পরিস্হিতি২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৮ জনই মাইক্রোবাসের যাত্রী, তাদের পরিচয়ের মিলছে । ২৭ মার্চ (বুধবার) গভীর রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার চুনতি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে আজ ২৮ মার্চ সকাল থেকে নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্থান্তর করেছে বলে জানা গেছে।
হস্থান্তর করা লাশের মধ্যে রয়েছে একই পরিবারের তিনজন। তারা হলেন কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছলখোলা নয়াপাড়া এলাকার নুরুন্নবীর স্ত্রী হাছিনা মমতাজ (৪৫), তার কন্যা তছলিমা বেগম (২০) তছলিমার শিশু কন্যা সাদিয়া (২)।
এছাড়া অন্যান্যরা হলেন, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের উত্তর মেধাকচ্চপিয়া এলাকার ভান্ডুমিয়ার ছেলে ও দূর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাসের চালক নুরুল হুদা (২৫), লোহাগাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সিকদারপাড়া গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে আফজাল হোসেন সোহেল (৩০), মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের জমিরছড়ি এলাকার জাবের আহামদের ছেলে আব্দু শুক্কুর (২৮), বাঁশখালী উপজেলার শেখের খিল গ্রামের মো. ছিদ্দিকের ছেলে ও বার আউলিয়া ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মো. সায়েম (২২) ও আনোয়ারা উপজেলার মধ্যমদন্ডি গ্রামের জালাল আহামদের ছেলে আমির খসরু (২৮)।
এ ঘটনায় মাইক্রোবাসে থাকা ৫ যাত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে রয়েছে বলে জানান লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম।
তাদের মাধ্যে রয়েছে নিহত তসলিমার মেয়ে নাদিয়া(২), লোহাগাড়া উপজেলার বড়ড়হাতিয়া লস্কর পাড়া এলাকার মোস্তাকআ আহমদের পুত্র আবু তাহের (২৮) ও চুনতি খলিপার পাড়া এলাকার নুরুল আলমের স্তোী হাজেরা বেগম। বাকি ২ জনের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
হাইওয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো: ফরহাদ জানান, ঢাকা থেকে কক্সবাজারমুখী ‘রিলাক্স’ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীতমুখী একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। আর বাসটি রাস্তার বাঁ পাশে ধান ক্ষেতে পড়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই এক শিশু ও দুই নারীসহ ৮জনের মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় ১১ জনকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, বাসের চালক ও সহকারীরা পালিয়ে গেছেন।
বাস ও মাইক্রোবাসটি হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। মাইক্রোবাসটি বিভিন্ন এলাকা থেকে যাত্রী তুলে পরিবহন করছিল। নিহতরা সবাই ওই মাইক্রোবাসের আরোহী ছিলেন।