বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

হাওরে একসময় ৯৫ ভাগ লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হতো : রাষ্ট্রপতি

  প্রকাশ : ২০১৯-১০-১২ ১৭:২২:০৮  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, মিঠামইন থেকে জেলা সদরে যেতে অনেক সময় লেগে যায়। উঁচু রাস্তা করলে পরিবেশের ক্ষতি হবে। কাজেই মিঠামইন থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার ফ্লাইওভার করে নিকলী-গুনধর সড়কের সঙ্গে যুক্ত করে দিলে মাত্র আধা ঘণ্টায় কিশোরগঞ্জ চলে যাওয়া যাবে। গতকাল শুক্রবার হাওর অধ্যুষিত মিঠামইন উপজেলা সদরে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক সরকারি কলেজ সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, হাওরাঞ্চল একসময় চরম অবহেলিত ছিল। বর্ষাকালে মানুষ মারা গেলে কবর দেওয়ার জায়গা পাওয়া যেত না। শতকরা ৯৫ ভাগ লাশই পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হতো। আমি নিজে এ দৃশ্য দেখেছি। কিন্তু আজকে আর লাশ পানিতে ভাসাতে হয় না। এখন রাস্তা হচ্ছে। হাওরের চেহারা পালটে যাচ্ছে। আরো উন্নতি হবে। এখানে পর্যটনের হোটেল-মোটেল হবে, শিল্পকারখানা হবে।

মিঠামইন উপজেলা চেয়ারম্যান আছিয়া আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান ও পাবলিক প্রসিকিউটর শাহ আজিজুল হক। এর আগে মঞ্চে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন মিঠামইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শরীফ কামাল।

রাষ্ট্রপতি হাওরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, সাবমার্জেবল সড়ক হওয়ায় এখন মানুষ ১৫ মিনিটে মিঠামইন থেকে ইটনা বা অষ্টগ্রাম উপজেলা সদরে যেতে পারেন। আগে নৌকায় যেতে সারা দিন লাগত। অথবা হেঁটে যেতে হতো। অলওয়েদার উঁচু রাস্তাও হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি স্কুলজীবন থেকে রাজনীতি শুরু করেছি। বাড়ি আমার হাওরে। একসময় হাওরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না। মিঠামইনের মাত্র চার-পাঁচ জন কলেজে পড়তাম। মেয়েরা পঞ্চম শ্রেণির বেশি পড়ত না। এখন প্রতি ইউনিয়নে হাইস্কুল হয়েছে। আব্দুল হক কলেজে শিক্ষার্থী প্রায় ১৪০০। স্কুলেও প্রায় ১৪০০ শিক্ষার্থী পড়ে।’

রাষ্ট্রপতি সন্ধ্যায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি মিঠামইন সদরে নিজ বাড়িতে রাতযাপন করেন। আজ শনিবার তিনি মিঠামইনে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করবেন।



ফেইসবুকে আমরা