বাংলাদেশ, , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

রাঙ্গুনিয়া স্টুডেন্টস ফোরাম’র ওয়েবিনারে বিজ্ঞানী ড. নওশাদ আমিন : সৌরশক্তির ব্যবহারে প্রযুক্তির উৎকর্ষতা নিশ্চিত জরুরি

  প্রকাশ : ২০২১-০২-০৩ ১৮:৫৩:৪৯  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : একটি দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেই দেশের দক্ষ জনশক্তি তাই আমাদেরও বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রার সাথে তাল মিলিয়ে প্রাগ্রসর হতে হবে। সুদক্ষ জনসম্পদে যাতে আমাদের বর্ধিত জনগোষ্ঠী পরিণত হয় সেদিকে গুরুত্বারোপ করতে হবে। রাঙ্গুনিয়া স্টুডেন্টস ফোরাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’র উদ্যোগে দেশে-প্রবাসে ছড়িয়ে থাকা রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কৃতি ব্যক্তিত্বদের পরিচিতি ও কৃতিত্ব তুলে ধরতে আয়োজিত ‘রাঙ্গুনিয়ার কৃতিজন পরিচিতি’ অনুষ্ঠানের চলমান পর্বের অতিথি আলোচকের বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন প্রবাসী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ও গবেষক অধ্যাপক ড. নওশাদ আমিন।
অদ্য ৩রা ফেব্রুয়ারী রাঙ্গুনিয়া স্টুডেন্টস ফোরাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’র অফিশিয়াল ফেইজবুক পেইজ থেকে সরাসরি ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুর রহমান শিহাব।
ড. নওশাদ আমিন তার সৌরশক্তি গবেষণার ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনের মাধ্যমে আরো বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে সৌরশক্তির আধুনিকায়ন হচ্ছে এবং সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এর সম্ভাবনার দ্বার প্রসারিত হচ্ছে। ভবিষ্যত টেকসই, বাসযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব পৃথিবী গড়তে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের যথোপযুক্ত ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে প্রায় ১৪০টি দেশ ২০৫০ সাল নাগাদ নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস ব্যবহারের রোডম্যাপে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছে, যার মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ আসবে সৌরশক্তি থেকে আর বাকী ৫০ ভাগ আসবে বায়ুকল ও সমুদ্রের ঢেউয়ের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের তুলনায় সৌরশক্তির গ্রহনযোগ্যতা সব দিক বিবেচনায় বেশি বলেও মত দেন এই সৌরশক্তির বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী। উন্নত দেশগুলো ইতিমধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারে পরিকল্পনামত অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে যা তাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়ক। বাংলাদেশেও সৌরশক্তির ব্যবহারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে এবং এই বিষয়ে অভিজ্ঞ পরামর্শকদের অন্তর্ভুক্ত করে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। দেশের স্বার্থে ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রশ্নে আপোষহীনতা, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার কোনো বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তরুণ গবেষক ও বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোনো বিষয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে নিজের জড়তাকে দূরে ঠেলে দিয়ে সেই বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞানের প্রগ্রারতা, অভিজ্ঞ পরামর্শকের সাহাচার্য গ্রহণ ও একাগ্রচিত্তে লক্ষ্য স্থির করে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। যেকোনো বিষয়ে মূলত সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা, লক্ষ্য নির্ধারন করা এবং সেই পরিকল্পনামাফিক কর্মযজ্ঞে একনিষ্ঠভাবে অগ্রসর হওয়া।
উল্লেখ্য, ড. নওশাদ আমিন মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি তেনেগা ন্যাশনালে অধ্যাপনারত আছেন। ডক্টর নওশাদ আমিন ফলিত পদার্থবিদ্যায় মালয়েশিয়ায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শীর্ষ ১১ জন বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম একজন। মালয়েশিয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের স্টানফর্ড ইউনিভার্সিটির করা শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায়ও তিনি স্থান করে নিয়েছেন সম্প্রতি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি



ফেইসবুকে আমরা