বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যাকাণ্ড মামলায় পিবিআইয়ের প্রতিবেদন খারিজ, অধিকতর তদন্তের আদেশ

  প্রকাশ : ২০২১-১১-০৩ ১৯:৪৬:০৪  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া প্রথম মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি আদালত। একইসঙ্গে বাদীপক্ষের নারাজির আবেদনও খারিজ করা হয়েছে। মামলাটি ফের অধিকতর তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মেহনাজ রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া প্রথম মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ অক্টোবর আমরা নারাজির আবেদন করি। ২৭ অক্টোবর মামলার বাদী ও সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের উপস্থিতিতে আবেদনটির শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত ৩ নভেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। তবে আজ আদেশের নির্ধারিত দিনে আদালত নারাজি আবেদন খারিজ করেন এবং পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।

বাদীপক্ষের এ আইনজীবী আরও বলেন, প্রথম মামলার কেস ডকেটে বেশ কয়েকজন সাক্ষীর কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার বিষয়টি আমরা গণমাধ্যমের বরাতে জানতে পেরেছি। কিন্তু আদৌ তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে এবং তারা কি বলেছেন, তার কিছুই কেস ডকেটে নেই। ওই নথি তলবের জন্য ২৭ অক্টোবর আদালতে আবেদন করেছিলাম। আদালত সেটি খারিজ করেছেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করবো।

জানা গেছে, বহুল আলোচিত মিতু হত্যাকাণ্ডে দুটি মামলা হয়। প্রথম মামলার বাদী তার স্বামী বাবুল আক্তার। পরে মামলার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে বাদী বাবুলের সম্পৃক্ততা পায় তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। ওই মামলায় গত ১২ মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন তিনি।

ওইদিনই নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দ্বিতীয় মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাবুল আক্তারকে। তিনি সে মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন।

এদিকে প্রথম মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে গত ১৪ অক্টোবর নারাজি আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়।

 



ফেইসবুকে আমরা