পরিস্হিতি২৪ডটকম : রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ প্রতিমাসে তিনশ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকারও বেশি। খবর রেডিও ফ্রি এশিয়ার।
শুক্রবার রেডিও ফ্রি এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান বেনার নিউজকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, নতুন করে আর কোন রোহিঙ্গা শরণার্থী গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ। গেল সপ্তাহে জাতিসংঘেও একই ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও স্থানীয় লোকজন মিলে সেখানকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ওপর বর্বর নির্যাতন শুরু করে। হত্যা করা হয় ২৫ হাজার মানুষকে। অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি ১৮ হাজার নারীকে ধর্ষণ করা হয়।
আন্তর্জাতিক সংস্থার হিসাবে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে সাত লাখ ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। জাতিসংঘ এ ঘটনাকে জাতিগত নিধন হিসেবে বর্ণনা করে থাকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীতে ১৯২টি দেশ রয়েছে। তাদেরও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া উচিত। শুধু আমাদেরকে কেন আশ্রয় দিতে হবে। আমরা আর কোন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে পারবো না।’
তার ভাষায়, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের পেছনে প্রতি মাসে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যবহার করছে। বছরে এই টাকার পরিমাণ দাড়ায় ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।’ তবে এই টাকা কিছু অংশ আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকেও আসে বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর কথা ছিলো। কিন্তু রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ তৈরি না হওয়ায় সেটি শুরু করা যায় নি।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যদি আজও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হয়, তবে তা শেষ হতে ১২ বছর লাগবে।’ কেননা প্রত্যাবাসন শুরু হলে প্রতিদিন ৩০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়ার কথা।