বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চন্দনাইশ-সাতকানিয়া (আংশিক) আসনে ৯ প্রার্থী, সর্বত্র আড্ডা “আঁরা গম মাইনষ্যরে ভোট দিয়ুম”

  প্রকাশ : ২০১৮-১২-১৯ ১৩:০৬:৪১  

পরিস্হিতি২৪ডটকম/সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চট্টগ্রাম-১৪ সংসদীয় আসনে (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিকে)ও ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ রোববার অনুষ্ঠিত হবে। মর্যাদার এ আসনে এবারে সর্বশেষ ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন- ১) বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও মহাজোট মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী (নৌকা), ২) লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এলডিপি ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় ঐক্যজোট মনোনীত প্রার্থী এলডিপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট সাবেক এমপি ও মন্ত্রী আলহাজ্ব ড. কর্নেল (অবঃ) অলি আহমদ বীর বিক্রম (ছাতা), ৩) বাংলাদেশের কমিনিস্ট পার্টি- সিপিডি মনোনীত প্রবীণ রাজনীতিক কমরেড আবদুল নবী (কাস্তে), ৪) ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী স. উ. ম. আবদুস সামাদ (মোমবাতি), ৫) ইসলামিক ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী মাওলানা জানে আলম নিজামী (চেয়ার), ৬) জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মনোনীত প্রার্থী আবু জাফর মো. ওয়ালিউল্লাহ (লাঙ্গল), ৭) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ দেলওয়ার হোসেন সাকী (হাতপাখা), ৮) ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- ন্যাপ মনোনীত প্রার্থী আলী নেওয়াজ খান (কুঁড়েঘর) ও ৯) ত্বরিকত ফেডারেশন মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী ফারুকী (ফুলের মালা)।
ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উত্তাপ বাড়ছে। এলাকার হাট-বাজার, মাঠ-ঘাট, অফিস-বাড়ী সর্বত্রই এখন ভোটের আলোচনা চলছে। অনেকেই বলছেন “আঁরা যোগ্য ও গম মাইনষ্যরে ভোট দিয়ুম। দল-জোট ন-বুঝি।” প্রার্থীদের সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ চলছেই। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট কামনার পদ্ধতিতেও আসছে আধুনিকতা। কৌশলী প্রচারণায় যোগ হচ্ছে নতুনত্ব। কোথাও কোথাও সংঘাতের ঘটনাও ঘটছে। তবে প্রশাসনের অঙ্গীকার, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করা।
চন্দনাইশ উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন এবং সাতকানিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে জাতীয় সংসদের ২৯১নং এ আসনটি গঠিত। চন্দনাইশ উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহাবুবুল কবির চৌধুরী ও পরবর্তীতে উপ-নির্বাচনে কর্নেল (অবঃ) অলি আহমদ বীরবিক্রম নির্বাচিত হন। তৃতীয় ও চতুর্থ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দীন আহমেদ নির্বাচিত হন। পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্ঠম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কর্নেল (অবঃ) অলি আহমদ নির্বাচিত হন। সপ্তম জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে বিএনপি’র অলি আহমদ বীরবিক্রম পত্নী আলহাজ্ব মমতাজ বেগম নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন নবগঠিত এলডিপি’র প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব ড. কর্নেল (অবঃ) অলি আহমদ বীর বিক্রম নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী নির্বাচিত হন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ রোববার অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হতে পারে বর্তমান সংসদ আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও সাবেক সাংসদ ও মন্ত্রী আলহাজ্ব ড. কর্নেল (অবঃ) অলি আহমদ বীর বিক্রম এর সাথে। এই দুইজনেই তাঁদের মেয়াদকালে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পন্ন করেন।
এই আসনে এবারের মোট ভোটার সংখ্যা ১ ল ৬৩ হাজার ১ শত ৬৯ জন। তৎমধ্যে পুরুষ ৮৫ হাজার ৩ শত জন, মহিলা ৭৮ হাজার ১ শত ৬৩ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ৬৮ টি। বুথ সংখ্যা ৩৫৫ টি।
কনকনে শীত উপেক্ষা করে রাজনৈতিক দল, প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা চষে বেড়াচ্ছেন পুরো নির্বাচনী এলাকা। তাঁদের প্রচারনায় সরগরম হয়ে উঠছে পাড়া-মহল্লা। তবে এক শ্রেণির মানুষ অপো করছেন- কখন শেষ হবে ভোটোৎসব, কখন উত্তাপ ও শঙ্কা কাটবে। যিনি নির্বাচিত হোন না কেন এলাকার উন্নয়ন করবেন। এখন প্রতীার পালা, কার গলায় ঝুলবে বিজয়ের মালা- তা দেখার। সেই মাহেন্দ্রণের প্রতীায় রইলেন এলাকাবাসী।



ফেইসবুকে আমরা