পরিস্হিতি২৪ডটকম : গত সপ্তাহেই ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সামনে এলো। দ্বিতীয়বারের মতো বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। একই সঙ্গে দেশটিতে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি।
ভোটে জেতার খবর সামনে আসতেই টুইটারে মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরপর রোববার মোদিকে ফোন করেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। ফোন করে শুভেচ্ছা জানানোয় মোদি পাক প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও দিয়েছেন।
ফোনে দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ইমরান। তবে মোদি অবশ্য জানিয়েছেন যে, আলোচনার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা দরকার। দু’দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনের আগে পাকিস্তানকে বিশ্বাস অর্জন করতে হবে ও সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
কিন্তু এত কিছুর পরেও দু’দেশের মধ্যে হয়তো আগের মতো আর স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে না। এর যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। আগামী ৩০ জুন ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তার শপথ অনুষ্ঠানে ইমরানকে আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
৩০ মে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণ করবেন মোদি। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই অতিথি নিমন্ত্রণের তালিকাও প্রায় তৈরি হয়ে গেছে। বিমসটেক গোষ্ঠীভুক্ত ছয় দেশ বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটানের রাষ্ট্রনেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এসব দেশের নেতারা ছাড়াও বিশ্বের শক্তিধর দেশের প্রেসিডেন্টদেরও আমন্ত্রণ জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আমন্ত্রিতদের এই তালিকায় নাম রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মতো নেতারাও। তারা প্রত্যেকেই মোদির জয়ের পর তাকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
মোদির শপথ গ্রহণে ইমরান খান ডাক পাননি তা পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রও নিশ্চিত করেছে। ২০১৪ সালে মোদি যখন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন তখন সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সে সময় তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু এবার আমন্ত্রিতদের তালিকা নাম নেই ইমরান খানের।