পরিস্হিতি২৪ডটকম : স্বাস্থ্যখাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা জানেন, যে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর। সততা ও নিষ্ঠার প্রতীক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন তা অব্যাহত আছে। তিনি নিজ থেকেই ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করেছিলেন। যার ধারাবাহিকতায় চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে যারা বা যে অশুভ চক্র প্রতারণা করছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। বাইরে থেকে কেউ এসব অনিয়ম ধরিয়ে দেয়নি। সরকার নিজ উদ্যোগে অনিয়ম রুখতে কঠোর অভিযান শুরু করেছে।
মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থা বিশেষ করে হাসপাতাল, নমুনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ, প্লাজমা ডোনেশন, সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয়, হাসপাতালের যন্ত্রপাতি সংগ্রহসহ অন্যান্য খাতের সাথে স্বাস্থ্যখাতের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকারের শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
অপরাধীর কোনো দলীয় পরিচয় নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অপরাধী যত ক্ষমতাধর হোক তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে। যারা জনগণের অসহায়ত্ব নিয়ে অবৈধ ব্যবসা করছে, প্রতারণা করছে, শেখ হাসিনার সরকার তাদের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতা’র নীতিতে অটল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাভাইরাস সঙ্কটের শুরু থেকে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ অসহায়, কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। স্থাপন করেছে মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত। মাটি ও মানুষের দল হিসেবে দেশের যে কোনো দুর্যোগে সবার আগে ছুটে যায় আওয়ামী লীগ। অসহায় মানুষের পাশে থাকা আওয়ামী লীগের সাত দশকের ঐতিহ্য।
তিনি বলেন, এরই মাঝে দেশব্যাপী প্রায় সোয়া এক কোটি পরিবারের মাঝে দলীয়ভাবে খাদ্য সাহায়তা দেয়া হয়েছে। সাড়ে ১০ কোটি টাকার বেশি নগদ সহায়তা দেয়া হয়েছে। খাদ্য ও নগদ সহায়তা ছাড়াও অন্যান্য সহায়তা বিশেষ করে স্বাস্থ্য সেবায় সুরক্ষা সামগ্রী, টেলিমেডিসিন, অ্যাম্বুলেন্সসহ নানাবিধ উপায়ে মানুষের সাথে আছে আওয়ামী লীগ। কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এখন বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে আছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। আমি দুর্গত এলাকার মানুষকে সহায়তার জন্য আবারও দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি।
কাদের বলেন, করোনা সঙ্কটে জনসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের জন্য ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটিকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণের ধারাবাহিকতায় আজ অক্সিজেন জেনারেটরসহ বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে সংক্রমিত জেলা সমূহের হাসপাতাল ও বন্যাকবলিত জেলাগুলোর সদর হাসপাতালে।
মন্ত্রী বলেন, করোনা সঙ্কটের পাশাপাশি বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষের সুরক্ষা সরকারের জন্য নতুন আরেকটি চ্যালেঞ্জ। আপনারা জানেন, ফি বছর নানান ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। আমাদের আছেন সঙ্কটের সাহসী ও মানবিক নেতৃত্বের দেশরত্ন শেখ হাসিনা, যিনি দুর্যোগকালে মানবিকতার আধার ও আস্থার ঠিকানা।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সব সময় অসহায় মানুষের পাশে আছেন। বন্যাদুর্গত এলাকায় মানুষের সুরক্ষায় মানবিক সহায়তা প্রদানে ইতোমধ্যে তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। এর পাশাপাশি বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরপরই শুরু হবে পুনর্বাসন কার্যক্রম। গ্রামীণ অবকাঠামো, কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন সহায়তাসহ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নেয়া হচ্ছে গুচ্ছ পরিকল্পনা। আপনারা মনোবল হারাবেন না, মনে সাহস রাখুন।