বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

মুকুলের সুগন্ধি-সুবাস ছড়িয়ে অসময়ে গাছে ঝুলছে আম !

  প্রকাশ : ২০১৯-০৯-১৯ ১২:৩০:৪০  

পরিস্হিতি২৪ডটকম/(মিরহোসেন সরকার,গাইবান্ধা): গাইবান্ধা জেলা সাঘাটা উপজেলার সাহারভিটা গ্রামের ছোট্ট একটি সংসারের গৃহিনী জাহানারা বেগম । নিজেদের চাহিদার প্রয়োজনে বাড়ীর চার পাশে এক বিঘা জমিতে আপেল কুল, দেশি কুল, কাঠাল, মালটা, বিভিন্ন জাতের লেবু, নারিকেল, পেয়ারা, কয়েকটি জাতের আমের গাছ লাগান । বাজারের ফরমালিনের থাবা থেকে বাঁচতে ৫ বছর আগে একটি বারোমাসি আমের গাছ লাগান । বছর যেতে না যেতেই আম ধরতে শুরু করে ।

জাহানারা বেগমের সাথে এক সাক্ষাৎকারে জানা যায়, বারোমাসি আমের গাছে সারা বছর আম থাকে । প্রতিটি আমের ওজন ২৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম হয় । খেতেও অনেক সুস্বাদু । আম শেষ হতে না হতেই আবার আমের মুকুল আসে। এভাবে সারা বছর আম থেকে যায় গাছে ।

অসময়ে আমের মুকুল ও ফল দেখে অনেকেই এই আমের চাষ করতে আগ্রহ পোষন করেছেন । এমনই এক যুবক একরামুল হক জানান, আমরা বাজার থেকে ফল কিনতে গেলে ফরমালিনের ভয় থেকেই যায় । তাই বানিজ্যিক ভাবে এই আমের চাষ করলে আয় কমা সম্ভব।

গাছাবাড়ী গ্রামের কৃষক ছাইদুর রহমান জানান, বারোমাসি আমের গাছ লাগানোর অনেক ইচ্ছা আগে তবে চারা না পাওয়ায় রাগাতে পারছি না । সরকারি ভাবে যদি আমের চারা দিতো তাহলে আমরা লাগাতে পরতাম । কারন ভাল জাতের বারোমাসি আমের কাটিং চারার দাম ৩ শ থেকে এক হাজার টাকা ।

সাঘাটা উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাসান আলী জানান,ফরমালিনের হাত থেকে বাচঁতে বারোমাসি ফল চাষ করা একান্ত জরুরী । আমরা কৃষকদের মাঝে বারোমাসী বিভিন্ন ফলের চারা বিতরণে চেষ্টা করবো ।

কৃষি গবেষক মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম জানান, বারোমাসি আমের চারা উৎপাদন করতে সরকারে কৃষি ও ফলজ বিভাগ এগিয়ে আসা দরকার । বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকে কাটিং শেখানো এবং কাটিংকৃত চারা কিভাবে রোপন করতে হয় তা হাতে কলমে শেখালেই কৃষকের ফলের চারা সংকট দুর করা সম্ভব ।



ফেইসবুকে আমরা