পরিস্হিতি২৪ডটকম : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) চতুর্থ সমাবর্তন ৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২ হাজার ২৩১ জনকে ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ সিজিপিএধারী ৪ শিক্ষার্থীকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক’ দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের আবদুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান সমাবর্তনের প্রচার ও মিডিয়া উপ-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আসিফুল হক।
এবার সমাবর্তন বক্তা থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।
লিখিত বক্তব্যে আসিফুল হক জানান, ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা সমাবর্তনে অংশ নেবেন। এছাড়া দেশি-বিদেশি অতিথি ও সংসদ সদস্যসহ প্রায় ৩ হাজার অতিথি উপস্থিত থাকবেন। সমাবর্তনে ডিগ্রি পাওয়া ২ হাজার ২৩১ জনের মধ্যে স্নাতক রয়েছেন ২ হাজার ১৪৮জন, মাস্টার্স বা স্নাতকোত্তর ৭৯ জন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ২ জন ও পিএইচডি ২ জন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যে চারজনকে বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক দেওয়া হবে তারা হলেন- ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ইএমকে ইকবাল আহামেদ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রুবায়া আফসার, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সঞ্চয় বড়ুয়া ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মো. রাশেদুর রহমান।
চুয়েটের গৌরবময় পথচলার ৫০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে পরদিন ৬ ডিসেম্বর দিনব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, রেলপথ সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। সভাপতিত্ব করবেন চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
আসিফুল হক জানান, সুবর্ণজয়ন্তীর জমকালো অনুষ্ঠানে প্রায় ১০ হাজার লোক উপস্থিত থাকবেন। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে নগরে আনন্দ শোভাযাত্রা, সন্ধ্যায় আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাতে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান, চুয়েট ক্যাম্পাসে যাত্রা, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান, তারপর চুয়েটের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আমন্ত্রিত অতিথিদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, নৈশভোজ, ফায়ারওয়ার্কস, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জেমস ও নগর বাউলের কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ছাত্র সমন্বয় ও শোভাযাত্রা উপ-কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. জিএম সাদিকুল ইসলাম, প্রচার ও মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্য এটিএম শাহজাহান, ভিসি অফিসের সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ও চুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।