বাংলাদেশ, , রোববার, ৫ মে ২০২৪

জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

  প্রকাশ : ২০১৯-০৭-১০ ১৯:৩৫:১৯  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমকে জোরদার করতে কেন্দ্রীয় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সবাইকে একযোগে কাজ করে সেবার মান আরও বাড়াতে হবে। এ জন্য জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সরকারের পাশাপাশি সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এ বছর জনসংখ্যা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এবারের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘জনসংখ্যা ও উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫ বছর : প্রতিশ্রুতির দ্রুত বাস্তবায়ন’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামীকাল ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০১৯’ পালন করা হবে।প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, জনসংখ্যা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তার সরকার চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি (২০১৭-২২) গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বর্তমান জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ কর্মক্ষম। বয়স কাঠামোর এই পরিবর্তন আমাদের সামনে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর সুফল অর্জনের সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য মানুষকে দক্ষ জনশক্তি তথা মানবসম্পদে পরিণত করার বিকল্প নেই।’
সরকার দেশের মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জনসংখ্যা বিষয়ক বিভিন্ন সূচকের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। আমরা জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার স্বাভাবিক রাখা, পরিকল্পিত পরিবার গঠন, মা, শিশু স্বাস্থ্যসেবা ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, স্বাভাবিক প্রসব সংক্রান্ত সব সেবা, বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্যসেবা, আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহীতার হার বৃদ্ধিকে যথেষ্ট অগ্রাধিকার দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ মাতৃত্ব, কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্য, নারী শিক্ষা ও নারী কর্মসংস্থানের জন্য নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মীরা প্রতিমাসে ৩০ হাজার স্যাটেলাইট ক্লিনিক এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে দম্পতি পরিদর্শনের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা এবং মা-শিশু স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। ফলে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হার হ্রাস পেয়েছে এবং এই সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ এমডিজি অ্যাওয়ার্ড-২০১০ অর্জন করেছে।



ফেইসবুকে আমরা