বাংলাদেশ, , রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ না.গঞ্জের ইয়াবা ব্যাবসায়ী নিহত

  প্রকাশ : ২০১৯-০৬-১৫ ১৪:১৬:১৮  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : ইয়াবার চালান নিতে টেকনাফ গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছেন রাসেল মাহমুদ (৩৬) নামে নারায়ণগঞ্জের এক যুবক।
শুক্রবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দৈংগাকাটা পাহাড়ের পাশে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি দেশীয় তৈরি এলজি, ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ।
নিহত রাসেল মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার উত্তর লক্ষনঘোনা এলাকার ফয়েজ আহমদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। ইয়াবার চালান নিতেই রাসেল টেকনাফ এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন ওসি।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শীর্ষ মাদক কারবারি হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দৈংগাকাটা এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আমীর হামজাকে ধরতে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই এলাকার উজাইঅং চাকমার পাহাড়ের পাশে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রধারী দুষ্কৃতকারীরা গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশের এসআই বেরাহান, কনস্টেবল হাবিব, সজীব এবং তুহিন গুলিবিদ্ধ হন।
পরে দুষ্কৃতকারীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, যুবকের পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে তাকে নারায়ণগঞ্জের রাসেল মাহমুদ বলে শনাক্ত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি, ৫ হাজার পিস ইয়াবা, ৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ৯ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।
ওসির ধারণা, নিহত রাসেল টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ী আমির হামজার কাছ থেকে ইয়াবা কিনে চালানটি নারায়ণগঞ্জ নিতে টেকনাফে আসেন। সিডিএমএস পর্যালোচনা করে নিহত রাসেল মাহমুদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানায় কয়েকটি মাদক মামলা পাওয়া গেছে।
ময়নাতদন্তের জন্য রাসেলের মরদেহ কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।



ফেইসবুকে আমরা