পরিস্হিতি২৪ডটকম : কোরীয় উপদ্বীপে এযাবতকালের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন লিংগ্লিংয়ের আঘাতে উত্তর কোরিয়ায় পাঁচজন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় তিনজন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১৬ জন। দুই দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
দেশগুলোর গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রথমে টাইফুন লিংগ্লিংয় আঘাত হানে দক্ষিণ কোরিয়ায়। তারপর সেটি উত্তর কোরিয়ায় তান্ডব চালায়। ভূমিধস ছাড়াও দুই দেশই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাধারণত কোনো দুর্ঘটনায় নিহতের খবর না জানালেও এবার সরকারিভাবে এ খবর দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণাধীন কেন্দ্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ বলছে, দেশটির এই টাইফুনের আঘাতে ৪৬০টি ঘরবাড়ি এবং ১৫টি সরকারি ভবনধস, ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়াও ৪৬ হাজার ২০০ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে বলেও জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।
কেসিএনএ বলছে, শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে শুরু হয়ে রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ায় তাণ্ডব চালিয়েছে লিংগ্লিং। টাইফুন কবলিত অঞ্চলগুলোতে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, টাইফুন লিংগ্লিং দেশে আঘাত হানার পর উত্তর কোরিয়া অভিমুখে যাওয়ার পথে কিছুটা দূর্বল হয়। তারা বলছে, রোববার সকালে টাইফুনটি রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তকের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, রোববার সকাল থেকে টাইফুনে ক্ষতির হিসাব কষা শুরু করেছে তারা। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার অভিযানও শুরু হয়েছে রোববার সকাল থেকে। প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়েরর কারণে অনেক ভবন ধসে পড়েছে এবং দেশটির ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৪০টি বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।