বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বন্দরকেন্দ্রিক যানজটের কারণে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ বন্ধ

  প্রকাশ : ২০১৯-০৯-১৭ ১৯:৫৫:২৬  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : বন্দরকেন্দ্রিক যানজটের কারণে নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সল্টগোলা ক্রসিং থেকে সিমেন্ট ক্রসিং অংশের কাজ ‘সাময়িক’ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আউটার রিং রোড এবং সিইপিজেড থেকে রিং রোড পর্যন্ত সংযোগ সড়ক চালুর পর ওই অংশে কাজ শুরু হবে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণ শীর্ষক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান তথ্য জানিয়েছেন।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘সল্টগোলা ক্রসিং থেকে সিমেন্ট ক্রসিং অংশে আমরা কাজ শুরু করেছিলাম। সম্প্রতি কাজ শুরু পর ওই এলাকায় যানজট বেড়ে গেছে জানিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিকল্প সড়ক চালু করে ওই অংশে কাজ করার প্রস্তাব দেয়। মূলত বন্দরকেন্দ্রিক যানজটের কারণে ওই অংশে কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, সিইপিজেড থেকে আউটার রিং রোড পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। আউটার রিং রোড প্রকল্পের আওতায় সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করবে সিডিএ।

‘এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের শেষ প্রান্ত নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা ছিলো। কর্ণফুলী টানেলের কারণে সেখানে নকশায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নির্মাণাধীন এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের শেষ প্রান্ত কর্ণফুলী টানেল ও শাহ্ আমানত বিমানবন্দরের সংযোগ সড়কে মিলিত হবে। এ ছাড়া উঠানামার জন্য পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে নতুনভাবে র‌্যাম্প নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, আগ্রাবাদ থেকে বারিক বিল্ডিং অংশে শিগগির কাজ শুরুর কথা ছিলো। কিন্তু পিসি রোড ও এক্সেস রোডের নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, ডিসেম্বরে রোড দুটির কাজ শেষ হবে। সেগুলো চালুর পর এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, বন্দরের আপত্তির কারণে এক্সপ্রেসওয়ের নকশায় ইতোমধ্যে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে সল্টগোলা ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার ডানপাশে দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হবে। ওই অংশে বন্দরের একটি ফ্লাইওভার রয়েছে, সেটির পাশ দিয়ে যাবে এক্সপ্রেসওয়ে।

সমন্বয় সভায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ, কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ, আউটার রিং রোড প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুল হোসাইন খানসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়বে

যানজটের কারণে সল্টগোলা ক্রসিং থেকে সিমেন্ট ক্রসিং অংশে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হবে। এ বছর শুরু হবে না আগ্রাবাদ থেকে বারিক বিল্ডিং অংশের কাজ। পাশাপাশি পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় নতুনভাবে র‌্যাম্প নির্মাণ ও বারিক বিল্ডিং থেকে সল্টগোলা ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার ডানপাশে দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে।

এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ঠিক সময়ে কাজ শুরু করতে না পারা ও বন্ধ রাখার কারণে প্রকল্প মেয়াদ অবশ্যই বাড়বে। পাশাপাশি নতুন অবকাঠামো নির্মাণের সিদ্ধান্তের কারণে ব্যয়ও বাড়বে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
সুত্র : বাংলানিউজ২৪ডটকম।



ফেইসবুকে আমরা