বাংলাদেশ, , শনিবার, ৪ মে ২০২৪

মাতৃভাষা রক্ষার সংগ্রামে শহীদ ও জীবিত ভাষাসৈনিকদের মূল্যায়ন করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য

  প্রকাশ : ২০২০-০২-২৩ ২১:৪০:৩৯  

চট্টগ্রামে বঙ্গ-অসম-উৎকল সাহিত্য সম্মেলন- ১৪২৬ এ বক্তারা : মাতৃভাষা রক্ষার সংগ্রামে শহীদ ও জীবিত  ভাষাসৈনিকদের মূল্যায়ন করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য

পরিস্হিতি২৪ডটকম : চট্টগ্রামে ১০ ফাল্গুন ১৪২৬ বাংলা, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার দিনব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মঞ্চ ও বাংলাদেশ ইতিহাস চর্চা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গ-অসম-উৎকল ৫ম সাহিত্য সম্মেলন- ১৪২৬ চট্টগ্রাম নগরীর কাশফুল মিলনায়তনে সম্মেলনের উদ্যোক্তা ও ইতিহাসবেত্তা সোহেল মুহাম্মদ ফখরুদ-দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ ভারতের বিশিষ্ট কবি ও কথাসাহিত্যক শ্রীতারকনাথ দত্ত। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যাংকার ও সমাজকর্মী লায়ন সিএসকে সিদ্দিকী। প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যসেবী ও সমাজকর্মী মোহাম্মদ আবু বক্কর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মানবতাবাদী সমাজকর্মী দীপানন্দ স্থবির। আক্রান্ত মাতৃভাষা আসুন প্রতিরোধ করি শীর্ষক একটি প্রবন্ধ পাঠ করেন সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক এ, কে, এম, আবু ইউসুফ। আলোচনায় অংশগ্রহন করেন কবি অমর কান্তি দত্ত, কবি মোহাম্মদ রানা খান, শিল্পী ও সাহিত্যিক এস.এম.হামেদ হাসান, কবি দেলোয়ার হোসেন মানিক, গণসঙ্গীত শিল্পী হানিফুল ইসলাম চৌধুরী, প্রবীণ শিক্ষক তপন কান্তি বড়ুয়া, কলেজ শিক্ষক অধ্যাপক রিপন চক্রবর্তী চৌকিত প্রাচুর্য, কবি নাছির বিন ইব্রাহীম, সংগীত শিল্পী উদয়ন বড়ুয়া ঝন্টু, প্রাবন্ধিক এস.এম. ওসমান, কবি মাদল বড়ুয়া, চিত্র সাংবাদিক ওচমান জাহাঙ্গীর, লায়ন ডাঃ বরুণ কুমার আচার্য বলাই, অধ্যাপক দিদারুল ইসলাম, প্রবীন সাংবাদিক মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, অনুতোষ দত্ত বাবু, শিউলী খাতুন, মোমেন আহমদ, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মোঃ সাফায়েত উদ্দিন, ইমাম মোঃ আবদুল হালিম, মোঃ বাহাদুর, দিলীপ বড়ুয়া, সাগত চৌধুরী, ডাঃ সঞ্চয় দে, আবদুল করিম প্রমূখ। সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, মাতৃভাষা রক্ষার সংগ্রামে শহীদ ভাষাযোদ্ধা ও জীবিত ভাষাসৈনিকদের মূল্যায়ন করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। মাতৃভাষা রক্ষায় যাদের অপরিসীম তাদের জীবন কর্মের মূল্যায়ন করতে হবে। মৃত্যুর পরে নয় জীবিত অবস্থায় ভাষাসৈনিকদের মূল্যায়ন এখন সময়ের দাবী। জীবদ্দশায় তাঁদের কর্মের মূল্যায়ন দেখতে চায় আমাদের ভাষা সৈনিকরা। ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখা অনেক ভাষাসৈনিক আজ অবহেলিত। অথচ রাষ্ট্রীয় একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে অন্য মানুষকে। ভাষাসৈনিকদের স্মৃতিজড়িত একুশে পদক জীবিত ভাষাসৈনিকদের প্রদান করা হোক। ভাষাসৈনিক রওশন-আরা বাচ্চু কি পদকের উপযুক্ত নয়? জীবিত অবস্থায় তিনি পেলেন না। আর মৃত্যুর পরেও তাঁকে একুশে পদক দেওয়া হল না। এটি জাতির জন্য দুঃখজনক সংবাদ। ভাষাসৈনিকদের মধ্যে তিনি অন্যতম নারী। এরকম বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাতৃভাষা বাংলার জন্য অবদান রাখা সৈনিকদের মূল্যায়ন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান সম্মেলন থেকে। সম্মেলনে আগত বাংলাদেশ ও ভারতের বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিকদের মধ্যে থেকে ৬ জনকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। সভার শুরুতে অমর একুশে শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি



ফেইসবুকে আমরা