পরিস্থিতি২৪ডটকম: মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিলুপ্ত হারলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও হারলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সিরাজুল ইসলাম রহমানীর ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল স্মরণসভা গত ১৩ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ফেইস টু ফেইস ফেইসবুক পেইজে বেলাল হোসাইন মিন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা মফিজুর রহমান, চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাস্টার হুমায়ুন কবির, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, চন্দনাইশ উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মাহমুদুল হক বাবুল, চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ বিন ইসহাক, চন্দনাইশ পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদুল আলম চৌধুরী, ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি সোহেল মো. ফখরুদ-দীন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদিকা সঞ্চিতা বড়ুয়া। স্মরণ সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মোহাম্মদ আরিফ। উপস্থিত সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রয়াত নেতার সুযোগ্য সন্তান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম রহমানী।
অনুষ্ঠানে জননেতা মফিজুর রহমান বলেন, সিরাজুল ইসলাম রহমানী দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিস্মৃতপ্রায় একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত হয়ে পড়েন এবং ১৯৬৫ সালে তিনি চট্টগ্রাম সিটি কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে চন্দনাইশের বরুমতি খালের আশপাশের অনাবাদি জমিকে চাষাবাদযোগ্য করে সোনালি ফসলে ভরপুর করে দেন। ১৯৭৯ সালের প্রথম দিকে তিনি হারলা গ্রামের কৃষকদের দুরবস্থা দূর করার জন্য আন্দোলন শুরু করেন। এছাড়াও তিনি একজন ধার্মিক ব্যক্তি ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সিরাজুল ইসলাম রহমানী চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি