বাংলাদেশ, , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী গবেষণা পরিষদ ও চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ইসলামাবাদীর ৭২তম মৃত্যুবার্ষিকীর সেমিনার

  প্রকাশ : ২০২২-১০-২৬ ২০:০১:০৯  

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ইসলামাবাদীর ৭২তম মৃত্যুবার্ষিকীর সেমিনারে বক্তারা :
এতিম-অনাথের কল্যাণসহ অনগ্রসর মুসলমান সমাজকে শিক্ষার
আলো দান করেছেন মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী

পরিস্থিতি২৪ডটকম : তদানীন্তন ভারতবর্ষের কৃষক প্রজা পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য মজলুম জননেতা মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী চেয়েছিলেন, ভারতবর্ষে কৃষকভিত্তিক রাজনীতি ও কৃষিনির্ভর উন্নয়নশীল জাতি গঠন করতে। সে লক্ষ্যে তিনি শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের সঙ্গে কৃষক প্রজা পার্টির মাধ্যমে ভারতবর্ষের জনগণকে কৃষিভিত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। পূর্ব বাংলার বৃহৎ ফসলভূমি রাঙ্গুনিয়া গুমাই বিল প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী ঐতিহাসিক কৃষক সমাবেশের মাধ্যমে মাওলানা ইসলামাবাদীর কৃষকদের জাগরণের চেষ্টা করে বক্তব্য দিয়েছিলেন। তাঁর লিখিত অভিভাষণ কৃষক সমাজের মুক্তির সনদ হিসেবে আজও ইতিহাসে সংরক্ষিত। এতিম-অনাথের কল্যাণসহ অনগ্রসর মুসলমান সমাজকে শিক্ষার আলো দান করেছেন মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী। ২৪ অক্টোবর ২০২২ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, সমাজসংস্কারক, রাজনীতিবিদ, কৃষক প্রজা পার্টির সেক্রেটারী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর ৭২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী গবেষণা পরিষদ ও চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে ইসলামাবাদীর জীবনকর্ম বিষয়ক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের উপদেষ্টা বিশিষ্ট লেখক ও ব্যাংকার দুলাল কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি ইতিহাসবেত্তা সোহেল মো. ফখরুদ-দীনের সঞ্চালনায় এই সেমিনারের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যক্ষ স. উ. ম. আবদুস সামাদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। ইসলামাবাদীর জীবন ও কর্মের উপর গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট আইনবিদ, লেখক জিয়া হাবীব আহসান। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক মঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত, সৈয়দ সাহাবুদ্দিন মুহাম্মদ আবদুল আজিজ চন্দনাইশী, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিএম মোহাম্মদ একরাম হোসেন, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এম এ হাশেম রাজু, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আবদুল কাদের, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ইতিহাস লেখক অধ্যাপক জাফর উল্লাহ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, রাজনীতিবিদ মাস্টার আবুল হোসেন, শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান, লায়ন সি এস কে সিদ্দিকী, প্রবীণ শিক্ষাবিদ অজিত কুমার শীল, অধ্যক্ষ রতন দাশগুপ্ত, রাজনীতিবিদ মিটুল দাশগুপ্ত, প্রফেসর ড. শেখ এ রাজ্জাক রাজু, প্রাবন্ধিক আবদুল্লাহ মজুমদার, শিক্ষাবিদ কবি কুতুব উদ্দিন বখতেয়ার, মো. শহিদুল ইসলাম, বিনয়মিত্র ভিক্ষু, উপাধ্যক্ষ কবি শিহাব ইকবাল, চৌধুরী জসিমুল হক, মো. রাজীব হোসেন রিফাত, মো. ইসমাইল রেজা, তৌফিক ইলাহী কাদেরী, প্রাবন্ধিক মোহাম্মদ শাহজাহান, ডা. আনোয়ারুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনজুর আলম, বিশিষ্ট ব্যাংকার মো. ওসমান গণি, অধ্যাপক গাজী বোরহান উদ্দিন, জেলা স্কাউটসের সহসভাপতি এস এম শাহনেওয়াজ আলী মির্জা, কবি মোহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক মো. নাজিম উদ্দিন, রাজনীতিবিদ মো. নুরুল হুদা, কবি শাহানুর আলম, চিত্রগ্রাহক ওচমান জাহাঙ্গীর, ইমরান সোহেল প্রমুখ। সেমিনার বক্তারা বলেছেন, অনগ্রসর মুসলমান বাঙালি জাতিকে শিক্ষার মাধ্যমে আলোকিত জীবন দানের জন্য মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী আজীবন কাজ করেছেন। তিনি চট্টগ্রামের দেয়াঙ পাহাড়ে জাতীয় আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে এতে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছিলেন। চট্টগ্রামের কদম মোবারক মুসলিম এতিমখানা তাঁরই অবদানের ফসল। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য জীবনবাজি রেখে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর সাথে কাজ করেছেন, জেল খেটেছেন। ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমান কর্তৃক প্রকাশিত প্রথম দৈনিক পত্রিকা হাবলুল মতিন প্রকাশ করেন। মাওলানা ভাসানীর মতো মানুষ ইসলামাবাদীর ভাবশিষ্য ছিলেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভাষাবিজ্ঞানী মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর আদর্শ চর্চা করতেন। মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী বাংলা ভাষা চর্চার জন্য লেখনির মাধ্যমে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখেন। চট্টগ্রাম তথা বঙ্গদেশের ইতিহাসের তাঁর মতো দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ অদ্বিতীয়, এখনো আমরা দেখতে পাই না। কৃষিভিত্তিক সমাজ ও দেশ উন্নয়নের জন্য তিনি নিবেদিত ছিলেন। মুসলমান অনগ্রসর জাতিকে শিক্ষার জন্য তিনি কাজ করেছেন। এতিম-অনাথ শিশুদের শিক্ষার উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি



ফেইসবুকে আমরা