বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

সারদায় পুলিশ একাডেমিতে আইজিপি : দেশের প্রতিটি থানা হবে জনগণের আস্থার জায়গা

  প্রকাশ : ২০২০-০২-০২ ১৯:১৮:১৩  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, জনগণের সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার বিভিন্ন আইন সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযোগী করেছে। আইনের শাসন নিশ্চিত করতে পুলিশকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের প্রতিটি থানাকে জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গায় পরিণত করতে হবে।

রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৭তম ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, প্রতিটি মেট্টোপলিটন এলাকায় একটি থানাতে হলেও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নারীদের রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যা অল্প সময়ের মধ্যে কার্যকর করা হবে।
ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেশি। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেয়ে পুলিশই সবচেয়ে বেশি আইনের প্রয়োগ করতে পারে। মামলার যথাযথ তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন, অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা, বাদী, ভিকটিম ও সাক্ষীদের নিরাপত্তাসহ অর্পিত দায়িত্ব নির্মোহভাবে পালন করতে হবে। নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীসহ সকল সেবাপ্রত্যাশী জনগণের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করতে হবে।

আইজিপি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সরকার অনুসৃত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। এই সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জঙ্গি, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। যারা অন্যায় করবে তাদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে। কিন্তু সাবধান, একটি নিরাপরাধ লোকও যেন অত্যাচারিত না হন।

আইজিপি বলেন, জবাবদিহিতামূলক ও জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে ‘বাংলাদেশ পুলিশ’ হবে অনন্য দৃষ্টান্ত। বর্তমানে পুলিশ বাহিনী দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, সন্ত্রাস দমন, মাদকের অপব্যবহার ও বিস্তার রোধে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার পুলিশের কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে নতুন ও বিশেষায়িত ইউনিট গঠন, ধারাবাহিকভাবে জনবল বাড়ানো, কর্মদক্ষতার উন্নয়নে দেশে-বিদেশে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের সুব্যবস্থা, অত্যাধুনিক লজিস্টিকস ও ইকুইপমেন্ট সরবরাহের সুব্যবস্থা করছে।

এরআগে আইজিপি ৩৭তম এসআই ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। কুচকাওয়াজে অভিভূত হয়ে তিনি এই ব্যাচের ১ হাজার ৭৫৯ জনের প্রত্যেককেই ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেন। পুরস্কার প্রাপ্তরা এক বছর মেয়াদী এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। এর মধ্যে ১৩৭ জনই নারী। প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী পাঁচজনের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন আইজিপি।

এ সময় পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ নাজিবুর রহমান, উপাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ-হিল বাকী, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) একেএম হাফিজ আক্তার, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার হুমায়ুন কবীর, রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



ফেইসবুকে আমরা