পরিস্হিতি২৪ডটকম : আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।প্রধানমন্ত্রী পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দলের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকবার শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।
বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা এবং শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, মোজাফফর হোসেন পল্টু ও এডভেকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, আবদুল মতিন খসরু ও আবদুল মান্নান খান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ও সালমান এফ রহমান, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এ এফ এম বাহাউদ্দিন নাসিম ও বি এম মোজাম্মেল হক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, হারুনুর রশিদ, দেলওয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আকতারুজ্জামান, আনোয়ার হোসেন ও শাহাবুদ্দিন ফারাজী অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পরে, দলের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দলের সহযোগী সংগঠনসমূহ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রী এরপর শেখ রেহানা ও সায়মা হোসেন পুতুলসহ বনানী কবরস্থানে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৫ আগস্ট হত্যাযজ্ঞে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে তিনি ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি জাতীয় তিন নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাতীয় এই তিন নেতা এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে নিহত হন।