পরিস্হিতি২৪ডটকম : ধর্ম ও ধার্মিকতা মানবজাতিকে সভ্য ও সুশৃঙ্খল করে। মানবতা জাগরণের মধ্যদিয়ে মানবাত্মার উম্মোচনে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে ধর্মীয় অনুশাসনে। ধর্ম মানুষকে শ্রষ্টার পথ দেখায় এবং ধর্মীয় অনুশাসন মানুষকে আলোকিত করে। সনাতন সম্প্রদায় আজ ধর্মীয় অনুশাসন ও আদর্শ থেকে সরে যেতে বসেছে। ধর্মীয় অনুশাসন এখন শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা ও পালনে রূপ লাভ করেছে। এটি কখনো ধার্মিকতা হতে পারে না। ধর্ম পালনের বিষয় নয়, এটি ধারনের বিষয়। ধর্ম ও ধার্মিকতা ধারণের মধ্য নেই আজ সনাতনী সমাজ। তাই কালী মায়ের আদর্শ ধারণ করলে সনাতনী সমাজ এবং মানবজাতি পদচ্যুত হবে না। শ্রী শ্রী করুণাময়ী কালী মন্দিরের ধর্মসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এড. তপন কান্তি দাশ উপরোক্ত মন্তব্যে করেন।
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলাধীন কেচিয়াপাড়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী করুণাময়ী কালী মন্দিরের উদ্বোধন ও কালী বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার ১ম দিন ধর্মসভা গতকাল সন্ধ্যায় মন্দির প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও মাধুরী কল্যাণ ফান্ডের পরিচালক ডা. সাগর চন্দ্র দে এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ধর্ম সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাগীশিক কেন্দ্রীয় সংসদের প্রধান উপদেষ্টা ও শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক এড. তপন কান্তি দাশ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ও প্রধান ধর্মীয় আলোচক ছিলেন পটিয়া উপজেলাধীন পাচুরিয়া তপোবন আশ্রমের অধ্য শ্রীমৎ স্বামী রবিশ্মরানন্দপুরী মহারাজ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট তপন কান্তি দাশ বলেন, পটিয়ার শ্রী শ্রী করুণাময়ী কালী মন্দির এলাকার সনাতনী সমাজকে মায়ের আরাধনা ও আদর্শ চর্চায় অনুপ্রাণিত করবে এবং ধর্মীয় অনুশাসন ও অনুকরণের পথ দেখাবে। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে শ্রীমৎ স্বামী রবিশ্মরানন্দপুরী মহারাজ বলেন, যতবেশী ধর্মীয় অনুশাসন অনুকরণ ও অনুধাবন করা হবে ততবেশি সনাতনী সমাজ ও মানবজাতি উপকৃত হবে। মায়ের কৃপা সনাতনী সম্প্রদায়ের উপর থাকলে সনাতনী সমাজ আলোকিত হবে।
ধর্ম সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, মোজাফ্ফরাবাদ কলেজের চেয়ারম্যান লায়ন সন্তোষ কুমার নন্দী, বান্দরবান সরকারী কলেজের সাবেক অধ্য সুভাষ চক্রবর্তী, বাগীশিক কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এড. সুভাশীষ শর্মা, বাগীশিক পটিয়া উপজেলার সভাপতি শ্রী পুলক চৌধুরী, শ্রী শ্রী মগধেশ্বরী মাতৃমন্দির উৎসব কমিটির সভাপতি শ্রী সন্তোষ দাশ, বিশিষ্ট সমাজসেবী শ্রী রন্টু সেন, ইউপি সদস্য শ্রী চন্দ্রনাথ দে, শ্রী সন্তোষ ঘোষ। মন্দির পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তা শ্রী দেবতোষ চক্রবর্তী বাপ্পু, শ্রী সুমন দে বিষু ও শ্রী সুমন দে বাপ্পু এর যৌথ সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী চন্দন কুমার দে ও শুভেচ্চা বক্তব্য রাখেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি শ্রী অসীম কুমার বিশ্বাস। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, মন্দির পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি শ্রী রতন দাশ চৌধুরী খোকন, ডা. শ্রী সন্তোষ চক্রবর্তী, শ্রী দেবাংশু দে, শ্রী সুমন দে বিশু, হিসাবরক শ্রী দেবানন্দ দে, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী প্রিয়তোষ দে জুয়েল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শ্রী টিপু দে, ধর্মীয় সম্পাদক শ্রী চন্দন চক্রবর্তী, সদস্য শ্রী বাবুল চন্দ্র দে, শ্রী গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে, শ্রী অজিত কুমার দে, শ্রী বিমল চন্দ্র দে প্রমূখ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি