বাংলাদেশ, , সোমবার, ৬ মে ২০২৪

নগরীর বড়পুল এলাকায় পুলিশের নামে পরিবহন থেকে চাঁদা আদায়, র‌্যাবের হাতে তিনজন আটক

  প্রকাশ : ২০২০-১১-০৪ ১৬:১১:৩০  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : নগরের হালিশহর থানাধীন বড়পুল এলাকায় পরিবহন থেকে চাঁদা আদায়ের সময় তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে বড়পুল ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক তিনজন হলো- বড়পুল মইন্যাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), হালিশহর হাউজিং নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. হুমায়ুন কবির (২৭) ও বন্দর নিউমুরিং আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. হাসান মুরাদ রণি (২৭)। তারা আইন শৃংখলা রক্ষাবাহিনী ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের নামে পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় করতো বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন, বড়পুল এলাকায় পরিবহন থেকে চাঁদা আদায়ের সময় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের হালিশহর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাব-৭ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ বলেন, বড়পুল থেকে আনন্দ বাজারগামী বিভিন্ন সিএনজি অটোরিকশা, মাহেন্দ্র এবং অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় করছিল তারা। তারা আইন শৃংখলা রক্ষাবাহিনী ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের নামে পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় করছিল। এসব চাঁদা তুলে তাদের পৌঁছে দিত তারা।

আইন শৃংখলা রক্ষাবাহিনী বলতে কাদের নামে এ চাঁদার টাকা তোলা হয় জানতে চাইলে সোহেল মাহমুদ বলেন, আটকরা জানিয়েছে পুলিশের নামে। আমরা তা যাচাই করে দেখছি।

অভিযোগ রয়েছে, বড়পুল থেকে আনন্দ বাজার ও আনন্দ বাজার থেকে বড়পুলগামী সব সিএনজি অটোরিকশা, মাহেন্দ্র এবং অটোরিকশাকে নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়। আনন্দ বাজার অংশের চাঁদা তোলা হয় বন্দর থানার মধ্যম হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. নাছিরের নামে। প্রতিদিন রাতে ফাঁড়িতে এ টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়। এছাড়া বড়পুল অংশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ নামধারী কয়েকজন চাঁদা আদায়ের বিষয়টি দেখভাল করেন। কোনো চালক তাদের টাকা না দিলে এ লাইনে তাকে গাড়ি চালাতে দেওয়া হয় না।

এ বিষয়ে জানতে মধ্যম হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. নাছিরকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার নম্বর ব্যস্ত পাওয়া যায়।

গত ২৬ জুন চাঁদার টাকা আদায় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মধ্যম হালিশহর এলাকায় সাগর নামে এক টমটম চালক ছুরিকাঘাতে খুন হন।



ফেইসবুকে আমরা