বাংলাদেশ, , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন চট্টগ্রামের উন্নয়নে অন্তপ্রাণ ছিলেন : তথ্যমন্ত্রী

  প্রকাশ : ২০২০-০১-২২ ২০:১৭:৩৩  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াত সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন চট্টগ্রামের উন্নয়নে অন্তপ্রাণ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে চট্টগ্রামে বে-টার্মিনাল স্থাপনের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করি। মেজর জেনারেল জয়নুল আবেদীনের সঙ্গেও কথা বলি। নির্বাচনের আগে বে-টার্মিনাল প্রকল্প উদ্বোধনের উদ্যোগ নিতে তাকে অনুরোধ জানাই।

‘মেজর জেনারেল জয়নুল আবেদীনের উদ্যোগের কারণেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগে ভিডিও কনফারেন্সে বে-টার্মিনালের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেন। শুধু বে- টার্মিনাল নয়, চট্টগ্রামের অনেক উন্নয়ন প্রকল্প জয়নুল আবেদীনের প্রচেষ্টায় গতি পেয়েছে।’

বুধবার (২২ জানুয়ারি) লোহাগাড়ার চুনতীতে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনের স্মরণে আয়োজিত নাগরিক শোকসভায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনের বড় ভাই ইসমাইল মানিকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক, কানিজ ফাতেমা, ওয়াসিকা আয়েশা খান।

বক্তব্য দেন, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম আহমেদ, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণের কারণে আলাদা থাকতে হয়। জয়নুল আবেদীন এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিলেন। একজন রাজনীতিক যেভাবে মানুষকে আপন করে নেন, তার চেয়েও বেশি মানুষকে আপন করে নিতে পারতেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত স্বল্প ও নম্রভাষী ছিলেন জয়নুল আবেদীন। কখনও উচ্চস্বরে তাকে কথা বলতে আমি দেখিনি। কারও সঙ্গে রাগান্বিত হতে দেখিনি। এ ধরণের গুণ সব মানুষের মাঝে থাকে না। যে কারণে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন।
সভায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনে যে উপ-নির্বাচন হয়েছে সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছেন- সেখানে নাকি প্রবাসী ও মৃত ব্যক্তিরাও ভোট দিয়েছেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের নগর অংশে ভোটারের সংখ্যা প্রায় পৌণে ৪ লাখ। এরমধ্যে মোছলেম উদ্দিন আহমদ মাত্র ৩৬ হাজার ভোট পেয়েছেন। যদি ভোটকেন্দ্র দখল হতো এবং খসরুর ভাষ্য অনুযায়ী প্রবাসী ও মৃত ব্যক্তিদের ভোট দেওয়া হতো- তাহলে ৩৬ হাজার নয়, ১ থেকে ২ লাখ ভোট পেতেন নৌকার প্রার্থী।

‘এ ধরণের মিথ্যা ভাষণ দিয়ে বিএনপি নেতারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছেন। তাদের বলবো- মিথ্যা ভাষণ দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে কোনো লাভ হবে না। জনগণ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে।’



ফেইসবুকে আমরা