বাংলাদেশ, , বুধবার, ১ মে ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রীর কাছে প্রতিকার চেয়ে স্মারকলিপি পেশ : উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য, রেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লক্ষাধিক জনগণের ভূমি দখলের পাঁয়তারা

  প্রকাশ : ২০১৯-১২-০৭ ১৯:৫১:৪২  

প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রীর কাছে প্রতিকার চেয়ে স্মারকলিপি পেশ :
উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য, রেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক  লক্ষাধিক জনগণের ভূমি দখলের পাঁয়তারা

পরিস্হিতি২৪ডটকম : আজ ৭ ডিসেম্বর ২০১৯ উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে সিএস মূলে মালিকানাধীন সম্পতি হইতে বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম কর্তৃক উচ্ছেদের অপচেষ্টা বাতিলের দাবীতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে স্মারকলিপি প্রদানকালে তিনি বলেন, আপানারা ধৈর্য্যধারণ করুণ, আমি আপনাদের পাশে আছি। একই দাবীতে গত ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধাণমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় যে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আওতাধীন ১৪নং লালখান বাজার ওয়ার্ডের মতিঝর্ণা এলাকায় লাধিক নাগরিক সি. এস মূলে মালিকানা স্বত্বে প্রায় ১০০ বছরের অধিককাল সময় বসবাস করে আসছে। এখানে মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও ৩০০ শহীদ পরিবার বসবাস করে। এছাড়াও দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা নিয়মিতভাবে হোল্ডিং ট্যাক্স, আয়কর, গ্যাসের বিল, পানির বিল, বিদ্যুৎ বিল সহ সেবা সংস্থার যাবতীয় কর পরিশোধ করে আসছি। এখানে সরকারী বেসরকারী অনুদানের ৬টি মসজিদ, ৩টি মন্দির, ২টি হেফজখানা, ৩টি মাজার শরীফ, ২টি এতিমখানা বিদ্যমান আছে। এছাড়াও সরকারী ও সেরকারী ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ২টি পুরুষ ও ২টি মহিলা ভোট কেন্দ্র মতিঝর্ণা এলাকায় অবস্থিত আছে যার ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৯০০০। মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সন্তান ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপরে ঘাটি হিসাবে পরিচিত প্রায় লক্ষাধিক মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীস্টান সম্প্রীতির বন্ধন তৈরী করে দীর্ঘ ১০০ বৎসরের অধিককাল যাবৎ ওয়ারিশগণ বংশানুক্রমে মালিকানা প্রাপ্ত হয়ে উক্ত সম্পত্তিতে বসবাস করে আসলেও সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম এর কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মচারী/কর্মকর্তা উচ্চ আদালতের রায় এবং আদেশের তথ্য গোপন করে ও ভূল ব্যাখ্যা দিয়ে প্রশাসনের নিকট মতিঝর্ণা এলাকাকে হেয় করে অবৈধ উচ্ছেদের মতো ঘটনা সৃষ্টির অবতারণা করছে। সর্বোপরি স্থানীয় জনগণকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে তাদের অসৎ স্বার্থ হাসিলের পাঁয়তারা করছে। স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয় যে, স্বাধীনতা পরবর্তী কাল হতে একদল কুচক্রী ভূমিদস্যুর শ্যেন দৃষ্টি আমাদের এই বাপ দাদার আবাসস্থলের উপর কু-নজর পড়ায় বার বার বিভিন্ন মহলকে ব্যবহার করে আমাদেরকে অবৈধ ভাবে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় দুর্নীতি বাজ রেলওয়ে কর্মকর্তাদের যোগসাযোশে ১৯৯৩ সালে অত্র এলাকার বাসিন্দাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিলে তৎকালীন মেয়র চট্টলবীর এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী দৃঢ় ও দীপ্ত পদক্ষেপ আমরা আমাদের ভোটাধিকার ফিরে পাই। এলাকার বিপুল সংখ্যক লোকজন অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ হয়ে আছে তাদের জন্মভূমি ও বাপ দাদার ভিটার উপর কারো হস্তক্ষেপ তারা মেনে নিবে না। এই এলাকার সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা আমাদের সাথে একত্মতা ঘোষণা করেছেন এবং আমাদের যৌক্তিক দাবীর প্রতি এলাকাবাসীর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমরা দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, মতিঝর্ণা অবৈধ উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির উপদেষ্টা ও ১৪নং লালখানবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর এএফ কবির আহমদ মানিক, সংগঠনের উপদেষ্টা পেশাজীবি নেতা আমজাদ হোসেন হাজারী, মতিঝর্ণা অবৈধ উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক ও নগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, সংগঠনের সচিব জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্মসচিব তপন সিং, যুগ্মসচিব মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ, যুগ্মসচিব মনির উদ্দিন, মোহাম্মদ কায়সার, মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন জুয়েল, মোহাম্মদ আলমগীর, আহমদ হাসান জুয়েল, শ্রমিকলীগ নেতা শাহজাহান কোম্পানী, সমাজসেবক শাহনেওয়াজ কুতুবী, রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ আলমগীর প্রমূখ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি



ফেইসবুকে আমরা