বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

রবিবার জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদার জামিন শুনানি

  প্রকাশ : ২০২০-০২-১৯ ১৯:২২:২০  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের উপর আগামী রবিবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তার আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ডিভিশন বেঞ্চ আজ বুধবার শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন।

দিন ধার্যের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতার বিষয়টি উল্লেখ করে জামিন চেয়েছি। আশা করছি আদালত মানবিক দিক বিবেচনা করবেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার জামিন আবেদনটি দাখিল করেন আইনজীবী সগির হোসেন লিয়ন। আজ সকালে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন হাইকোর্টে এই আবেদনের শুনানির দিন ধার্যের জন্য আবেদন করেন। এ সময় বেঞ্চের জেষ্ঠ্য বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, এই মামলা নিয়ে এর আগেও একবার আমাদের বেঞ্চে এসেছিলেন। পরবর্তী সময়ে আপনারা আপিল বিভাগে যান।

তখন খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘আমরা নতুন গ্রাউন্ডে জামিন চেয়ে আপনাদের বেঞ্চে এসেছি। এতে আইনগত কোনো বাধা নেই।’ পরে আদালত জানান, রবিবার শুনানির জন্য জামিন আবেদনটি কার্যতালিকায় আসবে।

হাইকোর্টে দাখিলকৃত এই জামিন আবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই বছর ধরে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। তিনি তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও একজন বয়ষ্ক নারী। দিনের পর দিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। অন্যদের সাহায্য ছাড়া সে চলাফেরা করতে পারে না। এমনকি নিজে কোন খাবার ও অন্যের সহযোগিতা ছাড়া সে ওষুধও গ্রহণ করতে পারেন না। এ কারণে যুক্তরাজ্যের মত দেশে অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট নেওয়ার প্রয়োজন। এজন্য মানবিক কারণে তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন।

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে ঢাকার বিশেষ আদালত-৫। ওই সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন চান তিনি। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সর্বোচ্চ আদালত খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন চান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষের কাছে। পরে খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট প্রদানের বিষয়ে বোর্ড গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই প্রতিবেদন আসার পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গত ১২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে জামিন না দিয়ে আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দেয়। আদালত বলেন, খালেদা জিয়ার সম্মতি পেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট দিবে।

এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেছেন খালেদা জিয়া। ওই আপিল আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট দীর্ঘদিন ধরে পরে আছে। কিন্তু শুনানির কোনো উদ্যোগ নেননি আইনজীবীরা।



ফেইসবুকে আমরা