পরিস্হিতি২৪ডটকম/গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা এলাকায় নিজ শয়ন কক্ষে স্ত্রীকে বেঁধে রেখে উত্তম কুমার (২৭) নামে এক রাজমিস্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিহতের স্ত্রী ললিতা রানীসহ বাড়ির সবাই হাবলুর মোড়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। তখন বাড়িতে একা ছিল উত্তম কুমার। উত্তম ফোন দিয়ে তার স্ত্রীকে বাড়িতে ডেকে নেন। একসময় পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়ি ফিরে দেখতে পান ললিতার হাত-পা, মুখ বাঁধা এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কাটা উত্তমের রক্তাক্ত নিথর দেহ শয়ন ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। এ সময় স্বজনদের আহাজারি চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয় এবং লাশের ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এদিকে, চোখের সামনেই স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যা করার দৃশ্য দেখে স্ত্রী ললিতা রানী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ললিতা রানী স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সূত্রে জানা যায়, মাত্র ১০ মাস আগে একই মহল্লার দেখতে সুশ্রী ললিতা রানীকে বিয়ে করে উত্তম। কিন্তু কি কারণে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হলো- এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত উত্তম কুমার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পৌরসভাস্থ (৬ নং ওয়ার্ড) তাতীপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা নিবারন কুমারের ছেলে।
হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহীল জামান বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় কিছু জানা যায়নি। কারা হত্যা করেছেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, নিহতের স্ত্রী ললিতা রানী একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী কখনো একজন আবার কখনো দুই-তিনজন হত্যাকারীর কথা বলছেন। তিনি সুস্থ হলে হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ এবং হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা যাবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।