পরিস্হিতি২৪ডটকম : স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৫। বিশ্বের দুইশ’টি দেশের রাজনৈতিক নেতা ও জলবায়ু কূটনীতিকরা সম্মেলনটিতে অংশ নিয়েছেন। দুই সপ্তাহব্যাপি এই সম্মেলনে বিশ্বের অন্যতম প্রধান সংকট জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। খবর বিবিসি’র।
মানবসৃষ্ট নানা কারণে বিশ্বে গ্রীণ হাউজ গ্যাসের নিঃসরণ দ্রুত বাড়ছে। ফলে তাপমাত্রাও দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাবে সারা বিশ্ব জুড়ে নজিরবিহীন দাবানল, বন্যা, সাইক্লোন ও খরার মতো দুর্যোগ বাড়ছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, কার্বন নির্গমন কমানোর জন্য আগে যেসব লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছিল, এই সম্মেলনে সেই লক্ষ্যমাত্রাগুলো আরও বাড়ানো হবে।
সম্মেলনকে সামনে রেখে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ বলেছেন, বিশ্ব এখন এমন এক অবস্থায় পৌঁছে যাচ্ছে যেখান থেকে ফিরে আসার আর কোন সুযোগ থাকবে না। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এতদিন ধরে যেসব পদক্ষেপ বিশ্ব নেতারা নিয়েছেন সেগুলো ‘একবারেই পর্যাপ্ত নয়’ বলে মন্তব্য করেন গুতেরেজ।
গুতেরেজ আরও বলেন, ‘খননের মাধ্যমে জ্বালানি আহরণ এখনই বন্ধ করতে হবে এবং এর পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে এবং জ্বালানির চাহিদা পূরণে জলবায়ু বান্ধব সমাধানের দিকে যেতে হবে ।’
এদিকে, সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, জলবায়ুর পরিবর্তন প্রভাবে আফ্রিকার কয়েক মিলিয়ন মানুষ খেতে পায় না। দাতব্য সংস্থাটি আরও জানায়, এর প্রভাবে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ও খরাজনিত কারণে ৩৩ মিলিয়ন মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার পর্যায়ে রয়েছে।
বাংলাদেশসহ যেসকল দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বা হবার সম্ভাবনা রয়েছে সেসব দেশ এ ধরণের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় এই সম্মেলনে ক্ষতিপূরণ চাইবে বলেও জানা গেছে।
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে স্বাক্ষর এবং অনুমোদন করেছে এবং চুক্তির শর্তাবলী অনুযায়ী তাদের সবাইকে ২০২০ সালের আগেই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে। তাই সমস্ত বিশ্বের নজর মাদ্রিদে চলমান জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৫ এর দিকে।