বাংলাদেশ, , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

কিভাবে এল সি করব বা আমদানি রপ্তানী করার নিয়ম..১ম পর্ব

  প্রকাশ : ২০১৯-১১-১৪ ২১:৩১:৫৬  

কিভাবে এল সি করব বা আমদানি রপ্তানী করার নিয়ম : মোহাম্মদ আলাউদ্দীন চেীধুরী মোর্শেদ

পরিস্হিতি২৪ডটকম : লেটার অব ক্রেডিট বা এল সি কি : লেটার অব ক্রেডিটের সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে এল/সি, এটি আসলে ইতালিয়ান ভাষা তেকে আগত, এটা কে Lettera di Creditio আর এর সংক্ষিপ্ত রূপ লেটার অব ক্রেডিট, এটা উভয়ের মধ্যেই বিশ্বাসের ভিত তৈরী করে, এতে বেশিভাগ লাভবান হয় রপ্তানী কারক। রপ্তানীকারকের রপ্তানী করা পণ্যের মূল্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তার লক্ষে আমদানিকারকের পক্ষ নিয়ে ব্যাংক যে গ্যারান্ট্রি বা প্রত্যয়ন পত্র দেয় এককথায় তাকেই এল সি বা লেটার অব ক্রেডিট বলে।আন্তর্জাতিক বানিজ্য দেশের ভিতরে বানিজ্যের ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য পরিশোধের একটি নিরাপদ মাধ্যম বা সেতু বন্ধন হচ্ছে এলসি।ব্যাংক আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানীকারকে এই মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করে যে, আমদানিকারক কোন কারনে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে অস্বীকার করলে উক্ত ব্যাংক রপ্তানী কারককে এলসি এর শর্তমতে (ডকুমেন্টগত ভুল বা Discrepant না থাকে তবে ) যথাসময়ে পেমেন্ট করতে বাধ্য থাকবে। এ ক্ষেত্রে লেটার আব ক্রেডিট হল সেই উত্তম পন্থা যা ব্যাংকের মাধ্যমে বিক্রেতার মূল্য পরিশোধের এবং ক্রেতার কাছে তার পণ্যে সঠিক ভাবে প্রেরনের নিশ্চিয়তা প্রদান করে।
এল/সি করতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন : এল/সি করতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় তা বিশদভাবে ক্রমনুসারে উল্লেখ করা হলো, আমার বিশ্বাস আপনারা আমার এই টপিক পড়ে অল্প সময়ে আমদানি ও রপ্তানী পর্য়ায়ে ব্যবসা করতে ধারনা পাবেন ও লাভবান হবেন।
এল/সি করার জন্য আইআরসি প্রযোজন হবে, আর আইআরসি করার জন্য আপনাকে পর্যায়ক্রমে এই ধাপগুলো অবলম্বন করতে হবে-
১ম ধাপ : আপনার নিজস্ব ভবন বা ভাড়ায় একটি অফিস ঠিকানা লাগবে, যার জন্য জায়গার দলিল বা ৩০০ টাকার ষ্ট্যাম্পে ভাড়া নামা প্রযোজন হবে।
২য় ধাপ : এই নিজস্ব দলিলের ফটোকপি অথবা চুক্তিপত্রটি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা কার্যালয়/ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নির্ধারিত ফি দিয়ে ধরণ-আমাদানি ও রপ্তানী/ আমদানি ও সরবরাহকারী হিসাবে ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। খরচ স্থান ভেদে ৫০০ টাকা থেকে ১৫০০০/ টাকা পর্যন্ত।
৩য় ধাপ : ট্রেড লাইসেন্স হয়েগেলে ঐটা দিয়ে যে কোন তফসিলি ব্যাংক এ গিয়ে ছবি সহ একটি একাউন্ট করতে হবে, ঐ ব্যাংক থেকে একখানা সলভেন্সী লেটার নিতে হবে, তার পর এই গুলো দিয়ে ইনকাম টেক্স অফিস এ গিয়ে টিআইন করে নিতে হবে (একজন অভিজ্ঞ লয়ার/ পরামর্শেকের পরামর্শ নিতে পারেন)। নিজে করতে পারলে খরচ নেই বললে চলে, প্রাথমিক খরচ-১৫০০ টাকা।
৪র্থ ধাপ : ট্রেড লাইসেন্স, ও টিন ও দুই কপি ছবি, ভোটার আইডিদিয়ে স্থানীয় চেম্বার অব কর্মাস এর মেম্বার হয়ে যেতে হবে। চেম্বার এর ধরণ বুঝে সদস্য ফি নিবে ৫০০-১০০০ টাকা।
৫ম ধাপ : ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত একখানা প্রত্যায়ন পত্র, টিন, চেম্বারসনদ সহ নিয়ে আই,আর,সি এর জন্য স্থানীয় আমদানি রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুারো অফিসে গিয়ে আপনার ব্যবসায়িক প্রসারতা ও সামথ্য অনুসারে আমদানি টাকার সীমা অনুযায়ী এই IRC ফি নির্ধারিত হয়ে থাকে আর নিধারিত হারে IRC ফি বাবদ ট্রেজারী চালান ও উক্ত চালানের হারের উপর ভিত্তি করে ভ্যাট বাবদ ১৫% হারে ট্রেজারী চালানসহ পিন আপ করে আবেদন সহ জমা দিবেন। IRCকপি এক সপ্তাহ বা তার কম সময় মধ্যে পেয়ে যাবেন।
চলবে…..

লেখক :
তরুন ব্যবসায়ী উদ্যেক্তা,রাজনীতিবিদ



ফেইসবুকে আমরা