পরিস্হিতি২৪ডটকম : চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। তবে এবারের ইজতেমায় ভারতের বিতর্কিত মাওলানা সাদ কান্দালভি অংশ নিচ্ছেন না। এ বিষয়ে তাবলীগ জামাতের বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদেরকে এ কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, তাদের বিরোধ মীমাংসা হয়েছে। এখন আর কোনো বিরোধ নেই। তাই ফেব্রুয়ারি মাসে ইজতেমা হবে। ইজতেমায় সবাই উপস্থিত হবেন। বৃহস্পতিবার ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দুই পক্ষ বসে ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করবেন।
বিরোধ মীমাংসায় সমন্বয়কারীর ভূমিকায় থাকা কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এবার এক পর্বে ইজতেমা হবে। তাদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল, তা মিটমাট হয়ে গেছে।
বৈঠকে মাওলানা সাদ ও মাওলানা জোবায়ের পক্ষে তাবলীগ জামাত নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দুপক্ষে নেতৃত্ব দেন ওয়াসিফুল ইসলাম ও মাওলানা জোবায়ের।
উল্লেখ্য, তাবলীগ জামাতের ভেতরে মাওলানা সাদ কান্দালভিকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষের দ্বন্দ্ব চরম আকর ধারণ করে। এই দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষেরও ঘটনা ঘটে। এরপর ২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমার পর তাবলীগ জামাতের দু’পক্ষ আলাদাভাবে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করে।
১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেন সাদপন্থীরা। এর বিরোধিতা করে ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেন হেফাজতপন্থী মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা।
এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। গত ১ ডিসেম্বর টঙ্গীতে ইজতেমা ময়দানে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
সাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেশ কিছু কাল ধরেই তাবলীগ জামাতে সংস্কারের কথা বলছেন তিনি। সাদ বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা বা ধর্মীয় প্রচারণা অর্থের বিনিময়ে করা জায়েজ নেই। যার মধ্যে মিলাদ বা ওয়াজ মাহফিলের মতো কর্মকাণ্ড পড়ে বলে মনে করা হয়।
সাদ আরো বলেন, মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষকদের মাদ্রাসার ভেতরে নামাজ না পড়ে মসজিদে এসে নামাজ পড়া উচিত। কিন্তু তার বিরোধীরা বলছেন, সাদ যা বলছেন- তা তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের নির্দেশিত পন্থার বিরোধী। তাদের বক্তব্য, সাদের কথাবার্তা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিশ্বাস ও আকিদার বাইরে।