বাংলাদেশ, , বুধবার, ১ মে ২০২৪

চন্দনাইশে ২৮ বছর পর সুদর্শন বড়ুয়ার স্মরণ সভা

  প্রকাশ : ২০২০-১০-২৪ ১৯:৫৬:৫৭  

পরিস্হিতি২৪ডটকম/(মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী,চন্দনাইশ প্রতিনিধি) : চন্দনাইশ পৌরসভার দক্ষিণ হারলা বড়ুয়াপাড়ার ব্যবসায়ী ও তৎকালীন ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি সুদর্শন বড়ুয়াকে ১৯৯২ সালে ২৩ অক্টোবর দিবাগত রাতে দুষ্কৃতিকারীরা ডাকাত সেজে দোকানে কেরোসিন দিয়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারে। দীর্ঘ ২৮ বছর পর পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।
আজ ২৪ অক্টোবর সকালে এ উপলক্ষ্যে সুদর্শন বড়ুয়ার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে পৌর আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আ’লীগ, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থাসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরে এক স্মরণ সভা পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পৌর আ’লীগের আহবায়ক এম. কায়সার উদ্দিন চৌধুরী, প্রধান আলোচক ছিলেন উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক লোকমান হাকিমের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন পৌর আ’লীগের যুগ্ম আহবায়ক ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, ফরিদুল আলম, চন্দনাইশ প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. মো. দেলোয়ার হোসেন, শ্রমিক লীগের সভাপতি মাহমুদুল হক বাবুল, স্থানীয় সংসদ সদস্যের এপিএস, সুদর্শন বড়ুয়ার ছেলে সুব্রত বড়ুয়া, দক্ষিণ জেলা মহিলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্চিতা বড়ুয়া, মহিলা আ’লীগ নেতা শাহানাজ বেগম, আ’লীগ নেতা যথাক্রমে বেলাল উদ্দিন, মোরশেদুল আলম, মোজাফ্ফর আহমদ, আখতার উদ্দিন, আবুল কালাম, আনোয়ার আজিম, ওমর ফারুক চৌধুরী, মাসুদ চৌধুরী, অমল বড়ুয়া, যুবলীগ নেতা শাহ ইমরান রাজু, আখতার হোসেন প্রমুখ। সভায় বক্তাগণ বলেন, ১৯৯২ সালে আ’লীগ করার অপরাধে প্রতিবাদী ব্যক্তি হিসেবে সন্ত্রাসীরা পৈশাচিক কায়দায় জ্যান্ত আগুনে পুড়িয়ে মধ্য যোগীয় কায়দায় হত্যা করেছিল সুদর্শন বড়ুয়াকে। বিএনপি’র দুসররা এ হত্যাকান্ড করার কারণে সাক্ষীর অভাবে ২০০১ সালে বিএনপি’র লোকজনই আসামীদেরকে এ মামলা থেকে বাঁচিয়ে দেয়। দীর্ঘ ১২ বছর একনাগারে আ’লীগ ক্ষমতায় থাকার পরও সুদর্শন বড়ুয়ার খুনিদের মামলা রিভিউ করা হয়নি। বক্তাগণ প্রয়োজনে মামলাটি রিভিউ করে বিচারের দাবি জানান। সে সাথে সুদর্শন বড়ুয়ার নামে একটি স্মৃতি সংসদ গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।



ফেইসবুকে আমরা