বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

নতুন অর্থবছরের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাজেট ঘোষণা,গবেষণা খাতে রেকর্ড বরাদ্দ

  প্রকাশ : ২০১৯-০৭-২৭ ১৮:০৮:১৫  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৩১তম সিনেট অধিবেশনে নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কেএম নুর আহমদ। এবার ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জন্য ৩৩৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ ২১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তবে অতীতের তুলনায় বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে। এ খাতে এবার চার কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা মোট বাজেটের শত করা ১ দশমিক ২৪ ভাগ। গত বছর এ খাতে অনুদান ছিল মাত্র ৭৫ লাখ টাকা।
বাজেট উপস্থাপনকালে রেজিস্ট্রার বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছ থেকে ৫০৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছিল। চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে ৩২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর অনুকূলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বাংলাদেশ মঞ্জুরী কমিশন বরাদ্দ দেয়। কিন্তু বাস্তবতা যাচাই-বাছাই করে ৩৩৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার বাজেট প্রণয়ন করা হয়। বাজেটে মোট ঘাটতি ৬৬৮ লাখ টাকা।
ঘোষিত বাজেটে পেনশন ও অবসর খাতে ৫৩ কোটি টাকা, মোবাইল ও সেলফোন ভাতা ৩০ লাখ টাকা ও শ্রান্তি ও বিনোদন খাতে ৪৫ লাখ টাকা বাড়িয়ে তিন কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অগ্নি নির্বাপনের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামাদি ক্রয়ের জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, ২৯ বছর ধরে কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ অকার্যকর। কিন্তু এ বছর বাজেটে কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়ন অনুদান খাতে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বাজেট অধিবেশনে রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদার তুলনায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে প্রাপ্ত বাজেট অপ্রতুল। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আরও আয়ের ব্যবস্থা করতে চাই।
সভায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাজেটে সরকারি ভর্তুকি সবচেয়ে বেশি। সরকার অনেক টাকা এখানে ব্যয় করে। শিক্ষার্থীরা এখানে জ্ঞান অর্জন করছেন। তাদের অবদান কম।
এ সময় তিনি প্রস্তাব দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল সার্ভে করে এরিয়া নির্ধারণ করা উচিত। পাশাপাশি পুরো এলাকা লেক দিয়ে পরিবেষ্টিত করে বৈদ্যুতিক কাঁটাতার দিয়ে সুরক্ষিত করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে পানি সংরক্ষণের জন্য রেইন হার্ভেস্টিং ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ভবনে সোলার প্যানেল ও সোলার সড়কবাতি লাগানোর প্রস্তাব করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও সিনেট সদস্য সংরক্ষিত আসনের এমপি ওয়াসিকা আয়েশা খান বলেন, রেলমন্ত্রী নতুন ট্রেনের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত আমি সেটি মন্ত্রীকে ভুলতে দেব না। এ সময় তিনি চাকসু নির্বাচন কখন হতে পারে এ প্রশ্ন তুলে বলেন, সিনেটে চাকসু প্রতিনিধি নেই, এটা দুঃখজনক। আজ তারা থাকলে তাদের কথাও শুনতে পেতাম।
সিনেট আলোচনায় আরও অংশ নেন- কুমিল্লা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান ও সিনেটের বিভিন্ন পর্ষদের শিক্ষকবৃন্দ।



ফেইসবুকে আমরা