বাংলাদেশ, , রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

সূর্যসেনের ৮৬তম ফাঁসি দিবসে বক্তারা : উপমহাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মাষ্টারদা সূর্যসেনের আত্মদান কালজয়ী

  প্রকাশ : ২০২০-০১-১২ ২০:৫৫:৩০  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেনের ৮৬তম ফাঁসি দিবস উপলক্ষে ১২ জানুয়ারি ২০২০ রবিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগী পাহাড়স্থ সুপ্রভাত স্টুডিও হলে চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে মাষ্টারদা সূর্যসেন ও ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মাষ্টারদার আত্মদান শীর্ষক আলোচনা ও সেমিনার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক ও কবি প্রকৌশলী সৌমেন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি ইতিহাসবেত্তা সোহেল মুহাম্মদ ফখরুদ-দীন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। সেমিনারে মাস্টারদা সূর্যসেনের জীবন কর্ম নিয়ে “মহাবিপ্লবী সূর্যসেন” শিরোনামে একটি লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন বিশিষ্ট কলামিষ্ট ও সাংবাদিক এ কে এম আবু ইউসুফ। আলোচনায় অংশগ্রহন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু, প্রবীণ শিক্ষাবিদ তপন কান্তি বড়ুয়া, ভাস্কর ডিকে দাশ মামুন, প্রাবন্ধিক ও মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, চকবাজার থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অমর কান্তি দত্ত, শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক অধ্যক্ষ মুকতাদির আজাদ খান, বিজয়৭১ এর সাধারণ সম্পাদক লায়ন আবু সালেহ, লেখক উদয়ন বড়ুয়া, সংগঠক স.ম জিয়াউর রহমান, প্রাবন্ধিক ডাঃ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, রাজনৈতিক ও সংগঠক জসিম উদ্দিন, সাংস্কৃতিক সংগঠক সজল দাশ, আলোকচিত্রী ওচমান জাহাঙ্গীর, ছড়াকার সাফাত বিন সানাউল্লাহ, লেখক দেলোয়ার হোসেন মানিক, সংগীত শিল্পী মোহাম্মদ হানিফ, সাংবাদিক সমীরন পাল, শিক্ষক প্রবীন বড়ুয়া, লেখক প্রিয়াংকা বড়ুয়া, সাংবাদিক ইমরান সোহেল, রাঙ্গামাটি পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের প্রাক্তন সচিব চন্দনা বড়ুয়া, জেলা স্কাউটসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক এস.এম. শাহনেওয়াজ আলী মির্জা প্রমূখ। সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, ভারতীয় উপমহাদেশের জনসাধারণকে অন্যায়-অত্যাচার, ব্যাবিচার থেকে মুক্তির লক্ষ্যে মাস্টারদা সূর্যসেনের জীবন দান পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা। এদেশের মানুষকে মাস্টারদা সূর্যসেনেই প্রথম স্বাধীনতা স্বাদ এনে দেন। তাঁর সময়ে এ চট্টগ্রামে তিন দিন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাসন স্থগিত করে জ্যাক পতাকা নামিয়ে মাস্টারদার নেতৃত্বে ভারতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়। এ দেশে তিন দিন স্বাধীনতার স্বাদ জনগণ ভোগ করেন। বক্তারা আরো বলেছেন, চট্টগ্রামকে বলা হয় বিপ্লবীদের তীর্থ ভূমি। এ অঞ্চলে অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত বিপ্লবী জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে চট্টগ্রামের কৃর্তিজন ও পৃথিবীর উদ্ভাসিত মানুষের অন্যতম সূর্য কুমার সেন (মাস্টারদা সূর্যসেন)। সমগ্র পৃথিবীতে বিপ্লবী মানুষের প্রাত:স্মরণীয় মনিষী হিসেবে তিনি পরিচিত। মাস্টারদা সূর্যসেনের জন্মগত কারণ, স্বাধীনতা ও মানবাধিকার সর্বপরি- তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে প্রাণনাশসহ ঘটনাবহুল ইতিহাসের কারণে চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ ও মাস্টারদা সূর্যসেন, সূর্য উদয় থেকে অস্ত পর্যন্ত সমগ্র পৃথিবীতে স্বাধীনতাকামীদের স্মরণীয় ব্যক্তি। বক্তারা আরো বলেছেন, মানুষ যখন অধিকার হারা হয়ে পিঠ দেয়ালে ঠেকে যায়, তখন সামনের দিকে এগিয়ে যায়। আর এগিয়ে যাওয়ার সাহস সঞ্চারিত স্বপ্ননীল সাহস আসে বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেনের জীবন দান থেকে। জয়ের ইতিহাসে পরাজয়ের পথ রুদ্ধ করে আবারও জয় হওয়ার সাহস আজীবন মাস্টারদা সূর্যসেন এ জাতিকে দিয়ে গেছেন। পৃথিবীতে যতদিন মানুষ ও মানবতা এবং স্বাধীনতার ইতিহাস বেঁচে থাকবে ততদিন এই চট্টগ্রামের গর্বিত সন্তান মাস্টারদা সূর্যসেন আমাদের প্রেরণা হয়ে বেঁচে থাকবে। বক্তারা মাস্টারদা সূর্যসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে আগামী থেকে তাঁর জন্ম এবং মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের জন্য দাবি জানান এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ঘোষিত ঐতিহাসিক লালদিঘীর চত্বরকে সূর্যসেন এ্যাভিনিউ হিসেবে দ্রুত বাস্তবায়নের দাবী জানান। সকালে মাস্টারদা সূর্যসেনের জেম সেন হল চত্বরে ভাস্কর্যে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি



ফেইসবুকে আমরা