বাংলাদেশ, , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ভারতবর্ষের স্বাধীনতাকামী দেশীয় সিপাহী বিদ্রোহের মহানায়ক বঙ্গবিপ্লবী হাবিলদার রজব আলী খাঁ

  প্রকাশ : ২০২২-১১-১৫ ১১:৩১:৪৪  

বঙ্গবিপ্লবী রজব আলী খাঁ দিবসের সেমিনারে বক্তারা : বঙ্গবিপ্লবী হাবিলদার রজব আলী খাঁ ভারতবর্ষের স্বাধীনতাকামী দেশীয় সিপাহী বিদ্রোহের মহানায়ক

পরিস্থিতি২৪ডটকম : ভারতবর্ষের স্বাধীনতাকামী দেশীয় সিপাহী বিদ্রোহের মহানায়ক বঙ্গবিপ্লবী হাবিলদার রজব আলী খাঁ ১৮৫৭ সালের ১২ নভেম্বর চট্টগ্রামের ৩৪ বেঙ্গল রেজিমেন্টের বঙ্গদেশীয় সৈনিকদের নিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। সে ঘটনার ১৬৫ বছর পালন ও ১২ নভেম্বর হাবিলদার রজব আলী খাঁ দিবস স্মরণে এক সেমিনার চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে ১৩ নভেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ-নুরনাহার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, বঙ্গবিপ্লবী হাবিলদার রজব আলী খাঁ চট্টগ্রামের ইতিহাসে কালজয়ী মনীষী ও ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী প্রাতঃস্মরণীয় বীরযোদ্ধা। ১৮৫৭ সালের ভারতবর্ষের সিপাহী বিদ্রোহে মহাবিপ্লবী মঙ্গল পাণ্ডে ও বঙ্গবিপ্লবী হাবিলদার রজব আলীর অবদান অপরিসীম। ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে বাংলার শেষ নবাব সিরাজুদ্দৌলার পরাজয় ও হত্যার মধ্যে দিয়ে বাংলার শাসন ক্ষমতা দখল করে নেয় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। পরবর্তীতে সমগ্র ভারতবর্ষ ইংরেজদের করায়ত্ত হয়। ভারতবর্ষের অপার সম্পদ লুট করে নিয়ে যায় ইংরেজরা। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে স্বাধীনতা হারানোর মর্মবেদনা ভুলতে পারেনি স্বাধীনতাকামী ভারতবর্ষ। এর শত বছর পর ১৮৫৭ সালে পরিকল্পিতভাবে চট্টল বীরসন্তান হাবিলদার রজব আলী ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সূচনা করেন। ১৮৫৭ সালের ১২ নভেম্বর হাবিলদার রজব আলী খাঁ চট্টগ্রামের ৩৪নং দেশীয় পদাতিক বাহিনীর ২, ৩ ও ৪নং কোম্পানীর চার শতাধিক সিপাহীসহ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে মহাসংগ্রামে স্বাধীনতার জন্য জড়িয়ে পড়েন। ঐ সময় আতঙ্কিত ব্রিটিশ সৈন্যরা সমুদ্রের জাহাজে আশ্রয় নেন। তখন চট্টগ্রাম প্রায় ত্রিশ ঘন্টা ব্রিটিশ-শাসনমুক্ত ছিল। বক্তারা ১৮৫৭ সালের ১২ নভেম্বরের ঐতিহাসিক হাবিলদার রজব আলী ও তাঁর সিপাহী বিদ্রোহের প্রকৃত ইতিহাস নবপ্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য ইতিহাস গবেষক, লেখক ও সাংবাদিকদের কাছে আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি, ইতিহাসবেত্তা সোহেল মো. ফখরুদ-দীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনবিদ, লেখক, গবেষক ও মানবাধিকার সংগঠক অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান। সেমিনারের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন উপপরিচালক, গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ। সেমিনারের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, সংগঠক প্রণব রাজ বড়ুয়া, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক সাইফী আনোয়ার, ইতিহাস গবেষক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইউনুছ কুতুবী, রাজনীতিবিদ এম নুরুল হুদা চৌধুরী, নজরুল গবেষক ও আলোকচিত্রী ওচমান জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ সাজ্জাদ, সাংবাদিক ইমরান সোহেল, আবু সুফিয়ান ছানবী,সাংবাদিক কামরুল হুদা, কবি কুতুবউদ্দিন বখতেয়ার, কবি দেলোয়ার হোসেন মানিক, কবি আলমগীর হোসাইন, অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল অদুদ,
ইতিহাসবিদ এডভোকেট মোঃ সিরাজুল হক চৌধুরী, কবি ও প্রাবন্ধিক আবদুল্লাহ মজুমদার, প্রবীন সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক অমর কান্তি দত্ত, প্রবীন শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ শিহাব উদ্দিন চৌধুরী, সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠক কেএম আলী আহসান, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিক এ কেএম আবু ইউসুফ, মরমী কবি সৈয়দ শাহাবুদ্দিন আজিজ চন্দনাইশী, ডা. বিধান চন্দ্র পাল, মামুনুর রশিদ, উদয়ন বড়ুয়া প্রমুখ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি



ফেইসবুকে আমরা