পরিস্হিতি২৪ডটকম : ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় দেশে ফিরে গেলেন ফেসবুকে প্রেম করে বাংলাদেশে আসা মার্কিন তরুণী। বাংলাদেশে এসে মিঠুন বিশ্বাসকে বিয়ে করেন রিজিনা এসলিক এই মার্কিন তরুনী। তিনি জানান, ‘স্বামীর সাথে দেশে থাকার ইচ্ছা থাকলেও আইনি সমস্যায় থাকতে পারছি না, তাই এবার স্বামীকেই নিজের কাছে নিয়ে যাবো’।
মিঠুন বিশ্বাস জানান, ‘রিজিনা এদেশে আসার সময় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় অর্থ। মেয়েটির পরিবার কোনো অর্থ দেয়নি। এই অবস্থায় রিজিনা নিজেই ৫ মাস শহরের একটি শপিং মলে কাজ করে বাংলাদেশে আসার টাকা জোগাড় করেছেন। তারপর চলে এসেছেন বাংলাদেশে। এখানে আসার পর তাদের বিয়ে হয়েছে। তিনি রিজিনাকে অনেক স্থানে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়িয়েছেন। যা তার খুব ভালো লেগেছে, এগুলোতে সে খুব খুশি হতো। তবে শ্বশুরের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই আমাদের। তবে শাশুড়ি মাঝে মধ্যে মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন। আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাগজপত্র তৈরি করছে রিজিনা’।
মিঠুন বিশ্বাসের মা মায়া বিশ্বাস জানান, ‘এত ভালো পুত্রবধূ পাবেন তা কখনো কল্পনা করেননি। দুই দফা তার বাড়িতে এসে চার মাস থেকেছে। এই সময়ে বাড়ির সব কাজ করতো। মাছ কাঁটা, রান্না করা, বাড়ি ঝাড়– দেওয়া থেকে শুরু করে সবই করত রিজিনা। প্রথম দিকে তার খাবারের একটু সমস্যা ছিল, পরে সেটা মানিয়ে নিয়েছে। বাঙালি খাবার খেয়েছে, কিছু কিছু কথা বাংলাতেও বলতো সে’।
এর আগে ২০১৫ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এলিজাবেথ রিজিনা এসলিকের সঙ্গে পরিচয় হয় মিঠুন বিশ্বাসের। প্রথমে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকলেও পরে তা প্রেমের রূপ নেয়। পরে ভালোবাসার টানে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছি গ্রামের নির্মল বিশ্বাসের ছেলে মিঠুন বিশ্বাসের বাড়িতে চলে আসেন ২১ বছর বয়সী মার্কিন তরুণী এলিজাবেথ রিজিনা এসলিক। এরপর ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি ঢাকায় আসেন রিজিনা। দেশে এলে মিঠুনের পরিবার রিজিনাকে বরণ করে নেয়। পরবর্তীতে ওই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি মিঠুনের গ্রামের বাড়িতেই খ্রিষ্ট ধর্ম মতে তাদের বিয়ে হয়।