বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ায় বাঘের চামড়া ও ভ্রূণসহ ৩ চোরাচালানকারী গ্রেফতার

  প্রকাশ : ২০১৯-১২-০৯ ২১:০১:০১  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : ইন্দোনেশিয়ায় বাঘ চোরাচালানের দায়ে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে সুমাত্রার বিলুপ্তপ্রায় বাঘের চামড়া ও ৪টি ভ্রূণসহ একটি জার উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত বাঘের ভ্রূণগুলো চামড়া উদ্ধারকৃত বাঘের কি‘না তা নিশ্চিত নয়। বাঘের শাবক সাধারণত অন্ধ হয়ে জন্মগ্রহণ করে এবং জন্মের প্রথম কয়েক মাস তাদের মায়ের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করতে হয়।

দেশটির পরিবেশ ও বনমন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিয়াউ প্রদেশ থেকে পুলিশ তিন চোরাচালানকারীকে গ্রেফতার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে , গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে দুই জন চামড়া ও ভ্রূণ বিক্রির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং এক কোটি রুপিয়া জরিমানা হতে পারে।

সুমাত্রায় বাঘের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমছে। ধারণা করা হচ্ছে সুমাত্রার বনে মাত্র ৪০০টি বাঘ অবশিষ্ট রয়েছে। বাঘের সুন্দা উপ-প্রজাতিগুলো একসময় জাভা, বালি এবং সুমাত্রা দ্বীপগুলোতে পাওয়া যেত। তবে এখন কেবল সুমাত্রায় এদের দেখা মেলে।

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার জানিয়েছে, ‘বন উজাড় এবং বাঘ চোরাচালান চলতে থাকলে ‘সুন্দর প্রাণীটি’ জাভা এবং বালির মতো এই অঞ্চলেও প্রাণীটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এই অঞ্চলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা এবং কঠোর আইন সত্ত্বেও সুমাত্রাসহ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে বাঘ চোরাচালান অব্যাহত রয়েছে।’
বন্যপ্রাণী বাণিজ্য নিরীক্ষণ নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিকের তথ্যমতে, সুমাত্রা অঞ্চলের ৮০ শতাংশ বাঘ কমে যাওয়ার মূল কারণ বাঘ চোরাচালান। চলতি বছর অন্তত ৪০টি বাঘ এ কারণে প্রাণ হারিয়েছে।

বাঘের চামড়া, হাড়সহ শরীরের কিছু অংশের ঔষধি গুণ রয়েছে একটি বিশ্বাস প্রচলিত আছে। তাই এশিয়ায় এর একটি বড়ো বাজার গড়ে উঠেছে।



ফেইসবুকে আমরা