পরিস্হিতি২৪ডটকম : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় গেলে দেশের প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক নগর সুবিধা দিয়ে ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ হিসেবে গড়ে তুলবে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে তরুণ্যকে উৎপাদনমুখী শক্তিতে রূপান্তর করে সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার কিছু পর রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা শুরু হয়। ইশতেহার ঘোষণা করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এতে ২১টি বিশেষ অঙ্গীকার করা হয়েছে। এসব অঙ্গীকারের মধ্যে দুটি বিষয়ের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
ইশতেহারে যা রয়েছে-
আওয়ামী লীগের ইশতেহার: আইেনর শাসন ও মানবাধিকার সুরক্ষা
আওয়ামী লীগের ইশতেহার: গণতন্ত্র, নির্বাচন ও কার্যকর সংসদ
আওয়ামী লীগের ইশতেহার: সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও মাদক নির্মূল
আওয়ামী লীগের ইশতেহার: দক্ষ, সেবামুখী ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন
আওয়ামী লীগের ইশতেহার: আমার গ্রাম-আমার শহর
আওয়ামী লীগের ইশতেহার: বিশেষ অঙ্গীকার
জনবান্ধব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গড়ে তোলা
লিখিত ইশতেহারে বলা হয়, “আমরা বিভেদ, হানাহানি, জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসন্ত্রাস, অবরোধ বিশৃঙ্খলার রাজনীতি চাই না। চাই গণতান্ত্রিক পরিবেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এ নির্বাচনে আমরা জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছি।”
আওয়ামী লীগ বলছে, জনগণের রায়ে আবার ক্ষমতায় যেতে পারলে দেশ থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, সাম্প্রদায়িকতা ও দুর্নীতি নির্মূল করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে সুসংহত করবে। সমাজের সকল পর্যায়ে নারীর প্রতিনিধিত্ব ও ক্ষমতায়নে তারা বদ্ধপরিকর।
সেবামুখী দক্ষ জনপ্রশাসন ও জনহিতৈষী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গড়ে তুলে দুর্নীতিমুক্ত সুশাসন-ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের জন্য শান্তিশৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধির নিশ্চয়তা বিধান করারও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
ইশতেহারে বলা হয়েছে, “আসুন আমরা সবাই মিলে এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলি যেখানে মানুষের মৌলিক সব চাহিদা পূরণ নিশ্চিত হবে, গড়ে উঠবে সহিষ্ণু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, নিশ্চিত হবে সামাজিক ন্যায়বিচার, যার যার ধর্ম পালনে স্বাধীনতা ও সম-অধিকার, নারীর অধিকার ও সুযোগের সমতা, তরুণদের শ্রম ও মেধার সৃজনশীল বিকাশ, আইনের শাসন, মানবাধিকার, সুশাসন, শহর ও গ্রামের বৈষম্য দূরীকরণ, দূষণমুক্ত পরিবেশ। গড়ে উঠবে এক অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল বিজ্ঞানমনস্ক উদার গণতান্ত্রিক কল্যাণ-রাষ্ট্র।”
ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানের শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে। পরে আওয়ামী লীগের শাসনমালের উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরা হয় তথ্যচিত্রের মাধ্যমে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক সাংসদ আব্দুর রাজ্জাকের স্বাগত বক্তব্যের পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তারপর মঞ্চে এসে ইশতেহার ঘোষণা শুরু করেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, কূটনীতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত রয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের ইশতেহার প্রকাশের এই অনুষ্ঠানে।