বাংলাদেশ, , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে পানি জমে থাকলে জরিমানা করবে চসিক

  প্রকাশ : ২০১৯-০৮-০৪ ২১:১৯:০৭  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ, কার্নিশ, ড্রাম বা রিজার্ভার, ফুলের টব, ছাদবাগানে পানি জমে থাকলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে। দু-এক দিনের মধ্যেই এ অভিযান শুরু হবে।

রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে চসিক সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে আয়োজিত সভায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ তথ্য দেন।

জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, লিফলেট বিলি করছি, মাইকিং করছি, চসিক জেনারেল হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাচ্ছি। কিটস শেষ হওয়ায় দুদিন বন্ধ ছিল। সোমবার থেকে আবার চালু করছি। এডিস মশা রোধে লার্ভিসাইড ও অ্যাডাল্টিসাইড ছিটানো অব্যাহত থাকবে। এ কার্যক্রম জোরদার করতে আরও ফগার মেশিন ও ওষুধ কেনা হচ্ছে। আমরা ভারতীয় ওষুধ সংগ্রহ করেছি। এটি শতভাগ কার্যকর। সরকার, মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি এডিস মশা রোধে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে।

চসিক সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আয়োজিত সভা।তিনি বলেন, চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ২৬৩ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। ঈদুল আজহায় ঢাকা থেকে অনেকে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসবে, সেখানে কারও ডেঙ্গু হয়ে থাকলে তা এখানে ছড়াতে পারে। এটি আশঙ্কার কথা। আমাদের দিন-রাত বিভেদ নেই। চসিক রুটিন কাজ নিয়মিত পরিচালনা করছে। আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের সেবা করে যাবো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহসিন উদ্দীন, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আলী প্রমুখ।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বলেন, মসজিদে বয়ানে মুসল্লিদের সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছি। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। নাগরিকদের পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। সন্তানদের পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, ১ হাজার জ্বরের রোগীর মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত মাত্র ২ জন। সিবিসি পরীক্ষার মাধ্যমেও নিশ্চিত হওয়া যায়। কিট যখন প্রয়োজন সরকার নিশ্চিত করবে। হা-হুতাশের দরকার নেই। মানুষের মন যাতে না ভাঙে। পোলিওমুক্ত দেশ গড়েছি, ডেঙ্গুমুক্ত দেশও গড়বো। আগাম বর্ষার কারণে এবার পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। চমেক হাসপাতালে কোনো ডেঙ্গু রোগী মারা যায়নি।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহসিন উদ্দীন বলেন, ডেঙ্গু রোগের কারণ মশা। মশা জন্মানোর কারণ নিজেরা। সচেতনতার অভাব। সব ডেঙ্গু ভয়াবহ নয়। কিটের সরবরাহ কম হওয়ায় সবার জ্বর হলেই ডেঙ্গু পরীক্ষার দরকার নেই। চমেক হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ৫০ শতাংশ রোগী চট্টগ্রামে আক্রান্ত হয়েছে। বাকিরা বাইরে আক্রান্ত হয়েছে। প্যারাসিটামল ছাড়া জ্বরের জন্য অন্য ওষুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দরকার মিডিয়ার সহযোগিতা।

ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, দেশে চসিকই প্রথম সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা চালু করেছে। ১ হাজার রোগীর মধ্যে ১৪ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। ৮০ ভাগ রোগী ঢাকা ফেরত।



ফেইসবুকে আমরা