পকলার মানচিত্রে চট্টগ্রামকে বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে। বৌদ্ধ-শিল্পকলার একটি প্রানকেন্দ্র হিসেবে চট্টগ্রামের স্থান পণ্ডিত মহলে স্বীকৃত হয়। ঝিয়রী-ভাস্কর্যের শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য ও নান্দনিক রূপকলা শিল্প রসিকদের সশ্রদ্ধ দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
রাঙ্গুনিয়ার বেতাগি গ্রাম সংলগ্ন কর্ণফুলি নদী থেকে কাঠ অনুসন্ধানকারীরা কালো পাথরেতৈরি একটি বুদ্ধ মূর্তি উদ্ধার করে। পদ্মাসনে ধ্যান-মুদ্রায় উপবিষ্ট এই বুদ্ধমূর্তি প্রাচীন শিল্পকলার এক অনন্য নিদর্শন, পাল শৈলীর সঙ্গে যার সাদৃশ্য রয়েছে। এই ভাস্কর্যের কেন্দ্রীয় মূর্তিটি একটি কুলুঙ্গির মধ্যে, এর শীর্ষে রয়েছে মন্দিরের প্রতিকৃতি। দুটি ুদ্রাকৃতির অলকৃত থাম ধারণ করে আছে একটি নকশি তোরণ। সব কিছু মিলিয়ে একটি খোদিত গুহার আকার।
১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে বড়উঠানের খিলপাড়া গ্রামে কয়েকটি বুদ্ধমূর্তি ও প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ আবি®কৃত হয়।
সপ্তম/অষ্টম শতাব্দীতে চট্টগ্রাম এলাকা ‘হরিকেল’ নামে পরিচিত হতো। পরে পর্যায়ক্রমে বর্তমান নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং সিলেট এলাকাও এই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। হরিকেলের সমৃদ্ধির কথা অনুমান করা যায় তৎকালে এখানে প্রচলিত মুদ্রা ব্যবস্থা পর্যালোচনার মাধ্যমে। এক পিঠে একটি ষাঁড় এবং অন্য পিঠে ত্রিধা চিহ্ন খচিত এই মুদ্রা প্রাচীন হরিকেলের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর পরিমাণে আবি®কৃত হয়েছে। সময়ে সময়ে এই মুদ্রার ওজন-মানের তারতম্য থেকে বন্দর চট্টগ্রামের তৎকালীন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উত্থান-পতনের ছক নির্ণয় করাও সম্ভব। প্রাচীন চট্টগ্রামের হাজার-হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য ও এই অঞ্চলের আদিকথা মালানিয়ে এখনো কোন পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচিত হয়নি। তবে এই অঞ্চলের ইতিহাসগুলোকে গ্রন্থ আকারে প্রকাশের প্রয়াস শুরু হয়েছে শতবছর আগে থেকে। চট্টগ্রামের ইতিহাস গ্রন্থ ও রচিয়তা বৃন্দ শিরোনামে চট্টগ্রামের ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি সোহেল মো. ফখরুদ-দীন প্রনীত একটি তালিকা নিন্মরূপ ঃ ১। আহাদিসুল খাওয়ানীন, হামিদউল্লাহ খান, (১৮৫৫ খ্রী.), ২। মেমোরেন্ডাম অনদ্য রেভিনিউ হিস্ট্রি অব চিটাগাং, এইচ. জে. এস. কটন, (১৮৮০ খ্রী.), ৩। চট্টগ্রামের ইতিবৃত্ত, তারক চন্দ্র দাশ গুপ্ত, (১৮৯৭ খ্রী.), ৪। এনটিকুইটি অব চিটাগাং, তিব্বত বিশেষজ্ঞ শরচ্চন্দ্র দাশ, (১৮৯৮ খ্রী.), ৫। শ্রী বাৎসা চরিতম, জগৎচন্দ্র ভট্টাচার্য্য বিদ্যা বিনোদ, (১৯০২ খ্রী.), ৬। চট্টগ্রামে মগের ইতিহাস, ডাঃ রামচন্দ্র বড়–য়া, (১৯০৫ খ্রি.), ৭। ডিস্টিক্ট গেজেটিয়ার অব চিটাগাং, ও’মলি (১৯০৮ খ্রী.), ৮। চট্টগ্রাম ইতিবৃত্ত, সতীশচন্দ্র ঘোষ, (১৯১০ খ্রী.), ৯। চট্টল কায়স্ত পরিচয়, যাত্রা মোহন সেন গুপ্ত (১৯১৪ খ্রী.), ১০। পল্লীর ইতিহাস (১ম খণ্ড), যাত্রা মোহন সেন গুপ্ত (১৯১৫ খ্রী.), ১১। চক্রশালার ইতিহাস, রজনী কুমার বিশ্বাস (১৯১৬ খ্রী.), ১২। চট্টগ্রাম দর্পন, সুরেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯১৬ খ্রী.), ১৩। ইসলামাবাদ, আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ (১৩২৫ বাংলা), ১৪। চট্টগ্রামের ইতিহাস, পূর্ণচন্দ্র দেব ব্রম্মতথনিধি বর্মুা ক্তনিধি (১৯২০ খ্রী.), ১৫। সন্দ্বীপের ইতিহাস, রাজকুমার চক্রবতী, অনঙ্গ মোহন দাশ (১৯২৪ খ্রী.), ১৬। চট্টগ্রামের প্রাচীন ইতিবৃত্ত ও অঞ্চলের ইতিহাস, মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী (১৯৩০ খ্রী.), ১৭। চাটিগ্রামী রোমাই তত্ত্ব, আবদুল রশিদ সিদ্দিকী (১৯৩৫ খ্রী.), ১৮। চট্টগ্রামের ভাষাতত্ত্ব, আবদুর রশিদ সিদ্দিকী (১৯৩৫ খ্রী.), ১৯। চট্টগ্রামের বাংলা রহস্য ভেদ, ডঃ মুহাম্মদ এনামুল হক (১৯৩৫ খ্রী.), ২০। চট্টগ্রামের ইতিহাস পুরানা আমল, মাহবুব-উল-আলম (১৯৪৭ খ্রী.) , ২১। চট্টগ্রামের ইতিহাস নবাবী আমল, মাহবুব উল আলম (১৯৪৭ খ্রী.), ২২। চট্টগ্রামের ইতিহাস কোম্পানী আমল, মাহবুব উল আলম (১৯৫৫ খ্রী.), ২৩। এর্শট হিস্ট্রি অব চিটাগাং, সৈয়দ আহমদুল হক (১৯৪৯ খ্রী.), ২৪। কুতুব দিয়ার ইতিহাস, রসিক চন্দ্র পাল (১৯৪৮ খ্রী.), ২৫। কুতুব দিয়ার ইতিহাস, জালালুদ্দিন আহমদ (১৯৬৩ খ্রী.), ২৬। র্শট হিস্ট্রি অব চিটাগাং, সৈয়দ মুরতাজা আলী (১৯৬৪ খ্রী.), ২৭। বাংলা সাহিত্যে চট্টগ্রামের অবদান, সাহেদ আলী (১৯৬৫ খ্রী.), ২৮। চট্টগ্রামের ইতিহাস, ডঃ আহমদ শরীফ (১৩৭৫ বাংলা), ২৯। চট্টগ্রামের ইসলাম, ডঃ আবদুল করিম (১৯৭০ খ্রী.), ৩০। চট্টগ্রামের ইতিকথা, বিশ্বেশর চৌধুরী (১৯৭০ খ্রী.), ৩১। দ্য রেভিনিউ এডমিনিস্ট্রেশন অব দ্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ইন চিটাগাং, (১৭৬১-১৭৮৬) ডঃ আলমগীর, মোঃ সিরাজুদ্দিন (১৯৭৯ খ্রী.), ৩২। বৃহত্তর চট্টল, মোঃ নুরুল হক (১৯৭৬ খ্রী.), ৩৩। চট্টগ্রামের ইতিহাস প্রসঙ্গ, আবদুল হক চৌধুরী (১৯৭৬ খ্রী.), ৩৪। চট্টগ্রামের চরিতাভিধান, আবদুল হক চৌধুরী (১৯৭৯ খ্রী.), ৩৫। চট্টগ্রামের সমাজ ও সংস্কৃতি, আবদুল হক চৌধুরী (১৯৮০ খ্রী.), ৩৬। হিস্ট্রি অব চিটাগাং, ডঃ সুনীতি ভূষণ কানুনগো (পি.এইচ.ডি বিসিস ১৯৭৩) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৭। চিটাগাং গাইট, মাহবুবুল হক (১৯৮১ খ্রী.), ৩৮। বাংলার ইতিহাস (প্রাচীন যুগ), সুনীতিভূষণ কানুনগো (১৯৯৪ খ্রী.), ৩৯। বাংলা সাহিত্যে মুসলিম স্বাতন্ত্র্য চেতনা, ডঃ আবুল কাসেম (২০০৯ খ্রী.), ৪০। কালের স্মরনীয় ব্যক্তিত্ব, অনুপ বিশ্বাস (১৪১১ বাংলা), ৪১। চট্টগ্রামে নজরুল, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান (১৯৯৩ খ্রী.), ৪২। অনুসন্ধান (১ম খন্ড), রায়হান আজাদ (২০০৫ খ্রী.), ৪৩। স্মরনী, এডঃ আবু সালেহ (সাবেক এম পি), (১৯৮৯ খ্রী.), ৪৪। স্মরন, অধ্যাপক রনজিত কুমার দে (১৯৯৭ খ্রী.), ৪৫। জীবন জয়ের পথিক, অধ্যাপক হিমাংশু বিমল ভট্টাচায্য (১৯৯৪ খ্রী.), ৪৬। শাহ্ শরফুদ্দীন (রঃ) জীবনী, সোহেল মো. ফখরুদ-দীন (২০০৩ খ্রী.), ৪৭। আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ সেকাল একাল, রায়হান আজাদ (২০০৪ খ্রী.), ৪৮। সূফী জীবন দর্শন, অধ্যাপক শিব প্রসাদ শূর (২০০৯ খ্রী.), ৪৯। মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরী, সাথী দাশ (২০০০খ্রী.), ৫০। বাঙালী জাতির মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ, ডাঃ মাহফুজুর রহমান (১৯৯৪ খ্রী.), ৫১। জীবন্ত ইতিহাস (২য় খন্ড), সোহেল মো. ফখরুদ-দীন (২০০২ খ্রী.), ৫২। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম কবিতা, অরুন দাশ গুপ্ত (২০০৭ খ্রী.), ৫৩। স্মৃতিতে ভাষা আন্দোলন-মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য, এ কে এম এমদাদুল ইসলাম (২০০৮ খ্রী.), ৫৪। রামুর ইতিহাস, আবুল কাসেম (২০০৭ খ্রী.), ৫৫। প্রাচ্যের রাণী চট্টগ্রাম, মোঃ সিরাজুল হক চৌধুরী (২০০৭ খ্রী.), ৫৬। চট্টগ্রামের কথা, আহমদুল ইসলাম চৌধুরী (২০০৪ খ্রী.), ৫৭। কিংবদন্তীর গল্প চট্টগ্রাম, সুচরিত চৌধুরী (১৯৯৩ খ্রী.), ৫৮। জাগো চন্দনাইশ, সোহেল মো. ফখরুদ-দীন, (২০১০ খ্রী.), ৫৯। বাংলা সাহিত্যে মুসলিম জাগরনের সুচনা, হোসেন মাহমুদ(২০০০ খ্রী.), ৬০। সন্দ্বীপ-সমীা, হাসান মোহাম্মদ (১৯৯৯ খ্রী.), ৬১। সমকালীন চট্টগ্রামের চালচিত্র, বিশ্বজিৎ চৌধুরী (২০০৮ খ্রী.), ৬২। কিরাত- প্রাচীন বাংলার সমৃদ্ধ এক জনপদ, আবদুস সালাম মামুন (১৯৯৬ খ্রী.), ৬৩। বাংলার ইতিহাস (সুলতানী আমল), সুনীতি ভূষণ কানুনগো(১৯৯৬ খ্রী.), ৬৪। প্রাচ্যের রাষ্ট্র দর্শন, সুনীতি ভূষণ কানুনগো (২০০৪ খ্রী.), ৬৫। পাঠান বংশের ইতিহাস, ওহীদুল আলম (১৯৯৪ খ্রী.), ৬৬। বাংলাদেশের রাজনীতিক দলের ভূমিকা, শেখ মোঃ ওমর ফারুক (২০০৮ খ্রী.), ৬৭। চাটগাঁইয়া রচনা ও বুলি, মোহাম্মদ ইদ্রিছ (২০১১ খ্রী.), ৬৮। সিদ্দিকীয়া বংশের ইতিহাস, ডঃ মঈনুদ্দীন আহমদ খান (১৯৯৮ খ্রী.), ৬৯। চট্টগ্রামে ভাষা আন্দোলন, শরীফ শমশির (২০০৩ খ্রী.)৭০। মাইজভান্ডার শরিফ ঐশপ্রেতি, মুহাম্মদ ইকবাল ইউসুফ (২০০২ খ্রী.), ৭১। রাজমালায় চট্টগ্রাম, নুরুল ইসলাম বিত্রসসি, ৭২। চট্টগ্রাম, ডাঃ ডিকে ঘোষ (২০০৯ খ্রী), ৭৩। বান্দারবান সমীা, আমিনুল ইসলাম বাচ্চু (২০০৫ খ্রী.), ৭৪। গারাংগিয়া বড় হুজুর কেবলার জীবন চরিত, আলহাজ্ব আহমদুল ইসলাম চৌধুরী (১৯৮৩ খ্রী.), ৭৫। দণি চিটাগাং, খলিল আহমদ (বাঁশখালী), ৭৬। চট্টগ্রামের ধাঁধার ছড়া ভাংগো কিস্সা, রেহানা বেগম (২০০৪ খ্রী.), ৭৭। চট্টগ্রামের ইতিহাস, ওহীদুল আলম (১৩৯৬ বাংলা), ৭৮। চট্টগ্রামের বুলি ও গালি, নুরুল ইসলাম বিত্রসসি (২০০৮ খ্রী.), ৭৯। হাজার বছরের বাংলা, বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন (২০০০ খ্রী.), ৮০। পটিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য, এস এম এ কে জাহাঙ্গীর (১৪০০ বাংলা), ৮১। চন্দনাইশ মনীষা, এডঃ বদিউল আলম (১৯৯৯ খ্রী.), ৮২। সৃষ্ট চন্দনাইশ, সোহেল মো. ফখরুদ-দীন (২০০৩ খ্রী.), ৮৩। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রাম, সুনীতি ভূষণ কানুনগো (২০০৫ খ্রী.), ৮৪। এদেশে যাঁরা স্মরণ ও বরণযোগ্য, এ কে এম এমদাদুল ইসলাম (২০০৮ খ্রী.), ৮৫। হযরত শাহ্ সাহেব (রহঃ) চুনতী, আহমদুল ইসলাম চৌধুরী (১৪১৩ বাংলা), ৮৬। চট্টগ্রামের কৃতি পুরুষ, নেছার আহমদ (২০০৮ খ্রী.), ৮৭। শাহ সুফি কালুশাহ (রঃ)র জীবনী, সোহেল মো. ফখরুদ-দীন (২০০৬ খ্রী.), ৮৮। স্মৃতির পাতায় চট্টগ্রামের ভাষা আন্দোলন, ছৈয়দ গোলম নবী (২০০৭ খ্রী.), ৮৯। বাংলার শাসনতান্ত্রিক ইতিহাস, সুনীতিভূষণ কানুনগো (১৯৯২ খ্রী.), ৯০। অনুসন্ধান (১ম খন্ড), রায়হান আজাদ (২০০৩ খ্রী.), ৯১। চট্টগ্রামের ইসলামী ঐতিহ্য, ডঃ আবদুল করিম (২০০২ খ্রী.), ৯২। আমার সংগ্রাম আমার রাজনীতি, কর্ণেল (অবঃ) অলি আহমদ বীরবিক্রম (২০০১ খ্রী.), ৯৩। মহেশ খালীর আদিনাথ মন্দিরের ইতিকথা, মুহাম্মদ আবদুল বাতেন (২০১১ খ্রী.), ৯৪। খ্যাতিমানদের নানান রঙের দিন গুলি, মুহাম্মদ শামসুল হক (২০১১ খ্রী.), ৯৫। অনন্য জীবন সাধক এ এস এম মোফাখখর, প্রফেসর চেমন আরা (১৩৯৫ বাংলা), ৯৬। উপমহাদেশের আইন ও শাসনের ইতিহাস, বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন (২০০৬ খ্রী.), ৯৭। বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত, আবদুল হাই-সৈয়দ আলী আহসান (১৩৯৫ বাংলা), ৯৮। ডঃ আবদুল করিম সংবর্ধনা গ্রন্থ, সম্পাদনায়-শামসুল হোসাইন (২০০৬ খ্রী.), ৯৯। আমাদের ভূলে যাওয়া ইতিহাস, নেছার আহমদ (২০০২ খ্রী.), ১০০। চট্টগ্রামের নারী লেখক, সম্পাদনায়- জামাল উদ্দিন, শরীফা বুলবুল (২০০৫ খ্রী.), ১০১। দেয়াং পরগনার ইতিহাস (আধুনিককাল), জামাল উদ্দিন (১৪১২ বাংলা), ১০২। আমারপীর (১ম খন্ড নব সংস্করণ), শাহ মোহাম্মদ বদিউল আলম (২০০২ খ্রী.), ১০৩। মুক্তি, জাহাঙ্গীর আলম নান্টু (২০০৫ খ্রী.), ১০৪। মাওলানা ইসলামাবাদী, ছৈয়দ মোস্তফা জামাল (১৯৮০ খ্রী.), ১০৫। চন্ডীতীর্থ মেধস আশ্রম, অধ্যাপক সচ্চিদানন্দরায় চৌধুরী (১৪১৪ বাংলা), ১০৬। ভাষা আন্দোলনে ফেরদৌস খান, অধ্যাপক এম আর মাহবুব (২০০৭), ১০৭। অধ্যাপক আসহাব উদ্দিন স্মারক, আবু জাকের, অনুপম বিশ্বাস (২০০২ খ্রী.), ১০৮। খান বাহাদুর বদি আহমদ স্মারক গ্রন্থ, নুর মোহাম্মদ রফিক (১৯৯৩ খ্রী.), ১০৯। নোবেল বিজয়ী ডঃ মোঃ ইউনুছ, চট্টলশীখা, চট্টগ্রাম সমিতি, ঢাকা, ১১০। চট্টগ্রাম স্মরনী, বি এ আজাদ ইসলামাবাদী (১৯৯১ খ্রী.), ১১১। হাজার বছরের চট্টগ্রাম, দৈনিক আজাদীর ৩৫ বছরপূর্তি উপলে প্রকাশিত ঐতিহাসিক গ্রন্থ, অধ্যাপক মোঃ খালেদ (১৯৯৫), ১১২। চট্টগ্রাম মহানগরীর ইতিহাস ঐতিহ্য, শতদল বড়–য়া (২০০৬ খ্রী.), ১১৩। এ কে খান স্মারক গ্রন্থ, হেলাল হুমায়ূন, (১৯৯১ খ্রী.), ১১৪। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, এম.এ.বার্নিক ২০০৫ খ্রী.), ১১৫। স্মৃতিতে ভাষা আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য, এ কে এম এমদাদুল ইসলাম (২০০৮ খ্রী.), ১১৬। বাংলাদেশে নির্বাচন ও নির্বাচনী তথ্য উপাত্ত, মোঃ কামাল উদ্দিন (২০১০ খ্রী.), ১১৭। চট্টগ্রাম ঃ অতীত ও ঐতিহ্য, তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী (২০০৮ খ্রী.), ১১৮। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে একুশের ইতিহাস, অধ্যাপক এম আর মাহবুব (২০০৯ খ্রী.), ১১৯। স্মরনীয় বরণীয়, জাফর আলম (১৯৮০ খ্রী.), ১২০। সাংবাদিক অভিধান, সম্পাদনায়- প্রেস ইনস্টিটিউট (২০০১ খ্রী.), ১২১। অধ্য আবুল কাসেম স্মারক, অধ্যাপক কাজী আজিজ উদ্দিন আহমদ (১৯৯১ খ্রী.), ১২২। মুক্তি সংগ্রামে ভারত, সম্পাদিত- পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি (১৯৮৬ খ্রী.), ১২৩। গাউসুল আজম মাইজভান্ডারীর জীবনী, সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী (১৯৬৭ খ্রী.), ১২৪। রোডটু মীর সরাই, মাহবুব আলম সাবু (২০০২ খ্রী.), ১২৫। চট্টগ্রাম উৎসব স্মারক, ফাউজুল কবির, এজাজ ইউসুফী, মুনির হেলাল (২০১০ খ্রী.), ১২৬। গারাংগিয়া বড় হুজুর (রঃ), আহমদুল ইসলাম চৌধুরী (২০০৩ খ্রী.), ১২৭। শানে ওয়াসি (রহ) আহমদুল ইসলাম চৌধুরী (২০০৫ খ্রী.), ১২৮। অভিযান, মোঃ শফকত হোসাইন চাটগাঁমী (২০০৮ খ্রী.)। চট্টগ্রামের হাজার হাজার বছরের গৌরবময় ইতিহাসের সোনালী অধ্যায়ের সাথে জড়িত রয়েছে এ অঞ্চলের জন্মনেয়া উদ্ভাসিত সন্তানদের বীর গাথা কথামালা ও তাঁদের অবদান। আমরা এ প্রজন্মে এসে অনেকেই তাঁদের কথা ভুলতে বসেছি। ভুলে গেছি তাঁদের গৌরব ময় অবদানের কথা। চট্টলবাসী অনেকেই এখন নুর আহমদ চেয়ারম্যান, কাজেম আলী মাষ্টার, মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, কবি আব্দুল হাকিম, কলিম উল্লাহ মাষ্টার, সূর্য সেন, যতীন্দ্র মোহন সেন, যাত্রা মোহন সেন, সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ্, মহাকবি নবীন সেন, হাবিলদার রজব আলী, কমরেড মোজাফ্ফর আহমদ, আইনুন নাহার, কবি জমিরুন নেসা, আস্কর আলী পণ্ডিত, আতাউল হাকিম, বক্শ আলী পণ্ডিত, কমর আলী পণ্ডিত, কালি দাশ নন্দীর কথা ভুলে গেছি। চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র চট্টগ্রামের ইতিহাসে কালজয়ী মনীষিদের স্মরন করতে “চট্টল মনীষি স্মরণ উৎসব ২০১২’তে প্রকাশ করেছেন প্রয়াত উদ্ভাসিত মনিষী তালিকা।
* শেখ-ই-চাটগাম কাজেম আলী মাষ্টার (১৮৫২-১৯৬২) * আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ (১৮৬৯-১৯৫৩) * ড. মুহাম্মদ এনামুল হক (১৯০২-১৯৮২) * ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক (১৮৯৬-১৯৬২) * কবিয়াল রমেশ শীল (১৮৭৭-১৯৬৭) *কমরেড মোজাফ্ফর আহমদ (১৮৮৯-১৯৭৩) * কলিম উল্লাহ্ মাষ্টার (১৮৭৬-১৯৬২) *নূর আহমদ চেয়ারম্যান (১৮৯০-১৯৬৪) * আসমা খাতুন (-১৯৮২) * বিপ্লবী সূর্য সেন (১৭৫৭-১৯৩৪) * মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী (১৮৭৫-১৯৫০) * দেশ প্রিয় যতীন্দ্র মোহন সেন (১৮৮৫-১৯৩৩) * প্রিন্সিপ্যাল আবুল কাসেম (১৯২০-১৯৯১) * নতুন চন্দ্র সিংহ (১৯০০-১৯৭১) * আমানত খান বি.এল (১৮৯০-১৯৭১) * খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরী (১৮৮৬-১৯৬২) * শাহ মোহাম্মদ বদিউল আলম (১৮৫৬-১৯৩১) * সাহিত্যিক আব্দুল রশিদ ছিদ্দিকী (১৮৯৪-১৯৫১) * আইনুন নাহার (মহিলা কবি) (১৯২৩ জন্ম) * জমিরুন নেসা (মহিলা কবি) (-১৯৩০) * রহিমুন নেসা (মহিলা কবি) (-১৯১৯) *রহিমা (মহিল কবি)* আতাউল হাকিম (শিক্ষাবিদ) পটিয়া (১৮৮৮-১৯৭৩) *মওলভী মোঃ আফজল (শিক্ষাবিদ) (১৯ শতক) *মাওলানা আফজল আহমদ চৌধুরী (শিক্ষাবিদ) (ফটিকছড়ি) (২০ শতকের) * কবি আবদুল নবী (সীতাকুন্ড) আমীর হামজা কাব্যের রচিয়তা (১৬৮৪ ইং) * আবদুল বারী (সাহিত্যিক) (১৯১১-১৯৬০) * অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ (রাউজান) * মওলভী আবদুস সোবাহান, শিাবিদ (পটিয়া) (১৮৫৩-১৯১৮) *আবদুস সাত্তার (রাজনীতিক) রাউজান (১৯১৮-১৯৭৯) *আবদুস সাত্তার চৌধুরী, পূঁথি বিশারদ (পটিয়া) (১৯১৭-১৯৮২) * মাওলানা আবদুল লতিফ (শিাবিদ) মীরশরাই (১৮৬২-১৯৪০) * আবদুস সোবাহান (সাংবাদিক) সাতকানিয়া ( উনিশ- বিশ শতক) * মাওলানা আবদুল হাকিম (শিাবিদ) * মাওলানা আবদুল হাকিম (শিক্ষাবিদ) সাতাকানিয়া (উনিশ- বিশ শতক) * মাওলানা আবুল হায়ের (শিক্ষাবিদ) (১৯১৫-) * আলী আহমদ অলি ইসলামাবাদী (সাহিত্যিক) পাঠানটুলী (১৯৩৬-) * আবুল মাআলী হামিদ আলী (সাহিত্যিক) রাউজান (১৮৭৪-১৯৫৪) * আমান আলী মাষ্টার (রাজনীতিবিদ) বাকলিয়া (১৮৫০-১৯৩১) * মহাকবি শেখ শাহ আলওয়াল (চট্টগ্রাম) (১৬০৭-১৬৮০) * আসকর আলী পণ্ডিত (পটিয়া) (১৮৪০- ১৯২৮) * আশরাফ আলী ফকির (সাধক পুরুষ) বাঁশখালী (১৯-২০ শতক) * আশুতোষ চৌধুরী (সাহিত্যিক) (১৮৯০-১৯৪৪) * মাওলানা সৈয়দ শাহ সুফী আহমদ উল্লাহ্ আল মাইজভান্ডারী (কঃ) (১৮২৫-১৯০৫) * মোঃ উজির আলী (মধ্য যুগের কবি) (হাটহাজারী) * উম্দতুল ইসলাম (শিাবিদ) রাউজান (১৮৯৪-১৯৪৯) * ইমরতুল ফজল (নারী নেত্রী-সাহিত্যক) ১৯২১-) এয়াকুব আলী দোভাষী (ফিরিংগী বাজার) (-১৯০৯) * মাওলানা ওয়ালি উল্লাহ্ (বিট্রিশ বিরোধী নেতা) সাতকানিয়া (১৯-২০ শতক) * অহিদুল আলম (কথা সাহিত্যিক) (১৯১১-) * কমর আলী (মধ্যযুগের কবি) বোয়ালখালী (সপ্তদশ শতক) * আবুল হোসেন পণ্ডিত (পটিয়া) (১৯-২০ শতক) *বক্শ আলী পণ্ডিত (পটিয়া) (আঠার শতক) * কমর আলী পণ্ডিত (পটিয়া) (উনিশ শতক) * ফাজিল মোঃ চৌধুরী (পটিয়া) (আঠার শতক) * নুর আলী বৈদ্য (ফটিকছড়ি) (উনিশ শতক), * কালি দাশ নন্দী (পূঁথি সাহিত্যর অনুলিখক) (পটিয়া. দলগাট) (উনিশ শতক) * লৌক সাহিত্যের নায়েকা জমিদার রাণী মলখা বানু (সরল-বাশখালী) (১৮-১৯ শতক) * ননাগাজী চৌধুরী (মধ্যযুগের কবি) (পটিয়া) * সৈয়দ সোলতান (জন্ম সিলেট- কর্ম জীবনাবাসন পটিয়া) (১৬ শতকের কবি) নসরুল্লা খোন্দকার (বাঁশখালী) (১৮ শতকের কবি) * হামিদ উল্লাহ্ খাঁ (ঐতিহাসিক/সাহিত্যিক ও জমিদার) (১৮০৯-) * পূর্ণচন্দ্র বেদ বর্ম্মা চৌধুরী (পটিয়া) (১৮-১৯ শতক) * মোঃ ইসলাম খাঁ (এনায়েত বাজার) (১৮৯৫-১৯৭৪) * ওয়ালী উল্লাহ্ (সাংবাদিক) সন্দ্বীপ (১৯০৫-) * ওহীদুল আলম (হাটহাজারী) (১৯১১-) * কবি চুহর (বাঁশখালী) (১৮০৪-১৯৩৫) * আলী রাজা কানু শাহ (১৬৮০-১৭৬৫) *কানু ফকির (সীতাকুণ্ড) (১৮৩৯ পর্যন্ত জীবিত ছিল) * কামাল উদ্দিন আহমদ খান (সুফিয়া কামালের স্বামী) লোহাগাড়া (১৯০৭-১৯৭৭) * খলিলুর রহমান (শিাবিদ) বাঁশখালী * জুনু শাহ (বিখ্যাত সুফি সাধক) চট্টগ্রাম (-১৮৯৩) * দাইম শাহ (হাটহাজারী) (১৮৪০-১৯০০) * দৌলত উজির বাহরাম খাঁ (চট্টগ্রামের অর্ধস্বাধীন রাজা) নিজামশাহ পুরের রাজসভার উনি ছিলেন প্রধান কবি, (লাইলী-মজনু এর লেখক) (১৫৬০-১৫৭৫ সময় রচিত) * নওয়াজিশ খানে (চট্টগ্রামের প্রাচীন যুগের কবি) * নসরুল্লা খাঁ (কবি) মুসার ছওয়াল ও জঙ্গঁনামা রচয়িতা) * নাছির উদ্দিন (চট্টগ্রামের প্রথম ডেপুটি কালেকটর) (মৃত্যু ১৮৬৭) *নুরুদ্দিন সৈয়দ (চট্টগ্রামের প্রাচীন যুগের কবি) (১১৯৭ সাল পর্যন্ত জীবিত ছিলেন) * পীর বারে শাহ ( বার আওলিয়ার অন্যতম সুফি সাধক) (….-১৩৪০) * সুফি ফতেহ আলী শাহ্ (চট্টগ্রাম) (১৮৯৬ সালে মুত্যু) * কবিয়াল করিম বক্স (চন্দনাইশ) (১৯-২০ শতক) * মনিনন্দ্র লাল সরকার (কবিয়াল) (১৯০১-২০০১) * কবিয়াল এয়াকুব আলী (আনোয়ারা) * বিপিন বিহারী নন্দী করি (পটিয়া) (১৮৭০-১৯৩৭) * বেনী মাধব বড়–য়া (শিাবিদ (১৮৮৮-১৯৪৮) * মুহাম্মদ জামান (সাহিত্যিক/ শিাবিদ) (১৯০৫-১৯৭৮) * মাগন ঠাকুন (আরকান রাজসভার কবি) রাউজান চট্টগ্রাম (সপ্তদশ শতক) *কবি মোঃ মুকিম (রাউজান) (১৮-১৯ শতক) * মওলভী মোজাফ্ফর আহমদ (শিাবিদ) চাঁন্দগাও (১৮৮০-১৯৬৫) * মাওলানা আবদুল হামিদ ফখরে বাংলা, (নগরপাড়া, চন্দনাইশ) (উনিশ শতক) * অধ্যাপক চৌধুরী সাহাব উদ্দিন আহমদ খালেদ (রাষ্ট্র ভাষা আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহবায়ক) চন্দনাইশ * ছৈয়দ সোলতান (প্রাথমিক শিা আন্দোলনের মহাননেতা) সাতকানিয়া (উনিশ শতক) * ডঃ আহমদ শরীফ (পটিয়া) (১৯০২-১৯৭০) * রুনু বিশ্বাষ (খ্যাতিমান নৃত্য শিল্পী) পটিয়া * সোম নাথ হোড় (এশিয়ার বিখ্যাত ভাস্কর্য শিল্পী) (বরমা চন্দনাইশ) * কবি মহিম চন্দ্র দাশ (পটিয়া) (উনিশ শতক) * অধ্যাপক পুলিন দে (রাজনীতিক) * সুলতান আহমদ কুসুমপুরী (রাজনীতিক) * শরত চন্দ্র দাশ (কবি/ ঐতিহাসিক) (পটিয়া) * শেখ ফয়জুল্লাহ্ (গাজী বিজয়, জয়নালের কাব্যের রচিয়তা) (১৮ শতকের কবি) পটিয়া * সফর আলী (দরবেশী পূঁথি ও চৌতিশা কাব্যের রচিয়তা) পটিয়া * কবি জৈনুদ্দীন (রসুল বিজয় কাব্য গ্রন্থের রচিয়তা, তিনি ১৪৭৪-১৪৮১ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত সুলতান ইউসুফ খানের সভা কবি ছিলেন) * চম্পা গাজী (১৮ শতাব্দীর কবি, তিনি রাগনামা কাব্যের রচিয়তা) * শাহ্ শরীফ (তিনি কবিগুরু সৈয়দ সোলতানের পুত্র, সপ্তদশ শতকে লালমতি সফরমুল্লুক কাব্য তিনি রচনা করেন) * আবদুল মজিদ (সমাজ সেবী) (১৮৬৫-১৯৫০) চন্দনাইশ, (তিনি চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি সোহেল মো. ফখরুদ-দীনের দাদা, আবদুল মজিদের পিতা হাজী সফর আলী প্রখ্যাত সমাজ কর্মী ছিলেন তাঁর পিতা বারেছ তালুকদার ছিলেন প্রভাবশালী জমিদার ও নামজাদা সমাজকর্মী তাঁর পিতা ছিলেন ইদং গাজী) * মনির আহমদ কামাল উদ্দিন (প্রখ্যাত শিানুরাগী ও দানবীর) * শ্রী কর নন্দী (তিনি গৌড়ের সুলতান হোসেন শাহ) (১৪৯৩-১৫১৯) অথবা তৎপুত্র নসরত শাহ্’র রাজত্বকালে (১৫১৯-১৫৩১) চট্টগ্রামের সেনানী শাসক পরাগল খাঁর পুত্র ছুটি খার আদেশে তিনি সংস্কৃত জৈনিনি মহাভারতের “অশ্বমেধ” পর্বের বঙ্গানুবাদ করেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এটি “ছুটি খানি মহাভারত” নামে খ্যাত (পটিয়া) * রামেশ্বর (ষোল শতকের শিবায়ন কাব্যের রচিয়তা) পটিয়া * মুজাফ্ফর (ইউনান দেশের পুঁথি নামের কাব্যের রচিয়তা) পটিয়া (সপ্তদশ শতকের কবি) * মীর মোহাম্মদ সফি (নুর নামা কাব্যের রচিয়তা) (ষোল শতকের কবি) * বদিউদ্দীন কাজী (ফাতেমার ছুরতনামা কাব্য গ্রন্থ রচনা করেন) (আটার শতকের কবি) * কাইমুদ্দীন মুনসী (চেমন বাহার কাব্যের রচিয়তা) চট্টগ্রাম * গদা হোসেন খোন্দকার (শাহ গদী (রঃ)) (আঠার শতকের রওশনা বাদ রাজ্যের প্রতিষ্টাতা শহীদ মীর সমসের গাজীর পীর ছিলেন, তিনি একজন বিখ্যাত সাধক পুরুষ ছিলেন। * নিধিরাম আচার্য্য (ঐতিহাসিক চক্রশালায় জন্ম) তিনি ১৭৫৬-৫৭ সালে কালিকামঙ্গল কাব্য রচনা করেন। ইউ.এন. ছিদ্দিকী, (১৯০১-১৯৮৯) *আলহাজ্ব ইউসুফ চৌধুরী (১৯২১-২০০৭) * গবেষক আব্দুল হক চৌধুরী (১৯২২-১৯৯৪) * কবি ওহিদুল আলম * মাওলানা ওবাইদুল হক (১৮৫৬-১৯*২১) * এম. এ. আজিজ (-১৯৭০) * এম, এ, হান্নান * অধ্য মোজাহের মিঞা * সাহিত্যিক হামবুবুল আলম (১৮৯৬-১৯৮৬) * অধ্যাপক আবুল ফজল (১৯০৩-১৯৮৩) *কমরেড আসহাব উদ্দিন আহমদ (১৯১৪-১৯৯৪) * নুরুল হক চৌধুরী (১৮৯০-১৯৫৮) * আব্দুর রহমান (পটিয়া) (১৯০২-১৯৭৭) * বাদশা মিঞা চৌধুরী (১৯১৫-…) * জহুর আহমদ চৌধুরী (-১৯৭৩) * সাংবাদিক আব্দুস সালাম (১৯০৮-১৯৮৭) *সাংবাদিক হাবিবুর রহমান খান, (১৯০০-১৯৮৫) * এয়ার আলী খান (১৯০৬-১৯৮১) * মোঃ জালাল উদ্দিন আহমদ চৌধুরী (দণি চট্টগ্রামের প্রথম মুসলমান মন্ত্রী) (১৮৮২-) * আব্দুল হক দোভাষ (১৮৭৪-) * মির্জা আবু আজম (১৯১১-১৯৭৬) * ডাঃ আবুল হাসেম (১৮৯৪-১৯৭০) * সুলতান আহমদ দেওয়ান (১৯১৯-১৯৮২) *ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দিন (১৯০৫-১৯৮৬) * সুলতান আহমদ (১৯৬৪-১৯৬৯ পর্যন্ত মন্ত্রী ছিলেন) (-১৯৭৭) * মোহাম্মদ নাসির (শিল্পী) (১৯০৩-১৯৭৯) * মৌলভী মীর হোসেন (১৯০০-১৯৭৭) *মকবুল আহমদ (১৯০০-১৯৭৫) * গুরা মিঞা চৌধুরী (১৮৭০-১৯৫৪) * মহা কবি নবীন চন্দ্র সেন (১৮৪৭*-১৯০৯) * কবি গল্পকার সুচরিত চৌধুরী (১৯২৯-১৯৯৪) *কবি নবীন চন্দ্র র্দাশ, পটিয়া, (১৮৫৩-১৯১৪) * কথা শিল্পী সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ (১৯২২-১৯৭১) *কবি আব্দুল হাকিম, সন্দ্বীপ (মধ্যযুগের কবি) *মাওলানা ওবাইদুল হক (কলকাতা আলিয়ার প্রথম অধ্য) *হাবিলদার রজব আলী, (বিট্রিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা) সন্দ্বীপ * আব্দুল বারী চৌধুরী (-১৯৫৯) * মৌলভী হাফিজুর রহমান বিটি বিএ (১৯১৭-১৯৯৮) * আবুল কাসেম সাব জর্জ * বুলবুল চৌধুরী (১৯১১-১৯৫৪) * মৌলভী ফরিদ আহমদ (১৯২৩-১৯৭১) * মোস্তাক আহমদ (১৮৮৬-১৯৭৪) * আব্দুল লতিফ উকিল (১৮৯৭-১৯৬৫) * প্রফেসর ড. আব্দুল করিম (১৯২৮-২০০৭), * রাজদূত শরৎচন্দ্র দাশ (১৮৪৯-১৯১৭) * নজির আহমদ চৌধুরী (১৯৩২-১৯৯৯) * আলী রজা কানু শাহ, আনোয়ারা * কবি আল দ্বীন আল নূর, চন্দনাইশ * যাত্রা মোহন সেন গুপ্ত, বরমা, চন্দনাইশ (১৮৫০-১৯১৯) ॥

লেখক: প্রাবন্ধিক, মরমী গবেষক ও গ্রন্থপ্রণেতা।



ফেইসবুকে আমরা