বাংলাদেশ, , রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি উন্নয়ন কাজ চলমান রাখার নির্দেশ দিয়েছেন

  প্রকাশ : ২০২০-০৩-১৯ ১৯:০১:৫১  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : দেশের উন্নয়ন কাজ করোনা ভাইরাসের দোহাই দিয়ে বন্ধ না করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের পাশাপাশি উন্নয়ন কাজও চলমান থাকবে।

রাজধানীর শেরেবাংলানগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী সৎভাবে দেশের প্রয়োজনে সকলকে কাজ করতে বলেছেন। করোনার প্রভাবে উন্নয়ন কাজ কতটা বাধাগ্রস্ত হবে সেটা এখনই বলা সম্ভব নয় তবে করোরার দোহাই দিয়ে উন্নয়ন কাজ বন্ধ রাখা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর মূল বার্তা হলো প্রতিরোধ করতে হবে, কাজও করতে হবে। তবে আতঙ্ক ছড়ানো যাবে না। আমাদের সেলফ কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। এখন প্রযুক্তির সময়। তাই প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক কাজই করা যায়। তবে সবাইকে সতর্কভাবেই কাজ করতে হবে। মন্ত্রীসভা, একনেক এরকম গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছাড়া অন্য বৈঠক এখন নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। এনইসিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি সিল বানিয়েছি। যারা বিদেশ থেকে আসবেন তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তাদের হাতে একটি সিল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বিভাগীয় শহরে করোনার পরীক্ষার সরঞ্জাম রাখার ব্যবস্থা করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছুটা হলেও করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়বে। তবে কতটা পড়বে এটা এখনই বলা কঠিন। ইতোমধ্যে বিমানের আয় কমে গেছে, রেলে যাত্রী কমেছে। এরকম আরো অনেক খাত আছে যাতে প্রভাব পড়বে।

তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। করোনা ভাইরাস একটি বৈশ্বিক সমস্যা। আতঙ্ক ছড়িয়ে কাজ নেই। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণকে রক্ষা করা। যারা দেশ ঢুকছেন তাদেরকে বোঝাতে হবে। বিদেশ থেকে আসার পর আত্মীয় স্বজনদের অনেক আবেগ কাজ করে। তাদের আবেগকে আমরা সম্মান করি। তাদের কোয়ারেন্টাইনের বিষয়ে বোঝাতে হবে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় বরাদ্দের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশে দুর্যোগের সময় পরিস্থিত মোকাবিলায় সবসময় একটি বরাদ্দ থাকে। এখনও আমাদের থোক আকারে বরাদ্দ আছে। প্রয়োজন অনুযায়ী এই অর্থ ব্যয় হবে।
এনইসি সভায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৯২১ কোটি টাকায় সংশোধিত এডিপি (আরএডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থবছরের শুরুতে এডিপির আকার ধরা হয়েছিল ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। অর্থাৎ আরএডিপিতে বরাদ্দ কমল ৯ হাজার ৮শ কোটি টাকা। এর পুরোটাই বৈদেশিক সহায়তার অংশ। আরএডিপিতে সরকারের নিজস্ব তহবিলের আকার ১ লাখ ৩০ হাজার ৯২১ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৬২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। এডিপিতে চলমান প্রকল্প সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৪৩টি। এর বাইরে স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা/করপোরেশনের নিজস্ব অথায়নে (৮২৭৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা) চলমান প্রকল্প রয়েছে ১০৩টি।



ফেইসবুকে আমরা