পরিস্হিতি২৪ডটকম : নওগাঁর মান্দা উপজেলার বনকুড়া গ্রামজুড়ে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। এক সপ্তাহ আগে গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের বাড়িতে স্থাপনকৃত নলকূপ মেরামত করতে গিয়ে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। পর্যায়ক্রমে গ্রামের মোজাম্মেল হকের বাড়ি, আবদুল জব্বারের বাড়িসহ অনেকের নলকূপে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
গ্রামের অন্য নলকূপগুলোতেও পানির পরিবর্তে বের হচ্ছে গ্যাস। গ্যাস বের হওয়ায় কৃষি জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য স্থাপিত একটি গভীর নলকূপ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের দাবি, এক সপ্তাহ আগে বনকুড়া গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের বাড়ির নলকূপের পাইপে গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। গ্যাসের সেই আগুনে রান্নার কাজও করে দেখেছেন তারা। আগুনের লেলিহান শিখা ও উত্তাপ দেখে হতবাক গ্রামবাসী। সংবাদটি ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের এলাকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
দৃশ্যটি একনজর দেখতে প্রতিদিন নারী-পুরুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন উপজেলার বনকুড়া গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের বাড়িসহ আশপাশের বাড়িগুলোতে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুশফিকুর রহমান ও এসিল্যান্ড এসএম হাবিবুল হাসান।
বাড়ির মালিক ময়েজ উদ্দিন প্রামানিক জানান, আমার বাড়ির ভেতরে স্থাপনকৃত নলকূপে কয়েকদিন ধরে পানি উঠছিল না। নলকূপটি মেরামতের জন্য মেকানিক নিয়ে আসি। নলকূপের পাইপ তুলে জোড়া খোলার জন্য আগুন ধরিয়ে দিলে পাইপের মুখে আগুন ধরে যায়। পরে সেই আগুনে স্থানীয়রা পরীক্ষামূলকভাবে রান্নার কাজ করে দেখেছেন।
গ্রামের বাসিন্দা আবদুল জব্বার জানান, ২০১৩ সালে নভেম্বর মাসে গ্রাম থেকে ২শ ফুট উত্তরে একটি কৃষি জমিতে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। সেসময় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বাপেক্স কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ গ্যাসের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। এরপর তাদের আর কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি আরও বলেন, প্রায় ৬ বছর পর গ্রামের নলকূপগুলোতে আবারও গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেল।
মান্দা উপজেলা ইউএনও খন্দাকার মুশফিকুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুর্ঘটনা এড়াতে নলকূপের পাইপের গ্যাসে আগুন না জ্বালানোর জন্য গ্রামের লোকজনকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর ও বাপেক্স কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে জানানো হবে।