পরিস্হিতি২৪ডটকম : ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহার করে মুরগি ও মাছের খাবার তৈরির কারখানার কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এসব খাবার তৈরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
এছাড়া ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহার করে মুরগি ও মাছের খাবার বন্ধে হাইকোর্টের রায় প্রতিপালন না করায় বাণিজ্য সচিব, শিল্প সচিবসহ ছয় বিবাদীর বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। ৯ এপ্রিলের মধ্যে তাদের এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘আদালতের রায় উপেক্ষা; ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্যে মাছ ও মুরগির খাদ্য তৈরি থেমে নেই’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে মাছ ও মুরগির খাবার তৈরির কারখানা বন্ধে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় রয়েছে।
কিন্তু ওই রায়ের তোয়াক্কা না করে অসাধু চক্র প্রকাশ্যে ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে পোলট্রি ও ফিশ ফিড তৈরি করছে। এসব খাবার মাছ ও মুরগির মাধ্যমে ক্রোমিয়ামসহ ট্যানারির বিষাক্ত বিভিন্ন কেমিক্যাল মানব শরীরে প্রবেশ করছে। ফলে ক্যান্সার, কিডনি ও লিভারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আবেদনের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ ও রুল জারি করে।