বাংলাদেশ, , রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিষয়ক ওয়েবিনার : পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় ও চর্যাপদ প্রাচীন চট্টগ্রামের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ

  প্রকাশ : ২০২১-০৮-১৫ ১৩:৫৬:৫৭  

পরিস্থিতি২৪ডটকম: ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি বিষয়ক অনিয়মিত কাগজ কিরাত বাংলা ও চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র (সিএইচআরসি)-এর যৌথ আয়োজনে গতকাল ১৪ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যায় প্রাচীন পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস শীর্ষক এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। ইতিহাস গবেষক ও কিরাত বাংলা’র সম্পাদক সোহেল মো. ফখরুদ-দীনের সঞ্চালনায় ও সভাপতিত্বে এই ওয়েবিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন শিক্ষাবিদ, পরিব্রাজক, সমাজহিতৈষী, চান্দগাঁও সার্বজনীন শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ এস. লোকজিৎ থেরো। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জিতেন্দ্রলাল বড়ুয়া, প্রবীন ব্যাংকার লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়া, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও পরিবেশবিদ এ কে এম আবু ইউসুফ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক দিদারুল আলম, হেকিম শিহাব উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেছেন, চর্যাপদ গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে প্রাচীন চট্টগ্রামের ভাষায় এই চর্যাপদ রচিত হয়। সিদ্ধার্থাচার্যগণ এই চট্টগ্রাম কিংবা পূর্ববঙ্গের বাসিন্দা ছিলেন। চর্যাপদের বিভিন্ন পদ ও শ্লোকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার কথা উঠে এসেছে। প্রাচীন পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় এই চট্টগ্রামের দেয়াঙ পাহাড় কিংবা চক্রশালায় অবস্থিত ছিল। শ্রীজ্ঞান পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্কর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুকাল অতিবাহিত করেন। পটিয়া-চক্রশালার কৃতী পুরুষ তিলপাদ প্রজ্ঞাভদ্র এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ছিলেন। ইতিহাস ও ঐতিহাসিকদের বিবরণে এই প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমতুল্য ছিল। বক্তারা আরো বলেছেন, চর্যাপদের রচয়িতা লুই পা, শবর পা, লাড় পা, অবধূত পা, অমোঘনাথ, ধর্মশ্রী, মৈন, বুদ্ধজ্ঞান পা, অনঙ্গবজ্র প্রমুখ বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য এবং পণ্ডিতগণ পণ্ডিতবিহার বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শকরূপে অথবা অধ্যাপকরূপে বিহারে এসেছিলেন। নবোদ্যমে চট্টগ্রামে পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় ও চর্যাপদ প্রাচীন চট্টগ্রামের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে বক্তারা দাবি করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি



ফেইসবুকে আমরা