বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কলম সাহিত্য সংসদ লন্ডনের সম্মেলনে শহীদ জয়া মুশতারি শফি : এই একুশের মহৎ দিনটি সমগ্র জাতিকে পথ দেখাবে সামনে এগিয়ে চলার

  প্রকাশ : ২০২০-০২-২৫ ১৭:৪২:০৬  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বইমেলা চট্টগ্রাম’র ১৪ তম দিনে অক্ষরে অমরতা শ্লোগানের পতাকাবাহী আন্তর্জাতিক সাহিত্য ও সমাজ কল্যাণমূলক সংগঠন “কলম সাহিত্য সংসদ লন্ডন শাখার কর্তৃক সাহিত্য সম্মেলন ও বিভিন্ন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি, রবিবার বিকাল ৫ টায় সংগঠনের চট্টগ্রামের সভাপতি কবি করুণা আচার্যের সভাপতিত্বে, এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও লেখিকা শহীদ জায়া মুশতারি শফি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কবি ও সাংবাদিক এজাজ ইউসুফী, কলামিষ্ট অধ্যক্ষ রুনু বিলকিস, কলম সাহিত্য সংসদ লন্ডন’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ফজলুল কাদের, সাদেকুজ্জামান চৌধুরী, সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর রাহাত মামুন। আবৃত্তি শিল্পী দিলরুবা খানমের পরিচালনায় এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গাজীপুরের সভাপতি কায়েদে আজম চৌধুরী, কবির কাঞ্চন, মোফাচ্ছেল হক শাহেদ, মোস্তাক মুছা, ইউনুছ ইবনে জয়নাল, রাজশাহী বিভাগের সভাপতি আবুল হোসাইন হেলালী, কক্সবাজার জেলার সভাপতি জিয়াউল হক জিয়া, কেন্দ্রীয় প্রকাশক মোঃ বেলাল হোসেন সিরাজী, নোয়াখালীর সভাপতি রিয়াজ আহম্মদ, উপদেষ্টা মোঃ সিরাজদ্দৌলা, তুষার কান্তি বড়ুয়া, ফারুক হাসান প্রমুখ। এতে সংগীত পরিবেশন করেন ফৌজিয়া রহমান, আলিয়া আরিফ, মধুলিকা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম হাবিবির কথায় উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন হোসাইন ইব্রাহীম, আবৃত্তি করেন সুবশ্রী চৌধুরী। সভায় প্রধান অতিথি মুশতারি শফি বলেন ২১ শে ফেব্রুয়ারি দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে আমরা এবং বিশ্বের জাতি সংঘ ভুক্ত দেশগুলো পালন করে আসছে। বাংলা ভাষাকে তৎকালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের ছাত্র তরুণরা একুশে ফেব্রুয়ারি প্রাণ দেন ঢাকার রাজপথে। তার পর প্রতি বছরই এদেশের বাঙালিরা অমর শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। এই একুশের চেতনা হল এক কথায় একুশ মানে মাথা নত না করা। সভার বিশেষ অতিথি কবি ও সাংবাদিক এজাজ ইউসুফী বলেন ৫২’র ভাষা আন্দোলন না হলে আমাদের সাহিত্য আজ বিশ্বমান অর্জন করতে পারতো না। সেদিনের শহীদদের আত্মদানের ফলেই বাংলা ভাষা আজ বিশ্ব মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা অর্জন করেছে। মূলত আমাদের সাহিত্য আবর্তিত হয়েছে ভাষা আন্দোলনকে ঘিরে। কবিতা, গল্প ও উপন্যাস সহ গদ্য সাহিত্যের বিকাশ বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। সভা শেষে আবুল হোসেন হেলালী রচিত উপন্যাস “ভুলের পাশ্চিত্য, কাজী রুনু বিলকিস রচিত ইতিহাসের আড়ালে ইতিহাস, করুণা আচার্যের স্মৃতির করুণা, মোশতাক মুছার কবিতা বই “কালে তরী ও উপন্যাস অপরাধী, হুমায়ুন আবিদ রচিত ছড়ার হাটে খুশীর হাটে, করুণা আচার্যের মাঠ পেরুলেই মাঠ, গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ। এছাড়া কবিতা, গল্প, উপন্যাস ও সাহিত্য প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন কবি-সাহিত্যিককে সংগঠনের পক্ষ থেকে সনদ প্রদান করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি



ফেইসবুকে আমরা