পরিস্হিতি২৪ডটকম : বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ও সদ্য বহিস্কৃত ঢাকা মহানগর যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে। একই সঙ্গে সম্রাটের সহযোগী ও সদ্য বহিস্কৃত যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ রবিবার রাতে রাজধানীর কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান শেষে এ কথা জানান র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
তিনি জানান, সম্রাটের কার্যালয়ের ভেতর চামড়া পাওয়া গেছে। যা বন্যপ্রাণী আইনে অপরাধ। অবৈধভাবে তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে নিয়ে আসেন চামড়া দুটি। এ কারণে তার বিরুদ্ধে ৬ মাসের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।
আজ রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে তার কাকরাইলের ভূঁইয়া ম্যানশনে অবস্থিত অফিসে অভিযান চালায় র্যাব।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে কাকরাইলে সম্রাটের কার্যালয়ে প্রবেশ করে র্যাব। এর কয়েক মিনিট পরে হেলমেট পরিয়ে সম্রাটকেও নেওয়া হয় তার কার্যালয়ে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এই অভিযানে এক হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা, বেশ কিছু বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, দুটি ইলেকট্রিক শক মেশিন, একটি বিদেশি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে সম্রাটের সঙ্গে আরমানকেও আটক করা হয়।