পরিস্হিতি২৪ডটকম : বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মাঝে ফেলোশিপের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শুধু গবেষণা করলেই চলবে না। গবেষণার ফলাফলটা যে কী সেটাও জানতে চাই। আর গবেষণার ফলাফলটা যে দেশের কাজে লাগছে, সেটাও নিশ্চিত হওয়া চাই। গবেষণার জন্য যে অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে তার ফলাফলটা তো জানতে হবে।’
দেশের গবেষক ও বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলাফল যেন জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে ব্যবহার হয় তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য গবেষণার থেকে পাওয়া নতুন জ্ঞান সবার জন্য সহজলভ্য করতে একটি তথ্যভাণ্ডার (ডেটাবেইজ) তৈরির পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করব, যাদেরকে স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে, যারা গবেষণা করছেন, তাদের একটা ডেটাবেইজ হওয়া প্রয়োজন। তাদের কী গবেষণালব্ধ জ্ঞান আছে, সেটা আমরা কীভাবে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারি, কে কোন দিকে সবচেয়ে বেশি পারদর্শী, তাকে সে ধরনের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারব, সেভাবেই একটা ডেটাবেইজ করা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে দেখলাম গবেষণার জন্য কোনো বিশেষ বরাদ্দ ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের নিজের মতো করে যা পারত গবেষণা করত। কিন্তু একটা দেশের সার্বিক উন্নয়নে কোন ক্ষেত্রে গবেষণা করতে হবে, কিভাবে দেশ এগোবে তা নিয়ে গবেষণার কোনো উদ্যোগই ছিল না। আমরা প্রথমেই একটি থোক বরাদ্দ দেওয়া শুরু করলাম শুধু গবেষণার জন্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হবে, খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে হবে। এই খাদ্য নিশ্চিয়তা দিতে হলে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে। সেখানে গবেষণার প্রয়োজন আছে। পুষ্টির নিশ্চিয়তার জন্যও গবেষণা প্রয়োজন। সেটাও এখন চলছে। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা কেন পিছিয়ে থাকব?’
অন্ষ্ঠুানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি এবং মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন স্বাগত বক্তৃতা রাখেন।
এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, উর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ, ফেলোশিপ এবং অনুদান প্রাপ্ত শিক্ষার্থী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।