পরিস্হিতি২৪ডটকম : আনজুমানে জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া ট্রাস্টের উদ্যোগে ১৭ মে শুক্রবার বিকেলে আইডিইবি এর সোস্যাল গার্ডেনে পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য ও চন্দ্র দর্শন শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের পীর ছাহেব কেবলা হযরতুল আল্লামা আলহাজ শাহসুফি সৈয়দ মোহাম্মদ আলী (মা.জি.আ)। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইপ জনাব আ স ম ফিরোজ এমপি। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওআইসি ফিকাহ একাডেমিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আল্লামা মুফতি আবদুল্লাহ আল মারুফ। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান এয়ারকমোডর (অবঃ) ড. সৈয়দ জিলানী মাহাবুব রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আনজুমানে জাঁহাগীরীয়া শাহছুফি মমতাজীয়া ট্রাষ্টের নির্বাহী পরিচালক পীরজাদা মাওলানা মোহাম্মদ মতি মিয়া মনসুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জয়পুরহাটের জেলা ও দায়রা জন এম এ রব হাওলাদার, বিমান বাহিনীর সিনিয়র ফাইন্যান্স কন্ট্রোলার মো. নজরুল ইসলাম, এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া, দৈনিক কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামাল, পটুয়াখালী রাঙাবালী উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন, শাহজাদা মাওলানা আহসান আলী মমতাজি, নুরুল আবছার চেয়ারম্যান, সহকারী কর কমিশনার মো. জাকির হোসেন, মেজর (অবঃ) আদনান নবীন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাসেদুজ্জামান রাসেল, বাংলাদেশ বেতারের উপ আঞ্চলিক পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান সাঈদ, নির্বাচন কমিশনের ব্যক্তিগত সহকারী মো. তকদির আহমেদ, সুধা সদনের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ব্যারিস্টার জুনাইদ আহমেদ, লেখক ও ইতিহাসবিদ সোহেল মোহাম্মদ ফখরুদ-দীন, শাহজাদা মাওলানা মো. রিয়াজ উদ্দীন ঢালী, এমএম মোর্শেদ আলী, মোঃ ফেরদাউস, অধ্য মাহামুদ আলী, হাসান ইমাম চৌধুরী, হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ড. এম এ মুক্তাদির, ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ, প্রভাষক মাওলানা রেজাউল করিম, মাওলানা গোলাম রব্বানী, সুপার মাওলানা ইকবাল হোসেন প্রমূখ। সভাপতির বক্তব্যে মমতাজিয়া দরবার শরীফের পীর সাহেব হযরত আলহাজ সৈয়দ মোহাম্মদ আলী (মু.জি.আ.) বলেছেন, সারা বিশ্বে একই দিনে সকল ধর্মীয় উৎসব পালনের আহবান জানিয়ে বলেছেন, পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদের তারিখ ঘোষণা নিয়ে প্রায় প্রতিবছরই বিভ্রান্তির ঘটে। বিশ্বের কোন মুসলমানরা চাঁদ দেখে যেদিন ঈদ বা রোজা শুরু করে সে দিনটিকে আমরা চাঁদের প্রথম তারিখ গণনা করতে পারি। কেননা পার্শ্ববর্তী দেশগুলো যখন চন্দ্র দর্শনের ভিত্তিতে রোযা ঈদ পালন করেন ঐসকল দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের ব্যবধান মাত্র ৩-৪ ঘন্টা। তাছাড়া সারা পৃথিবীর সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য সাড়ে ১১ ঘন্টার উর্ধ্বে নয়। মাত্র একজন মুসলমানের সা্েযর ভিত্তিতে রোজা বা ঈদ পালন করার সিদ্ধান্ত পবিত্র হাদীস শরীফে রয়েছে। এই বিষয়ে তিনি আরো বলেছেন চাঁদ তো সারা বিশ্বের জন্য একটিই। এক দেশে আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল অন্য দেশে পুনরায় নতুন চাঁদ দেখা তো সম্ভব নয়। হযরত ইমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেছেন, “পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত হতে চাঁদ দেখে মাত্র একজন মুসলমান স্যা দিলে রোজা বা ঈদ পালন করা যাবে।” আলোচনা সভা শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মার সুখ-সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত ও দোয়া পরিচালনা করেন পীর ছাহেব হযরতুল আল্লামা আলহাজ শাহসুফি সৈয়দ মোহাম্মদ আলী (মা.জি.আ)।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি