বাংলাদেশ, , মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের জব্দকৃত লাখ টাকার ওষুধের ভবিষ্যৎ কী?

  প্রকাশ : ২০২০-০২-১৬ ১৮:৩৬:৫৫  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : প্রায় ছয় লাখ টাকার সরকারি ওষুধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন। বিভিন্ন সময় ফার্মেসিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জব্দ করা হয় এসব সরকারি ওষুধ। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও মিলছে না সাড়া।

জানা গেছে, গত বছরের ১৩, ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারীতে বিভিন্ন ফার্মেসিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উদ্ধার করা হয় ১৬ হাজার ৭শ পিস ওষুধ। এরমধ্যে গত বছর চালানো অভিযানে জব্দ করা ১৬ ধরনের ওষুধের পরিমাণ ১৫ হাজার ১৬৮ পিস এবং চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি চালানো অভিযানে জব্দ করা ১০ ধরনের ওষুধের পরিমাণ ১ হাজার ৫৩৪ পিস।

জব্দকৃত ওষুধের বাজার মূল্য যাচাই করে দেখা যায়, এসব ওষুধের সাদৃশ্য অন্যান্য কোম্পানির ওষুধের মূল্য প্রায় ৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। এসব ওষুধের টাই হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং সিভিল সার্জনকে দুইদফা চিঠি দিয়ে অবহিত করার এক বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।

এসব ওষুধের ভবিষ্যৎ জানতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ওষুধের দায়ভার নিয়ে তারা দুষছেন একে অপরকে।

নিজ থেকে জব্দকৃত ওষুধ নিতে আগ্রহী নন জানিয়ে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, হাটহাজারীর ইউএনও আমাদেরকে কোনো চিঠি দেননি। জেলা প্রশাসকের কাছে নির্দেশনা চেয়েছেন। আমাদের শুধু চিঠির অনুলিপি দিয়েছেন। ডিসি যে সিদ্ধান্ত দেন সেটাই করবেন। যদি ওষুধগুলো আমাদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় তবে আমরা সেগুলো রোগীদের জন্য দিতে পারবো।

জব্দকৃত ওষুধ সিভিল সার্জনের চাওয়ার সুযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যান্য মালামাল হলে তা বিভিন্নভাবে কাজে লাগাতে পারেন। কিন্তু ওষুধের ব্যাপারে কখনও কোনো সিদ্ধান্ত দেননি তারা। তাছাড়া আমরা নিজে থেকে আগ্রহ পোষণ করবো না। আইনগতভাবে তারা আমাদের দিলে তা কাজে লাগানো যাবে।

‘তারা যে দোকান থেকে এসব ওষুধ জব্দ করেন ওদের ধরে খুঁজে বের করতে হবে-এ ওষুধ কোথা থেকে আসলো। এ বিষয়টি খুঁজে বের করতে না পারলে এ চক্রের অপতৎপরতা চলতেই থাকবে।’

নিজেদের দায় এড়াতে জব্দকৃত ওষুধ নিতে চান না এমন অভিযোগ করে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন, তাদের বক্তব্য হলো- আমরা যেন ওষুধগুলো নিজ থেকে তাদের কাছে দিয়ে আসি। তাদের দাবি, তাদের কাছ থেকে কোন ওষুধ চুরি হয়নি। তাছাড়া তারা যদি নিজ থেকে ওষুধ গ্রহণ করে, তাহলে সবাই মনে করতে পারে ওষুধগুলো তাদের।

তিনি আরও বলেন, সরকারি ওষুধের কোনো মূল্য থাকে না। তাই এর সঠিকভাবে মূল্য নির্ধারণ করা যায়নি। তারপরও আনুমানিক দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা হতে পারে। আমরা বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি। তাছাড়া ওষুধগুলো এখানে পড়ে থাকলে নষ্ট হয়ে যাবে। এ ওষুধগুলো নিয়ে গেলে তারা হয়তো রোগীদের জন্য দিতে পারবে।
সুত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম



ফেইসবুকে আমরা