পরিস্হিতি২৪ডটকম : আমরা যারা বৃদ্ধ পিতামাতাকে অবহেলা করছি, তাদেরকে বোঝা মনে করছি, বৃদ্ধাশ্রমে তাদেরকে ফেলে রেখেছি, আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি, আজ তারা বৃদ্ধ, তারা তো বৃদ্ধ হয়ে পৃথিবীতে আসেননি, তারা তো পরিবারের বোঝা ছিলেন না। বরং আমরা সন্তানরাই তো তাদের ‘বোঝা’ ছিলাম। বাবা-মায়েরা তো কখনো আমাদেরকে বোঝা মনে করেননি। কত যতœ করে বুকে আগলিয়ে আমাদের লালন-পালন করেছেন। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, আমরাও একসময় শিশু ছিলাম। বৃদ্ধ বয়সেও মা-বাবা শিশুদের মতো হয়ে যান। শিশুসুলভ আচরণ করেন। তারা যেমন করে আমাদের শৈশব থেকে শুরু করে শতকোটি ত্যাগ-তিতিক্ষা স্বীকার করে আমাদের মানুষ করেছেন। আমাদেরও কর্তব্য সেই মানুষগুলোকে জীবনের শেষ সময়টুকুতে বৃদ্ধাশ্রম নামক কারাগারে না রেখে নিজের কাছেই রাখা। বক্তারা আরো বলেন, মনে রাখা সমীচীন যে, আমরাও একদিন বৃদ্ধ হব। আমরা যদি আমাদের বৃদ্ধ বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসি। আমাদের সন্তানরাও হয়তো একদিন আমাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসবে। সুতরাং, আমাদের উচিত বৃদ্ধ বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রম নয়, কাছে রাখা, ভালোবাসা, আমাদের শৈশবে তারা যেমনটি করেছিলেন। অতএব, বৃদ্ধাশ্রম নয় নিজ আবাসস্থলই হোক মা-বাবার শেষ আশ্রয়স্থল। গতকাল শুক্রবার রাউজান নোয়াপাড়াস্থ আমেনা-বশর পূর্ণবয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সম্যক প্রচেষ্টার আয়োজনে বৃদ্ধাশ্রমে বাবা-মায়ের সাথে একদিন শিরোনামে অনুষ্ঠানে বক্তারা উল্লেখিত বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের এডমিন সাজীব বড়ুয়া সাজুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমেনা-বশর পূর্ণবয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ শামসুল আলম। মোহাম্মদ রাশেদের সঞ্চালনায় এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি (বাপউস)’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ কে এম আবু ইউসুফ, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন এডমিন মো. রুহল আমিন, এডমিন দিদারুল আলম, কার্যকরী সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মো. কাউছার, মো. সাজ্জাদ, সদস্য জান্নাতুন মিনা, সদস্য মো. রাজু, শান্ত, অভি, প্রিতম, রোজা, নোভা ও আঁখি। সভার শুরুতে বৃদ্ধাশ্রমের মা-বাবাদের সম্যক প্রচেষ্টার সদস্যদর রান্না করা খাবার পরিবেশন ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়। সভা শেষে তাঁদের সুস্থতায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি