বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

সরকারের সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের ১০ কোটি মার্কিন ডলার চুক্তি স্বাক্ষর

  প্রকাশ : ২০১৯-১০-৩০ ১৮:৪৯:২৬  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : বাংলাদেশ সরকার ৩০টি মনোনীত পৌরসভায় পানি সরবরাহ নিশ্চিত, স্যানিটেশন ও ড্রেনেজ সিস্টেমের উন্নয়নে বুধবার বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬ লাখ লোক সুফল ভোগ করবে। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন স্বাক্ষর করেন।

বুধবার রাজধানীর শের-এ-বাংলা নগর এলাকায় ইআরডি-তে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। মিউনিসিপাল ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রকল্পের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের এই ঋণ মনোনীত পৌরসভাগুলোর যেসব এলাকার বাসিন্দাদের পাইপের মাধ্যমে পানি পাওয়ার সুযোগ নেই, তাদের কাছে পাইপের মাধ্যমে নিরাপদ পানি পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়াও এই প্রকল্পটি পাবলিক প্রাইভেট অংশীদারিত্ব এবং ওয়াটার ট্রিটমেন্ট ফ্যাসিলিটি, জলাধার, পাইপ নেটওয়ার্কের ট্রান্সমিশন ও সরবরাহ, বাসাবাড়িগুলোর সাথে পাইপের সংযোগ, মিটার স্থাপনসহ অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের বাসিন্দাদের এলাকা ও বস্তিগুলোতে স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করবে।

ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, ‘সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান ও ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রকল্পটির আওতায় সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে পৌরসভাগুলোর ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ বাড়িতে পাইপের পানি সরবরাহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।’

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টিম্বন বলেন, ‘আজ, অনেক বেশি মানুষ নগরীগুলিতে বাস করছে। এতে গুণগত মানসম্পন্ন পানি ও স্যানিটেশনসহ নগর অবকাঠামোগুলোর জরুরি চাহিদা দেখা দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রকল্পটি ছোট শহর ও বস্তি এলাকায় বসবাসকারী মানুষের কাছে পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করতে এবং স্যানিটেশন ও ড্রেনেজ সেবাসমূহ উন্নয়নে সহায়তা করবে। এর পাশাপাশি নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ফলে নারীরা পানি সংগ্রহের সময়টুকুতে অন্যান্য কাজ করতে পারবেন। এই সময়টাতে তারা শিশুদের স্বাস্থ্য পরিচর্যা করতে পারবেন, যা স্কুলগুলোতে শিশুদের উপস্থিতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।’

প্রকল্পটিতে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) ১০ কোটি মার্কিন ডলার ও বাংলাদেশ সরকার ৯৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার যোগান দেবে।



ফেইসবুকে আমরা