পরিস্হিতি২৪ডটকম/সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল : চন্দনাইশেও জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার শুভ সুচনা করা হয়েছে।
১০ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে ঢাকার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরুর ‘কাউন্ট ডাউন ক্লক’ উদ্বোধনের পর সারাদেশের সঙ্গে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয় চন্দনাইশেও। উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন ভবনে ‘কাউন্ট ডাউন ক্লক’ চালু করে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয়।
এ উপলক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ও কাশেম মাহবুব উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বর্ণিল অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন। অনুষ্ঠানটি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মিলনমেলায় পরিনত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঢাকার প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘কাউন্ট ডাউন ক্লক’ উদ্বোধন অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখার জন্য মিলনায়তনে লোকজনের ভীড় কমে। মিলনায়তনে বসার বা দাঁড়ানোর স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় সমবেত লোকজনের দুই তৃতীয়াংশ উপভোগ করতে পারেননি প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান। বিকেলে উপজেলা সদর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে।
মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উপজেলা ভবন, মিলনায়তন, মাঠ, সড়ক ও আশেপাশের এলাকা সাজানো হয়। অনুষ্ঠানস্থলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। পুরো এলাকাকে বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রামের ঐতিহাসিক ছবি, রঙিন ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়।
১১ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওর নেতৃত্বে বিশাল বর্ণাঢ্য র ্যালী চন্দনাইশ সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। বিকেলে কাশেম মাহবুব উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থাপিত মঞ্চে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানমালায় উপস্থিত ছিলেন চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল জব্বার চৌধুরী, চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দোহাজারী পৌরপ্রশাসক আ ন ম বদরুদ্দোজা, পৌর মেয়র আলহাজ্ব মু. মাহাবুবুল আলম খোকা, উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান মাওলানা সোলাইমান ফারুকী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট কামেলা খানম রুপা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিবেদিতা চাকমা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেশব চক্রবর্তী, ইউএইচএন্ডএফপিও ডা. শাহীন হাসান চৌধুরী লিটু, ডা. আবু রাশেদ মো. নুরউদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাফর আলী হিরো, কাঞ্চনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, বৈলতলী ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট আনোয়ারুল মোস্তফা দুলাল, বরমা ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম, সাতবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আহমদুর রহমান ডিলার, হাশিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীরুল ইসলাম, জোয়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ চৌধুরী রোকন, ধোপাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম, অধ্যক্ষ আব্দুল মমিন, ইউএসইও রতন কুমার সাহা, ওয়াইডিও আ ন ম সালেহ উদ্দীন, সমবায় কর্মকর্তা দিদারুল আলম চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা গীতা চৌধুরী, পিআইও সালেহ উদদীন, উপজেলা এসএই প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, দোহাজারী পৌরসভার এসএই প্রকৌশলী শামীম মৃধা, একাডেমিক সুপার ভাইজার বিপিন চন্দ্র রায়, ইউইও (ভারপ্রাপ্ত) হাসান আল মামুন, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর আকতার সানজিদা পপি, এইইউইও এ এস এম মনির উদ্দীন, এআরডিও আসিফুজ্জামান, গাসক ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি শেখ মো. টিপু চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা আহসান ফারুক, আরিফুল ইসলাম খোকন, সাংবাদিক নুরুল আলম, সাংবাদিক এম এ রাজ্জাক রাজ, সাংবাদিক এস এম নাসির উদ্দীন বাবলু, সাংবাদিক সৈয়দ মহিউদ্দিন, সাংবাদিক সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল, সাংবাদিক কাজী আবু মোহসীন, সাংবাদিক সৈয়দ মন্জুর রহমান জুবাইর, সাংবাদিক আবু তোরাব আলী, সাংবাদিক বিমল তালুকদার, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এইচ এম সৈয়দ হোসেন, হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদ নেতা মাস্টার বিষ্ণুযশা চক্রবর্তী, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব হোসেন সোহরাওয়ার্দী, সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দীন, সেক্রেটারি কামরুল ইসলাম, এও মেরী দাশ, স্টাফ কাউন্সিল নেতা সরওয়ার আহসান, সৈয়দ মো. মোসলেম উদ্দীন, মো. শাহেদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, লোকমান হাকিম, স্কাউটস লিডার মাস্টার আবুল বশর প্রমুখ।